Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের উপর চাপ বাড়াতে সোচ্চার হোন -স্পিকার

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ নভেম্বর, ২০১৭, ৬:২৭ পিএম | আপডেট : ৭:২০ পিএম, ১৬ নভেম্বর, ২০১৭

রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রস্তাবিত পাঁচ দফার আলোকে মিয়ানমারের প্রতি চাপ বৃদ্ধির জন্য রোটারী ইন্টারন্যাশনালকে সোচ্চার হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। বৃহস্পতিবার সফররত রোটারী ইন্টারন্যাশনালের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান পল এ. নেটজেল তাঁর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ তাগিদ দেন।
রোটারী ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট-৩২৮১ এর গভর্নর রোটারীয়ান এফ এইচ আরিফ, ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের (আইইউবি) ফ্যাকাল্টি মেম্বার রোটারীয়ান কান্তারা কে খান, রোটারীয়ান পিডিজি সাফিনা রহমান ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
স্পিকার বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন হতে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা চরম বঞ্চিত- যাদের কাছ থেকে শিক্ষা স্বাস্থ্যসহ প্রায় সকল মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। তারা সমাজের দরিদ্র থেকে দরিদ্রতম জনগোষ্ঠী। দিশেহারা রোহিঙ্গারা যখন ঠিকানার খোঁজে দিকবিহীন তখনই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ভূমিতে তাদের আশ্রয় দিয়ে সূচনা করলেন মানবতার নব দিগন্ত। তিনি বলেন,রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে স্থায়ী প্রত্যাবর্তনে রোটারী ইন্টার ন্যাশনাল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। মানবেতর জীবন যাপনকারী নারী ও শিশুদের জন্য সহযোগিতার হাত সম্প্রসারণের জন্য তিনি রোটারী ইন্টারন্যাশনালের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।
ড.শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে রোটারী ইন্টারন্যাশনাল সরকারের পাশাপাশি আর্তমানবতার সেবায় নানামুখী ভূমিকা রেখে আসছে- যা দৃশ্যমান। রোটারীর কার্যক্রম কোনভাবেই বিচ্ছিন্ন নয় বরং সংসদ, বেসরকারি অন্যান্য সংস্থা ও সরকারের সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে কার্য পরিচালনা করলে তার সার্বিক সুফল জনগণ ভোগ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ সময় স্পিকার রোটারী কার্যক্রমের সাথে সংসদ সদস্যদের সম্পৃক্ত করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, এতে করে জনগণের প্রতিনিধিগণের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ের জনগণ উন্নয়নের আওতায় আসবে-অর্জিত হবে কাঙ্ক্ষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য ২০৩০।
পল এ. নেটজেল বলেন, বিশ্বকে পোলিও মুক্ত করতে রোটারী ইন্টারন্যাশনাল অব্যাহতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশে এ কার্যক্রমের আওতায় ২০০ কোটি টাকার কার্যক্রম চলমান। এ ধারাবাহিকতায় সুপেয় পানি, স্যানিটেশন, ক্যানসার হসপিটাল, প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন ও আর্সেনিক দূরীকরণে রোটারী ক্লাব বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করছে। রোহিঙ্গাদের আবাসন ও অন্যান্য সেবার জন্য রোটারী ইন্টারন্যাশনাল ইতোমধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও সহযোগিতার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা ইস্যু


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ