Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্যাংকের টাকা লুটের প্রতিযোগিতায় নামছে সরকারী দল -রিজভী

| প্রকাশের সময় : ২ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : দেশের ব্যাংকিং খাতে লুটপাট চলছে অভিযোগ করে এ জন্য সরকারি দলের নেতা, তাদের সমর্থক এবং আত্মীয়-স্বজনদের দায়ী করেছেন বিএনপি নেতা রূহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, নতুন তিন ব্যাংকের অনুমোদনের উদ্দেশ্যও আরো লুটপাট করা।
গতকাল শুক্রবার নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।
গত ২৭ নভেম্বর নতুন করে তিনটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের অনুমোদন দেয়ার কথা জানান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এই সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক দাবি করে রিজভী বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক মনে করছে, দেশের অর্থনীতির যে পরিসর, তাতে করে চলমান ব্যাংকগুলোই অতিরিক্ত। এর ওপর নতুন ব্যাংকের ঘোষণা মূলত জনগণের টাকা হাতিয়ে নেয়ারই উদ্যোগ। তিনি বলেন, সরকার ক্ষমতায় বসার পর দলীয় লোকদের মালিকানায় বেসরকারি খাতে যে নয়টি ব্যাংকের অনুমোদন দেয়া হয়েছিল, সেটিও আসলে লুটপাটের সুযোগ করার জন্যই। বর্তমানে চালু থাকা ৫৭টি ব্যাংকের বেশিরভাগ অনিয়ম, জালিয়াতি লুটপাট ও খেলাপি ঋণের কারণে আর্থিক সংকটে রয়েছে। রিজভী বলেন, এ জন্য সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা ও তাদের আত্মীয়-স্বজনরা দায়ী। তাদের দ্বারা ব্যাংক লুটের প্রতিযোগিতায় আর্থিক খাত আজ ধংসের দ্বারপ্রান্তে। তিনি বলেন, সোনালী ব্যাংক, রুপালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, কৃষি ব্যাংকসহ ব্যাংকিং খাত থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট হলেও, এমনকি গণমাধ্যমের বদৌলতে লুটপাটকারীদের নাম প্রকাশ হলেও এখনও পর্যন্ত লুটেরা অধরা। দুদক তাদের বেলায় নির্বিকার। তাদের ধরবে কেন তারা তো কারণ তারা ক্ষমতাসীনদের শীর্ষ নেতাদেরই লোক। রিজভী বলেন, হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৮০০ কোটি টাকা লুটের ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ না করারও সমালোচনা করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। অর্থমন্ত্রী বার বার তারিখ দিলেও এটা প্রকাশ না করাকে রহস্যজনক। ল²ীপুরের রায়পুরে ডাচ বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং শাখায় হামলার জন্য যুবলীগ কর্মীদের দায়ী করেন বিএনপি নেতা। জয়পুরহাটে জনতা ব্যাংকে লেনদেন চলাকালে ৪৫ লাখ টাকা, ময়মনসিংহে এক পরিবারকে জিম্মি করে ১০ লাখ টাকার মালামাল লুটের ঘটনায়ও ক্ষমতাসীন দলের লোকদের দায়ী করেন তিনি। তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের লোকেরাই এখন রাজনীতি ও সমাজের হর্তাকর্তা, এরা বাংলাদেশের জনগণের জমি-জায়গা-ধন-সম্পত্তি-ব্যাংক-বীমার অখÐ কতৃত্বের অধিকারী বলে নিজেদের মনে করে। বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, স্বেচ্ছাসেবকদলের সাধারণ সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ