পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিজস্ব কর্মকাণ্ডের বাইরে সমাজ ও জাতি গঠনের কাজে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সরকারকে সহযোগিতা করছে বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক। গতকাল রোববার ঢাকায় আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০১৭ উপলক্ষে স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের জন্য খেতাবপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর সদস্যদের সম্মানে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি একথা জানান। সেনাপ্রধান আরো বলেন, সেনাবাহিনী বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। দেশের অখণ্ডতা, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ধরে রেখে সংবিধান সমুন্নত রাখার আদর্শিক প্রেরণায় সেনাবাহিনীর উপর অর্পিত সকল দায়িত্ব নিরলসভাবে পালন করে যাচ্ছে। সেনাবাহিনীর নিজস্ব কর্মকাণ্ডের বাইরে সামাজিক ও জাতি গঠনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সরকারকে সহযোগিতা করছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায়ও সরকারকে সহায়তা করছে সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক বলেন, চলতি বছরের জুনে পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধার করতে গিয়ে আমাদের ৫জন সেনা সদস্যকে অকালে প্রাণ দিতে হয়েছে। রোহিঙ্গাদের মধ্যে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা ও রেজিস্ট্রেশনসহ সার্বিক নিরাপত্তা রক্ষায় গুরুত্ব সহকারে ভূমিকা পালন করছে। এছাড়া জঙ্গিবাদ দমনে সেনাবাহিনীর সুপরিকল্পিত ত্বরিত পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছে। সেনাবাহিনী বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে জানিয়ে সেনা প্রধান বলেন, সেনাবাহিনী অক্লান্ত পরিশ্রম, সততা, কর্মনিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের বিনিময়ে দেশের সীমা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। শিক্ষা-দীক্ষা জ্ঞান-বিজ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে তুলে ধরার প্রচেষ্টা আমাদের থাকবে। সেনাবাহিনীর মূল লক্ষ্য বাস্তবায়নে সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, তথ্য প্রযুক্তি বিশ্বায়নের যুগে দৃঢ়তার সঙ্গে দক্ষ সেনাবাহিনী গড়ে তুলতে হবে। পারস্পরিক মর্যাদা, সঠিক মূল্যবোধের মাধ্যমে আমাদের বহুযুগের সংস্কৃতি ধরে রাখতে হবে। সবার সহযোগিতায় প্রতিকূলতা দুর করে আমরা একটি দক্ষ সেনাবাহিনী গড়ে তুলবো। আইএসপিআরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক ঢাকা সেনানিবাসস্থ মাল্টিপারপাস হলে মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে অবদানের জন্য খেতাবপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর ৩ জন বীরশ্রেষ্ঠ, ৫জন বীরউত্তম, ৭জন বীরবিক্রম ও ২২জন বীরপ্রতীক/তাঁদের নিকটাত্মীয়দের সাথে কুশলাদি বিনিময় এবং তাঁদের হাতে শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই খেতাবপ্রাপ্ত সেনাসদস্যদের মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন বীরত্বগাথার সারসংক্ষেপ তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে সেনাসদরসহ ঢাকায় কর্মরত ঊর্ধ্বতন সেনাকর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে ভাষণ প্রদান করেন। উল্লেখ্য, সেনাসদরের পক্ষ থেকে প্রতি বছরই এ ধরনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।