Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি মামুলি ব্যাপার, জনজীবনে প্রভাব পড়বে না -তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আগামী ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হতে যাওয়া বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিকে খুবই সামান্য এবং মামুলি ব্যাপার বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী। তিনি বলেন, ইউনিট প্রতি গড়ে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বিদ্যুতের দাম বাড়াকে সামান্য আখ্যায়িত করে এ মামুলি ব্যাপারে জনজীবনে কোনো প্রভাব পড়বে না। 

গতকাল শুক্রবার সকালে বিদ্যুৎ ভবনে সেক্টর লিডারদের দুই দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এমন মন্তব্য করেন তারা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) নিজস্ব বিবেচনায় এই দাম বাড়িয়েছে, এর সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই। জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, বিদ্যুতের যে দাম বাড়ানো হয়েছে, আমি মনে করি এটি খুবই সামান্য এবং মামুলি ব্যাপার। জনজীবনে এর প্রভাব পড়বে বলে মনে করি না। দাম বৃদ্ধির কাজটি বিইআরসি নিজস্ব বিবেচনা থেকে বাড়িয়েছে, এ ক্ষেত্রে আমাদের কোনো প্রভাব নেই। একই অনুষ্ঠান বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, দাম খুব বেশি বাড়ানো হয়নি। ২০০ ইউনিট পর্যন্ত ব্যবহারকারীদের এখন থেকে মাসে অতিরিক্ত ২০ থেকে ২৫ টাকা বিল দিতে হবে। গ্রাহক পর্যায়ে যে প্রভাব পড়বে তা সহনীয় বলেই মনে করি। বিইআরসি প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম গড়ে ৩৫ পয়সা বা ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত এ বছরের ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে। আওয়ামী লীগ সরকারের দুই মেয়াদে এবার নিয়ে আট দফা বিদ্যুৎ বিল বাড়ানো হয়।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম গড়ে ৩৫ পয়সা বা ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা জানায়, যা আগামী ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিইআরসির কাছে বিদ্যুতের দাম ইউনিট প্রতি গড়ে ১২ থেকে ১৫ শতাংশ বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছিল। এখন বিদ্যুতের যে দাম বৃদ্ধি হয়েছে তা গড়ে ৫ শতাংশের বেশি হবে না। তাহলে এটি খুব বেশি কিছু নয়। তবুও হয়তো কিছুটা অ্যাফেক্ট পড়বে গ্রাহক পর্যায়ে। আমি মনে করি, এটি সহনীয়। তিনি বলেন, নতুন হারে আবাসিকে মাসে ৭৫ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের খরচ বাড়বে ১৫ টাকা, ১৫০ ইউনিটে ৪৮ টাকা, ২৫০ ইউনিট পর্যন্ত ৯০ টাকা, ৪৫০ ইউনিট পর্যন্ত ১৯৬ টাকা এবং ১০০০ ইউনিট পর্যন্ত ব্যবহারকারীদের খরচ বাড়বে ৬০৪ টাকা। তবে ন্যূনতম বিল তুলে দেয়ায় কম বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের খরচ কমবে। ১৫ ইউনিট পর্যন্ত ব্যবহারকারীদের খরচ বাঁচবে ১৭ থেকে ২২ টাকা। দাম বাড়ানো হয়েছে কেবল খুচরা পর্যায়ে, পাইকারিতে বিতরণ কেন্দ্রগুলোর জন্য বিদ্যুতের দাম বাড়ছে না। এদিকে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সমালোচনা এসেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে। এর প্রতিবাদে বাম দলগুলো ৩০ নভেম্বর হরতালও ডেকেছে। ভোক্তা অধিকার সংগঠন ক্যাব বলছে, বিইআরসির গণশুনানিতে তারা দাম কমানো যে সম্ভব, তা যুক্তি দিয়ে দেখিয়েছিল। ফলে এখন দাম বাড়ানোয় গণশুনানি অর্থহীন বলে প্রমাণিত হলো।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ