পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অধস্তন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি সংক্রান্ত নীতিমালার প্রজ্ঞাপন আগামী ৩ ডিসেম্বরের আগেই জারি করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। গতরাতে আপিল বিভাগের বিচারপতিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে মন্ত্রী এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বিচারকদের আচরণ বিধির খসড়া অনুমোদনের জন্য প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠানো হবে। এর মাধ্যমে বিচার বিভাগে শৃঙ্খলা আসবে।’
এর আগে রাজধানীর হেয়ার রোডের জাজেস কমপ্লেক্সে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাবিধি গেজেট প্রকাশের বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বেধীন আপিল বিভাগের বিচারপতিদের সঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বৈঠক অনুষ্ঠিত। দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতি ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ৯ নভেম্বর বৈঠকটি হওয়ার কথা ছিল। অজানা কারণে সেইদিন বৈঠক হয়নি। এরপর নতুন তারিখ বলা হয়, আগামী ১৬ নভেম্বর বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
নির্ধারিত দিনেও সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের পক্ষে এবং আইন মন্ত্রণালয় থেকে কোথায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে তা বলেনি। সুপ্রিম কোর্ট মুখপাত্র ব্যারিস্টার সাইফুর রহমান গতকাল দুপুরের দিকে ইনকিলাবকে বলেন, আমি এখনো জানতে পারি নাই কোথায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। তবে তিনি বলেন, সন্ধ্যার পর বৈঠকটি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এদিকে সন্ধ্যার পর হেয়ার রোডে দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির বাসায় সামনে অবস্থান নেয় গণমাধ্যমে কর্মীরা। এরপর জানা যায়, বৈঠকটি সুপ্রিম কোর্ট জাজেস লাউঞ্জে হবে।
প্রসঙ্গত, প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা ছুটিতে যাওয়ার পর দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা বিচারকদের চাকরিবিধির এ বিষয়টি গত ৮ অক্টোবর আপিল বিভাগে উঠলে সে সময় ৫ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। সব মিলিয়ে সরকারকে ২৮ বার সময় দেয়া হলেও শৃঙ্খলাবিধির গেজেট আর প্রকাশ হয়নি। সর্বশেষ গত ৫ নভেম্বর চার সপ্তাহের সময় দেন উচ্চ আদালত। গেজেট প্রকাশে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছে আপিল বিভাগ। রাষ্ট্রপক্ষে সময় চাইলে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারকের বেঞ্চ তা মঞ্জুর করে নতুন তারিখ ঠিক করে দেয়। অ্যার্টনি জেনারেল বলেন, গেজেট প্রকাশের সুরাহা করতে আপিল বিভাগের সঙ্গে বসতে চান আইনমন্ত্রী।
এর আগে এরপর আপিল বিভাগ থেকে গেজেট প্রকাশ নিয়ে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা জানানো হয়। পরবর্তীতে আইনমন্ত্রী বৈঠকে করতে সুপ্রিম কোর্টে যাননি। যার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা বলেছিলেন, এতই আমরা ইয়ে হয়ে গেলাম আলোচনা পর্যন্ত করলেন না? মামলাটি নিয়ে বার বার সময় আবেদনের কারণে এস কে সিনহার নেতৃতা¡ধীন আপিল বিভাগ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। রাষ্ট্রপক্ষ ও আপিল বিভাগের মধ্যে বেশ উত্তপ্ত আলোচনা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।