পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শাজনীন তাসনিম রহমান হত্যা মামলায় গৃহকর্মী শহীদুল ইসলাম শহীদের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হচ্ছে বুধবার রাতে। শাজনীন ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমানের মেয়ে। কাশিমপুর কারাগারের জেলার মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রাতে যে কোন সময় শহীদুলের ফাঁসির রায় কার্যকর করা হবে। এ জন্য ইতোমধ্যে গত রাতে সকল আযোজন করা হয়েছে। রাত ১২ টার পর রায় কার্যকর করা হচ্ছে।
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার বিকাশ রায়হান জানান, গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাহেনুল ইসলাম, কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডা. সৈয়দ মো. মঞ্জুরুল হক ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কারাগারে উপস্থিত হয়েছেন রাতে। জেলখানার প্রধাান জল্লাদ রাজু ও তার কয়েক সহযোগী ফাঁসির আদেশ পালনের দায়িত্বে রযেছেন।
জেলার বিকাশ রায়হান জানান, বুধবার দুপুরে দন্ডপ্রাপ্ত শহীদুলের ছোট ভাই মুহিদুল ইসলাম এবং তার স্বজনরা শহীদুলের সঙ্গে কারাগারে দেখা করেছেন। শহীদুল এ সময় পরিবারের সদস্যদের উপদেশমূলক কথাবার্তা বলেন।
গত ২ আগস্ট আসামিদের মধ্যে শহীদুলের ফাঁসির রায় বহাল রেখে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। বাকি চারজনকে খালাস দেওয়া হয়। এর আগে গত ৫ মার্চ ট্রান্সকম গ্রæপের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমানের মেয়ে শাজনীনকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় গৃহকর্মী শহীদুলের মৃত্যুদন্ডের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৯৯৮ সালের ২৩ এপ্রিল রাতে গুলশানে নিজ বাড়িতে খুন হন শাজনীন। পরদিন শাজনীনের বাবা লতিফুর রহমান গুলশান থানায় দন্ডবিধির ৩০২ ধারায় একটি হত্যা মামলা করেন। একই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর ওই ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করে সিআইডি।
তদন্ত শেষে প্রথম মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত-১ এবং দ্বিতীয় মামলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। দুটি মামলাতেই আদালত অভিযোগ গঠন করেন।
পরে ২০০৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক কাজী রহমতউল্লাহ মামলাটির রায় ঘোষণা করেন। রায়ে শাজনীনকে ধর্ষণ ও খুনের পরিকল্পনা এবং সহযোগিতার দায়ে ছয় আসামির ফাঁসির আদেশ দেন আদালত।
বিচারিক আদালতের রায়ের পর মৃত্যুদন্ড অনুমোদনের (ডেথ রেফারেন্স) জন্য মামলাটি হাইকোর্টে যায়। একই সঙ্গে আসামিরাও আপিল করেন। ২০০৬ সালের ১০ জুলাই হাইকোর্ট পাঁচ আসামি হাসান, শহীদ, বাদল, মিনু ও পারভীনের ফাঁসির আদেশ বহাল রাখেন।
এরপর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন (লিভ টু আপিল) করেন চার আসামি- হাসান, বাদল, মিনু ও পারভীন। আপিলে তারা খালাস পান। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।