পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকার আদম আলী, নরসিংদী থেকে : অত্যাবশকীয় মসলা ও সবজি পিঁয়াজের চড়া মূল্যের বাজারে আমদানী হতে শুরু করেছে নতুন পিঁয়াজ। তবে এই পিঁয়াজ শুধু মসলা হিসেবে নয়, গাছসহ এই পিয়াজ ব্যহৃত হয় সবজি হিসেবেও। এক কেজি নতুন পিঁয়াজের ঠোসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। অন্যান্য বছর এক কেজি নতুন পিঁয়াজ বিক্রি হতো ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে। পিঁয়াজের ঠোসার এই মূল্য অন্যান্য বছরের চেয়ে কম। বাজারে পূরনো দেশী পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে। পক্ষান্তরে আমদানীকৃত চীন, মিশর ও ভারতীয় পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে। দামে কম পেয়ে নতুন পিঁয়াজ হিসেবে অনেকেই আগ্রহসহকারে কিনে নিচ্ছে। গাছ বা ঠোসাসহ এক কেজি পিঁয়াজ কিনে নিলে ক্রেতারা লাভ পাচ্ছে ২টি। পিঁয়াজের গাছ বা ঠোসা সবজি হিসেবে ব্যবহার করতে পারছে। পাশাপাশি অপরিপক্ক হলেও নতুন পিঁয়াজ দিয়ে শুটকি, আলু ইত্যাদি ভর্তা বানিয়ে খাবার সুযোগ পাচ্ছে। প্রতি বছরই কার্তিক মাস এলে পিঁয়াজের বাজারে মুনাফাখোরদের কালো থাবার বিস্তার ঘটে। আর এতে মুনাফাখোররা পিঁয়াজের মূল্য বাড়িয়ে দিয়ে সাধারণ মানুষের পকেট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে যায়।
প্রতি বছরই দেশে পিঁয়াজের ঘাটতি উৎপাদন হয়। বেসরকারী হিসেব মতে দেশে পিঁয়াজের চাহিদা রয়েছে ৩৫ লাখ মেট্রিক টন। এ ক্ষেত্রে উৎপাদন হয় মাত্র ৬ থেকে ৭ লাখ মেট্রিক টন। বাকী পিঁয়াজ বিদেশ থেকে আমদানী করে চাহিদা মিটাতে হয়। সরকারী হিসেব মতে দেশে পিঁয়াজের চাহিদা ২২ লাখ মেট্রিক টন। এ ক্ষেত্রে চলতি বছর উৎপাদন দেখানো হয়েছে ১৭ লাখ মেট্রিক টন। ৫ লাখ মেট্রিক টন পিঁয়াজের উৎপাদন ঘাটতির সুযোগ নিয়ে মুনাফাখোররা এ বছর শ্রাবণ মাস থেকেই পিঁয়াজের মূল্য হঠাৎ বাড়িয়ে দিয়েছে। বিদেশ থেকে প্রচুর পিঁয়াজ আমদানী করার পরও পিঁয়াজের মূল্য কমছে না।
নরসিংদীসহ দেশের বিভিন্ন বাজারগুলোতে সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা গেছে দেশে উৎপাদিত পিঁয়াজ প্রচুর সংখ্যক মজুদ রয়েছে। কোন আড়ৎ বা চাটাইয়েই পিঁয়াজের কোন ঘাটতি নেই। এরপরও বিদেশ থেকে প্রচুর পরিমান পিঁয়াজ আমদানী করা হয়েছে। সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অবাধে পিঁয়াজ আমদানীর সুযোগ দিয়েও বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। ভারতের আনন্দ বাজার পত্রিকায় বাংলাদেশের পিঁয়াজের দাম নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। তারা বলছে ভারত থেকে আমদানীকারকরা পিঁয়াজ কিনে ৮ টাকা কেজি। অথচ তারা দেশে সেই পিঁয়াজ বিক্রি করে ৪০/৪৫ টাকা কেজি দরে। অথচ তারা ১৬ টাকা কেজি দরে পিঁয়াজ বিক্রি করলেও লাভ থাকার কথা। এমনিভাবে প্রতিবছরই পিঁয়াজের বাজার নিয়ে মুনাফাখোররা জনগনের পকেট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। কিন্তু কোন সরকারই এই মুনাফাখোরদের বিরুদ্ধে কোন কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারেনি, পারছে না। যার ফলে বছরের পর বছর ধরে দেশের সাধারণ মানুষ পিঁয়াজ কিনতে গিয়ে লাখ লাখ টাকা খোয়াচ্ছে। পিঁয়াজের বাজার থেকে যাচ্ছে অনিয়ন্ত্রিত। কিন্তু জনগন এ অবস্থার অবসান চায়। জনগনের বক্তব্য হচ্ছে পিঁয়াজ চাষাবাদের এরিয়া হচ্ছে ৮৬ হাজার ৪২৯ হেক্টর জমি। ফলন হচ্ছে হেক্টরপ্রতি ৪ থেকে ৫ মেট্রিক টন। চাষাবাদের এই এরিয়া দিয়ে দেশে পিঁয়াজের চাহিদা পূরন করা কোন ক্রমেই সম্ভব নয়। বর্তমানে পিঁয়াজের যেই ভ্যারাইটি চাষাবাদ হচ্ছে তা দিয়েও এ পরিমান জমি থেকে আশানুরুপ উৎপাদন সম্ভব নয়। হয়তো চাষাবাদের এরিয়া বাড়াতে হবে, নতুবা আমদানীকৃত পিয়াজ দিয়ে চাহিদা মিটাতে হবে। আর এ ক্ষেত্রে সরকারের উচিত হবে আমদানীকৃত পিঁয়াজের দর নিয়ন্ত্রনে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।