পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1719379593](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জিম্বাবুয়ের বরখাস্তকৃত ভাইস প্রেসিডেন্ট ৭৫ বছর বয়স্ক এমারসন মানানগাগওয়া শুক্রবার দেশের নয়া প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট মুগাবের পদত্যাগের পর তিনি বুধবার দেশে ফেরেন। গত ৬ নভেম্বর বরখাস্ত হওয়ার পর তিনি দেশ থেকে পালিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় চলে যান।
১৫ নভেম্বর সামরিক বাহিনী ক্ষমতা নেয়ার পর থেকে মুগাবে পদত্যাগের প্রচÐ চাপের মধ্যে ছিলেন। কিন্তু পদত্যাগে উপর্যুপরি অস্বীকৃতির পর একদিকে তাকে গৃহবন্দী রাখা অন্যদিকে সেনাবাহিনীর হাতে ক্ষমতা জিম্বাবুয়েকে এক অদ্ভুত সঙ্কটের মধ্যে নিক্ষেপ করে। তার দল জানু-পিএফ তাকে অভিশংসনের উদ্যোগ নেয়। তার এককালের সহযোগী দেশের মুক্তিযোদ্ধারা তার পক্ষ ত্যাগ করে। অবশেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি পদত্যাগ করেন। ৯৩ বছর বয়স্ক মুগাবে ছিলেন আফ্রিকার সবচেয়ে বয়োবৃদ্ধ রাষ্ট্রনেতা।
এমারসন মানানগাগওয়া ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি দীর্ঘদিন মুগাবের বিশ^স্ত সহযোগী ছিলেন। মুগাবেই তাকে২০১৪ সালে ভাইস প্রেসিডেন্ট নিয়োগ করে। তার আগ তিনি ছিলেন মন্ত্রী। ক্ষমতাসীন জানু-পিএফ দলের তিনি ছিলেন দ্বিতীয় নেতা ও মুগাবের পর দেশের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী ব্যক্তি। সবাই জানত যে তিনিই মুগাবের উত্তরসুরি। আর এটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মুগাবের দ্বিতীয় স্ত্রী গ্রেস মুগাবে ক্রমশ প্রভাব বিস্তার করেন। মুগাবে তাকেই তার উত্তরসুরি করার পথে অগ্রসর হচ্ছিলেন। কিন্তু পরিস্থিতি অনুধাবন করে নিজের লক্ষ্যে অগ্রসর হন এমারসন। সেনাবাহিনীর উপর তার ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। তারা মুগাবের পর তাকেই দেশ পরিচালনার যোগ্য নেতা বলে মনে করে। ক্ষমতার আরেক উচ্চাকাক্সক্ষী গ্রেস মুগাবে মানানগাগওয়াকে তার বরখাস্তের পর অভ্যুত্থানের চক্রান্তকারী ও কাপুরুষ বলে অভিহিত করেন। তবে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য গ্রেস মুগাবের উচ্চাকাক্সক্ষার প্রচন্ড বিরোধিতা করে সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে যে স্বাধীনতা যুদ্ধে যিনি লড়াই করেননি তার দেশ পরিচালনা তারা বরদাশত করবে না।
মানানগাগওয়ার দেশে ফেরাকে স্বাগত জানায় বিভিন্ন স্তরের মানুষভ ৫২ বছর বয়স্ক এজেকিয়েল গাদজি বলেন, মানানগাগওয়া জিম্বাবুয়েকে আরো গণতান্ত্রিক করবেন। তিনি জিম্বাবুয়ের নেতা হলে একটি নতুন যুগ শুরু হবে। টাটেন্ডা চারি নামে এক মহিলা বলেন, মানানগাগওয়া দেশের অর্থনীতির উন্নতি করবেন।
জিম্বাবুয়ের কুমির নামে পরিচিত মানানগাওয়া তাকে বরখাস্ত করার অল্প পরই দেশ থেকে পালিয়ে যান। তিনি বলেন, মুগাবে তাকে ও তার পরিবারকে হুমকি দেয়ার পর তিনি দেশ ছাড়েন। বুধবার তিনি ফিরে আসেন। সূত্র : আল জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।