পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের নিরাপত্তা উন্নয়নে ৭৩ কোটি টাকায় যুক্তরাজ্যের একটি কোম্পানিকে নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। যুক্তরাজ্য ঢাকা থেকে কার্গো ফ্লাইট নিষিদ্ধের পর ওই দেশের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতেই রেডলাইন এভিয়েশন সিকিউরিটি লিমিটেডকে এই কাজ দেওয়া হল। আজ রোববার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ব্রিটিশ কোম্পানিকে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত করা হয় বলে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ জানিয়েছেন। এখন এই কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি হবে জানিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “কাল (সোমবার) থেকেই কার্যক্রম শুরু হবে। ৩১ মার্চের মধ্যে কাজ শেষ করবে। অনেক লোক এখানে কাজ করবে। ৩৯ জন তাদের দেশ থেকে আসবে।” ব্রিটিশ কোম্পানিকে নিয়োগের মাধ্যমে শাহজালাল বিমান বন্দরের কার্গো সংকট কেটে যাবে বলেও মনে করছেন বাণিজ্যমন্ত্রী। “যে সঙ্কট দেখা দিয়েছিল তা নিরসন হল। আমরা মনে করি, শিগগিরই বিধিনিষেধ প্রত্যাহার হবে এবং রপ্তানি আবার আমরা শুরু করতে পারব।” নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে অসন্তোষ থেকে গত ৮ মার্চ ঢাকা থেকে সরাসরি কার্গো ফ্লাইট চলাচল বন্ধ করে দেয় যুক্তরাজ্য। বাণিজ্যিক ক্ষতির মুখে পড়ে এই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হয় সরকার। এরপর যুক্তরাজ্যের পরামর্শ নিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নের সিদ্ধান্ত হয়। বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন সাংবাদিকদের বলেন, “তারা (ব্রিটিশ কোম্পানি) পলিসি লেভেলে কিছু পরামর্শ দেবে, অন্য কাজের সুপারভাইজরি করবে।” ব্রিটিশ এই কোম্পানিকে দুই বছরে ৭৩ কোটি ২৫ লাখ ৭৯ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, সোমবার চুক্তি করে পরদিন থেকেই কাজ শুরু হবে। ব্রিটিশ এই কোম্পানিকে নিয়োগ দিতেই আজ রোববার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক ডাকা হয়। সাধারণত প্রতি সপ্তাহের বুধবার এই সভা হলেও (গত বুধবার সভা হয়েছে) আজ রোববার তড়িঘড়ি এই মন্ত্রিসভা কমিটির সভা করল সরকার। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, “তড়িঘড়ি সভা করতে আইনে কোনো বাধা নেই।” শাহজালালের নিরাপত্তা উন্নয়নে ব্রিটিশ কোম্পানির নিয়োগ প্রস্তাবটি প্রথমে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি অনুমোদন দেয় পরে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি তা চূড়ান্ত অনুমোদন করে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত উভয় কমিটির সভাপতি হলেও রোববারের বৈঠকে তিনি উপস্থিত ছিলেন না। কী কারণে মুহিত বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন সে বিষয়ে কেউ কিছু বলেননি। অর্থমন্ত্রীর অনুপস্থিতে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এসব সভায় সভাপতিত্ব করলেও রোবারের বৈঠকে তিনিও ছিলেন না। তাই বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল এই মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের আগে সকালে সরাসরি কার্গোতে পণ্য পরিবহনে যুক্তরাজ্য আরোপিত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে গঠিত স্টিয়ারিং কমিটির দ্বিতীয় সভা হয় বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ে। এতে মন্ত্রী মেনন সভাপতিত্ব করেন। ওই বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “রেড লাইন এভিয়েশন সিকিউরিটিকে আমরা আমাদের কনসালটেন্সি ও সেবা দেওয়ার জন্য নিয়োগ করতে যাচ্ছি।” বিমানবন্দরের পুরো নিরাপত্তা তারা দেখবে কি না- জানতে চাইলে মেনন বলেন, “না, না, না। সিকিউরিটি দেখবে আমাদের লোকজন। তারা সুপারভাইজরি কাজ করবে। কনসালটেন্সি দেবে, জনবলকে ট্রেইন করবে।”
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।