Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

রোহিঙ্গা নিয়ে প্রশ্নোত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা : দেশ নজিরবিহীন সংকটে

স্টাফ রিপোর্টার সংসদে | প্রকাশের সময় : ১৫ নভেম্বর, ২০১৭, ৮:২৫ পিএম

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে বাংলাদেশ নজিরবিহীন সংকটে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে মানবিক সহায়তা দেওয়া এবং তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে বাংলাদেশ এক নজিরবিহীন সংকটের মুখোমুখি। তবে আমরা বিশ্বাস করি আন্তর্জাতিক মহলের সহযোগিতায় বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যেও শান্তিপূর্ণ উপায়ে এ সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ সফল হবে। গতকাল জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে মৌলভীবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল মতিনের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হওয়ার পর প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া বাংলাদেশের সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সামরিক অভিযান ও সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে রোহিঙ্গা সমস্যা জটিল আকার ধারণ করেছে। অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখানকার পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর। দুই মাস সময়ের মধ্যে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা সহিংসতার শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। বর্তমানে ১০ লাখের বেশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা বাংলাদেশে বসবাস করছে। মানবিক কারণে এই বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়া হলেও তাদের দীর্ঘকাল বাংলাদেশে রাখা সম্ভব নয়। রোহিঙ্গা সমস্যার মূল উৎপত্তি মিয়ানমারে। এর সমাধানও সে দেশকেই করতে হবে। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে সরকারের বিভিন্ন কূটনৈতিক উদ্যোগ তুলে ধরে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরানোর লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক মহলের জোর সমর্থন আদায়ে বাংলাদেশ সফল হয়েছে। রোহিঙ্গা সমস্যা দেখতে বিশাল বহর নিয়ে খালেদা জিয়ার কক্সবাজার যাত্রা ও কিছু অযাচিত মন্তব্যের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের গ্রামে একটা প্রবাদ প্রচলিত আছে- ‘পাগলে কিনা কয়, ছাগলে কি না বলে’। যিনি (খালেদা জিয়া) দেখেও দেখে না, তাঁকে দেখাবার কিছু নেই। উনার সব কাজেই তো ব্যর্থতা। নির্বাচন ঠেকানোর নামে মানুষকে পুড়িয়ে পুড়িয়ে হত্যা করেছেন, কিন্তু জনগণ সেটা ঠেকিয়ে দিয়েছে। সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোট চুরি করে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল, থাকতে পারেন নাই। দেড় মাসের পদত্যাগে বাধ্য হয়েছিলেন। জনগণ আন্দোলনের মাধ্যমে তাঁকে পদত্যাগে বাধ্য করে বিতাড়িত করেছিল। ক্যান্টনমেন্টের দখলকৃত বাড়ি রক্ষায় আদালতে গিয়ে ফেঁসে গেলেন। বাড়ি হারিয়ে অঝোর ধারায় কাঁদলেন, বাড়ি আর রাখতে পারলেন না। এমন বহু ব্যর্থতার ইতিহাস বিএনপি নেত্রীর আছে। আসলে মানবিক কোন গুণাবলীই বিএনপি নেত্রীর মধ্যে নেই।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ব্যর্থতার অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেছেন, যিনি (খালেদা জিয়া) সব কাজেই ব্যর্থ, তিনি তো অন্যর সব কাজে ব্যর্থতাই দেখবেন। বহু ব্যর্থতার ইতিহাস তাঁর আছে। ব্যর্থতা ছাড়া সফলতা দেখার মতো মানসিকতা তো তাঁর নেই। যার চক্ষু থাকতেও অন্ধ তাকে দেখাবে কে? তিনি আরো বলেন, বিশ্বের সব দেশ বাংলাদেশের এমন মানবিক অবস্থানের প্রশংসা করেছে। সেই সঙ্গে মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা যাতে স্বদেশে ফিরে যেতে পারে, সেজন্য বিশ্ববাসী জোরালোভাবে তৎপর রয়েছে।
দুর্গত রোহিঙ্গাদের দেখার নামে খালেদা জিয়ার বিশাল বহর নিয়ে কক্সবাজার সফরের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা মানবিক কারণে অসহায়-নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি। এটা হচ্ছে একটা অনুভূতির ব্যাপার, এটা হচ্ছে একটা বোধের ব্যাপার। কিন্তু বিএনপির সেই বোধটা আছে কি না, সেটাই প্রশ্ন। তিনি বলেন, বিএনপি নেত্রী সেখানে গেলেন যেভাবে সাজসজ্জা নিয়ে ঢোল-বাদ্য, হাতি-ঘোড়া সবই নিয়ে উনি কক্সবাজার গেলেন। এটা দেখে সবার প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক, বিএনপি নেত্রী কী কোন দুর্গত মানুষকে দেখতে গিয়েছিলেন, নাকি সেখানে বরযাত্রী হিসেবে গেলেন?
সংসদ নেতা বলেন, বিএনপি নেত্রীর দুর্গত মানুষকে দেখা নয়, মনে হয়েছে একটা শোডাউন করা এবং গাড়ী টারি সব কিছু দেখানোর ওপরই বেশি দৃষ্টি ছিল তাঁদের। কারণ এটাতো বাস্তবতা যে, মানবিক কারণে এদের সহযোগিতা করা বা পদক্ষেপ নেওয়া- এই অভ্যাস তো তাদের (খালেদা জিয়া) নেই। আওয়ামী লীগ সব সময় একটা মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ায়। এটাই আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গীকার। বিএনপি নেত্রীর কক্সবাজার যাত্রা যতটা লোক দেখানো জন্য ছিল, সেখানে আন্তরিকতা ততটা ছিল না এটা সবাই জানে, বুঝে।
রোহিঙ্গা সমস্যা জিয়াউর রহমানেরই সৃষ্টি দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা তাদেরই সৃষ্টি, তাঁর (খালেদা জিয়া) স্বামী এই সমস্যা সৃষ্টি করে গেছেন। সব কিছুতেই সমস্যা সৃষ্টি হোক সব সময় তারা চায়। বিএনপি- জামায়াতের লক্ষ্য ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করা। ঘোলা পানিতে কিভাবে মৎস্য শিকার করবে তাতেই ব্যস্ত। কাজেই বিএনপি নেত্রীর বক্তব্যে আমি ধর্তব্যে নিই না। আমরা মানবিক দিক থেকে সবকিছু বিবেচনা করি।
তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর এমন সম্পুরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কটের সুযোগ নিয়ে কেউ দেশে অশান্তি, উস্কানি কিংবা সংঘাত সৃষ্টির করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে সরকার সম্পূর্ণ সজাগ ও সতর্ক রয়েছে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে প্রতিবেশী দেশগুলোতে কাউকে কোন উস্কানিমূলক তৎপরতা কিংবা সংঘাত সৃষ্টির তৎপরতা চালাতে দেব না। কেউ এসবের সঙ্গে জড়িত থাকলে, কেউ মদদ বা উস্কানি দিলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, এই রোহিঙ্গা সমস্যা তো ১৯৭৮ সালে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী জিয়াউর রহমানের আমলেই সৃষ্টি। ওই সময়ই পার্বত্য চট্টগ্রামকেও অশান্ত করা হয়। রোহিঙ্গা ইস্যুতেও অনেকেই সেখানে পরিবেশ অশান্ত করার চেষ্টা করছে এতে কোন সন্দেহ নেই। তবে জড়িতদের অবশ্যই আমরা খুঁজে বের করবো। আমরা ইতোমধ্যে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিক রোহিঙ্গাদের ছবি, ফিঙ্গার প্রিন্টসহ আইডি কার্ড করে দিচ্ছি, নিবন্ধন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে সাড়ে ৫ লাখ রোহিঙ্গাদের নিবন্ধন সম্পন্ন করা হয়েছে। এসব রোহিঙ্গারা যাতে ছড়িয়ে না পড়তে পারে এবং কোন অন্যায়কাজে জড়িত হতে না পারে সেজন্য সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
দলীয় সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থীর আশ্রয় নেওয়ার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত এদেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বলেন, এটা ঠিক, বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা আশ্রয় নেওয়ার ফলে বন ও পাহাড়ি অনেক গাছপালা নষ্ট হয়ে গেছে। ফলমূলের চাষাবাদ করে যারা জীবিকা নির্বাহ করতেন- তারা সে সুযোগ পাচ্ছেন না। এতগুলো মানুষ এদেশে এসেছে। এতে করে এদেশের গরিব মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এই মানুষগুলোর খাদ্য ও জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থাও সরকার করে দেবে। তিনি আরো বলেন, ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় ও খাদ্য দেওয়া হচ্ছে। সেখানে মাত্র ১৫ হাজার মানুষকে সহযোগিতা করতে পারবো না- এতোটা দৈন্যতায় সরকার পড়েনি। ডা. রুস্তম আলী ফরাজীর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা জানান, এদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের কারো কারো শরীরে এইচআইভি জীবাণু পাওয়া গেছে। নানা শারীরিক সমস্যাও দেখা দিয়েছে। তাদের আলাদা করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদের মাধ্যমে সারাদেশে যেন রোগজীবাণু ছড়াতে না পারে- সে বিষয়েও সরকার সচেতন রয়েছেন। শরণার্থীদের পুনর্বাসন এলাকায় একাধিক মেডিকেল ও স্বাস্থ্যসেবা টিম কর্মরত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
স্বতন্ত্র দলীয় সংসদ সদস্য আবদুল মতিনের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানবিক কারণে মিয়ানমারের অসহায় নাগরিক রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় বিশ্ববাসী আজ বাংলাদেশের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। মানবিক কারণে আমরা এদের আশ্রয় দিলেও এ বিপুল জনগোষ্ঠিকে দীর্ঘকাল বাংলাদেশে রাখা সম্ভব হবে না। লাখ লাখ অসহায় রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা এবং তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে বাংলাদেশ আজ এক নজিরবিহীন সংকটের মুখোমুখি। মনে রাখা প্রয়োজন রোহিঙ্গা সমস্যার মূল উৎপত্তি মিয়ানমারে এবং এর সমাধানও সে দেশকেই করতে হবে। এক প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা জানান, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মহলের জোর সমর্থন আদায়ে সফল হয়েছে। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া থেকে শুরু করে মানবিক সহায়তা প্রদান এবং তাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা চালিয়ে যাওয়ায় আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশ বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে। তিনি দাবি করেন, আন্তর্জাতিক মহলে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে যে জনমত সৃষ্টি হয়েছে তা আওয়ামী লীগ সরকারের জোর কূটনৈতিক প্রচেষ্টারই ফলাফল। আমরা কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রেখে মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক যোগাযোগের মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধানের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। মিয়ানমারের নাগরিকদের স্বদেশে নিরাপদে ফিরে যাওয়ার বিষয়টি এখন আন্তর্জাতিকভাবে সকলের প্রত্যাশার অংশ।
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বেগম ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনে রোহিঙ্গা সমস্যার উপরে সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করেছি। এবারের অধিবেশন এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে যখন হাজার হাজার নিরীহ রোহিঙ্গা প্রতিদিন প্রাণভয়ে মিয়ানমার থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে আসছে। তিনি আরো বলেন, জাতিসংঘের সাধারণ বিতর্ক পর্বের ভাষণে রোহিঙ্গা সমস্যা নিরসনে আমার পাঁচ দফা প্রস্তাবনা পেশ করেছি। এই সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব বিশ^ মহল অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করেছে। জাতিসংঘ মহাসচিব, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনারসহ বরেণ্য বিশ^নেতাগণ রোহিঙ্গাদের উপর চালানো নির্যাতনের নিন্দা জানিয়েছেন এবং এই সমস্যার আশু সমাধানে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মো. আবদুল্লাহ’র প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে আগত রোহিঙ্গাদের দু:খ-দুর্দশা লাঘবে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে বলেন, মিয়ানমারের নাগরিকদের জন্য মানবিক সহায়তা’ নামে একটি ব্যাংক একাউন্ট খোলা হয়েছে। যার চলতি হিসাব নম্বর : ৩৩০২৪৬২৫, সোনালী ব্যাংক, কক্সবাজার শাখা, কক্সবাজার। এই হিসাবে গত ৬ অক্টোবর পর্যন্ত জমাকৃত মোট অর্থের পরিমাণ তিন কোটি ৪৩ লাখ ৯০ হাজার ৪৬৬ টাকা। আরেক সংসদ সদস্য সেলিনা বেগমের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, বিগত ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদসহ বিগত আট বছরে তিনি ২৭টি পুরস্কার ও ১৩টি সনদ পেয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কোনো সরকারের আমলে কোনো সরকার প্রধানই এতগুলো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করতে পারেনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ