Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শিক্ষা মানুষের অধিকার

অ ভি ম ত

আলী এরশাদ হোসেন আজাদ | প্রকাশের সময় : ১৯ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সবার প্রত্যাশা, ‘দেশের সমগ্র শিক্ষাব্যবস্থা’ অচিরেই জাতীয়করণের যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার এবং সবার সমান সুযোগ নিশ্চিতকরণ আমাদের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার বিষয় হিসেবে স্বীকৃত। এ জন্যই একটি মাত্র সর্বসন্মত জাতীয় গণদাবি- ‘শিক্ষা জাতীয়করণ’। এ বিষয়ে বড় বড় রাজনৈতিক দলের মধ্যেও ঐকমত্য আছে।

‘সমগ্র শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণে’র দাবি শুধু একজন শিক্ষকের সুখী জীবনযাপনের জন্য নয়। এ দাবি শুধু শিক্ষকের পেশাগত বঞ্চনা অবসানের জন্য নয়। বরং এ দাবি সব মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবি। এ দাবি হওয়া উচিত কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি জনতার। ছাত্র-শিক্ষক, রাজনীতিবিদসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে শিক্ষা জাতীয়করণের জন্য এগিয়ে আসতে হবে। এ জন্য সমবেত ও সোচ্চার হতে হবে। শান্তিপূর্ণভাবে সরকারের মনোযোগ আকর্ষণ করতে হবে। গ্রামে-গঞ্জে, বাজার-বন্দরে, দোকানে বা চায়ের স্টলে সর্বত্র সবাইকে সংহতি প্রকাশ করতে হবে।
শিক্ষক সংগঠনগুলোকে এক প্লাটফর্মে ঐক্যবদ্ধ আওয়াজ তুলতে হবে। ভেদাভেদ ভুলে ‘সমগ্র শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণে’র একটি মাত্র দাবিতে অভিন্ন কৌশল ও পদক্ষেপে অগ্রসর হতে হবে। এ জন্য সব সংগঠন বিলুপ্ত করবার প্রয়োজন নেই। সবার নিজ নিজ সংগঠন থাকবে, আদর্শ থাকবে। শুধু শ্লোগান হবে ‘সংগঠন যার যার শিক্ষা জাতীয়করণের দাবি সবার’। এভাবে অগ্রসর হলে শুধু ঢাকায় সমাবেশ বা কঠোর অবস্থানে না গিয়েও জাতীয় জাগরণ ও জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টির মাধ্যমে ‘সমগ্র শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণে’র সোনালি অধ্যায় রচনা করা সম্ভব হবে।
অন্ন, বস্ত্র, চিকিৎসা, বাসস্থানের মতোই ‘শিক্ষা’ মানুষের মৌলিক অধিকার। একটি কল্যাণরাষ্ট্র মানুষের মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা দেয়। শিক্ষা জাতীয়করণ হলে: গরিব-দুঃখী সবার সন্তান উন্নততর শিক্ষার সুযোগ পাবে, গরিবের শিক্ষালাভের সুযোগ বাড়বে এবং ব্যয় কমবে। গ্রামের মানুষকে শহরে গিয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য ভীড় করতে হবে না। সবার তো শহরে যাওয়ার সামর্থ্যও নেই। এ সমস্যার সমাধান হবে। বড় বড় শহরে জন-স্ফীতি হ্রাস পেলে যানজট থাকবে না। শিক্ষাক্ষেত্রে গুণগত পরিবর্তন হবে। মানসম্মত শিক্ষা ও শিক্ষকের ঘাটতি দূর হবে। ভালো প্রতিষ্ঠান, খারাপ প্রতিষ্ঠানের প্রচলিত ধারণা থাকবে না। ক্রমশ একমুখী শিক্ষাব্যবস্থা চালু করা সহজ হবে। মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন হবে সহজতর এবং দ্রæত। সবার জন্য শিক্ষা, নারী শিক্ষা, কর্মমুখী বা কারিগরি শিক্ষাসহ সব ক্ষেত্রে প্রভূত উন্নতি সাধিত হবে।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক, কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজ, গাজীপুর



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন