Inqilab Logo

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

শহরে আসতে হবে না, গ্রামে গ্রামে মিলবে চাকরি -পরিকল্পনামন্ত্রী

খাদ্য উৎপাদন কমেছে সাড়ে ৯ লাখ মেট্রিক টন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ১৭ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

চাকরির জন্য আর শহরে আসতে হবে না গ্রামে গ্রামেই মিলবে চাকরি। আমরা গ্রামগুলোকে সেইভাবেই ঢেল সাজানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। বর্তমানে ১৪’শটি প্রকল্প চলমান আছে এগুলো বাস্তবায়িত হলে গ্রাম আর গ্রাম থাকবে না। ১০০টি বিশেষ ইকোনোমিক জোনও গ্রামেই হচ্ছে এখানে হাজার হাজার বেকারের কর্মসংস্থান হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। গতকাল বৃহস্পতিবার শেরে-ই-বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে মিট দ্য প্রেসে মন্ত্রী এসব তথা জানান। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ৩০ মিলিয়ন মধ্যবৃত্ত শ্রেণী রয়েছে। এই সংখ্যা ভারত-চীনে অনেক বাড়ছে। সেই অনুয়ায়ি আমাদের দেশে বাড়ছে না। মিডিল ইনকাম গ্রæপ আর বাড়াতে হবে। এই সংখ্যা বাড়াতে কাজ করছে সরকার। বাংলাদেশ এখন এশিয়ান টাইগার। ২০৪০ সালে ১০ শতাংশ জিডিপি গ্রোথ হবে তখন মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়াবে ১৩ হাজার ৯০ মার্কিন ডলার বর্তমানে ১ হাজার ৬১০ ডলার। আমরা টেকসইভাবে অর্থনীতিতে এগিয়ে যাচ্ছি।’ 

এদিকে আগাম বন্যার কারণে গত অর্থবছর দেশে খাদ্য উৎপাদনের পরিমাণ নয় লাখ ৪৩ হাজার মেট্রিক টন কমেছে বলে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বিবিএস’ পক্ষে এ তথ্য তুলে ধরেন।
বিদেশী বিনিয়োগ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, ‘সরকার নিজে ব্যবসা করবে তবে পরিবেশ সৃষ্টি করবে। সেই পরিবেশ ইতোমধেই দেশে সৃষ্টি হয়েছে। জার্মানি বিদ্যুৎ খাতে ৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। নগরীর ঝিলিমিলি প্রকল্পেও মালয়েশিয়া-অস্ট্রিয়া ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। নতুন নতুন বিনিয়োগকারীদের ঝোঁক এখন বাংলাদেশে।’
দেশে খাদ্য শস্য উৎপাদনের বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত তুলে ধরে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। বিবিএস জানায় চলতি অর্থবছরে ৪৯ লাখ ৬৪ হাজার মেট্রিক টন সবজির উৎপাদন হয়েছে। গত অর্থবছরে যা ছিলো ৩৬ লাখ ৬৬ হাজার মেট্রিক টন। ফলে প্রায় ৩ লাখ মেট্রিক টন সবজি বেশি উৎপাদিত হয়েছে।
তারপওর কেন সবজির দাম কমছে না? এমন প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, ঝড় বৃষ্টির কারণে সরবরাহে ব্যঘাত ঘটেছে। এছাড়া গ্রাম থেকে শহরে সবজি আসতে পরিবহণ ভাড়া বেশি। আমাদের ব্যবসায়ীদের লাভ করার প্রবোণতাও অধিক। একবার কোনো পণ্যের দাম বাড়লে আর কমে না।
বিবিএস’র সংবাদ সম্মেলনে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব কে এম মোজাম্মেল হক ২০১৫-২০১৬ অর্থবছর ও ২০১৬-১৭ অর্থবছরের আউশ, আমন ও বোরো ধান এবং গম, ভুট্টা ও আলুর উৎপাদনের হিসাব তুলে ধরেন। মোজাম্মেল জানান, ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে ২২ দশমিক ৮৮ লাখ মেট্রিক টন আউশ ধান উৎপাদন হয়েছিল। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তা ২১ দশমিক ৩৩ লাখ মেট্রিক টনে নেমে আসে। তবে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে আমন উৎপাদন বেড়েছে। এই অর্থবছরে ১৩৬ দশমিক ৫৬ লাখ মেট্রিক টন আমন উৎপাদন হয়েছে, যা আগের অর্থবছর ছিল ১৩৪ দশমিক ৮৩ লাখ মেট্রিক টন। আগাম বন্যায় এবার বোরো ধানের উৎপাদন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান বিবিএস সচিব। মার্চ থেকে মে- এই তিন মাস বাংলাদেশে বোরোর চাষ হয়। গত অর্থবছর এই মৌসুমে ১৮৯ দশমিক ৩৭ লাখ মেট্রিক টন ধান উৎপাদিত হয়েছিল। আর এবার বন্যার কারণে তা কমে হয়েছে ১৮০ দশমিক ১৩ লাখ মেট্রিক টন। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে গম উৎপাদনও আগের অর্থবছরের তুলনায় ৩৬ হাজার মেট্রিক টন কমেছে বলে জানান মোজাম্মেল হক। তবে গত অর্থবছর আলুর উৎপাদন বেড়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে যেখানে ৯৪ দশমিক ৭৪ লাখ মেট্রিক টন আলু উৎপাদিত হয়েছিল, সেখানে ২০১৬-১৭ সময়ে হয়েছে ১০২ দশমিক ১৫ লাখ মেট্রিক টন।
বেড়েছে ভুট্টার উৎপাদনও। আগের অর্থবছরের ২৪ দশমিক ৫৫ লাখ মেট্রিক টন থেকে হয়েছে ২৭ দশমিক ৫৮ লাখ মেট্রিক টন। পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বোরো ধানের উৎপাদন বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সার্বিকভাবে খাদ্য উৎপাদন কমে গেছে। খাদ্য পণ্যের উৎপাদন কমলেও গত অর্থবছরে কৃষি খাতে ২ দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে বলে গত মঙ্গলবার জানিয়েছিলেন মন্ত্রী।
এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধি হিসাব করতে খাদ্য পণ্যের বাইরেও অন্যান্য কৃষি পণ্যের হিসাব করা হয়। সেই হিসাবে কৃষি খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

 



 

Show all comments
  • Parvez Ahamed ১৭ নভেম্বর, ২০১৭, ১১:৩০ এএম says : 0
    খুব ভাল... উদোগ।
    Total Reply(0) Reply
  • মোহাম্মদ আজিজুর রহমান ১৭ নভেম্বর, ২০১৭, ১১:৩১ এএম says : 0
    সেই স্বপ্নস্বাদের আশায় বুক বেধে আছি।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ