পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা থেকে উত্তরাঞ্চলের রেলপথে সম্ভাবনার দুয়ার খুলছে। ঢাকা থেকে উত্তরাঞ্চলের রেলপথে যোগাযোগ আরও সুগম করতে নতুন করে ৯০ কিলোমিটার ডাবল লাইন রেলপথ নির্মাণের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। শুরু হচ্ছে সিরাজগঞ্জ-বগুড়া লিংক রেললাইনের কাজ। এটি চালু হলে ঢাকা থেকে রংপুরের দূরত্ব ১১২ কিলোমিটার কমে যাবে। সময় লাগবে এখনকার তুলনায় কমপক্ষে তিন ঘণ্টা কম। রেলওয়ে সূত্র জানায়, ভারত সরকারের ঋণ সহায়তায় ইতোমধ্যে নিশ্চিত হয়েছে প্রকল্পটি। খুব শিগগিরি এটি আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে।
উত্তরবঙ্গের বগুড়া থেকে সিরাজগঞ্জ হয়ে বঙ্গœ্ধু সেতু পর্যন্ত সরাসরি কোনো রেলপথ নেই। উত্তরাঞ্চলের ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, দিনাজপুর, রংপুর, লালমনিরহাট অথবা কুড়িগ্রাম থেকে থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনগুলো সান্তাহার ও ঈশ্বরদী হয়ে ১৮০ কিলোমিটার ঘুরে বঙ্গবন্ধু সেতুতে ওঠে। অথচ বগুড়া থেকে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত ৯০ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করলেই দূরত্ব অনেক কমে যায়। পাশাপাশি সময়ও কমে। রেলওয়ে সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে রেলমন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক সিরাজগঞ্জ-বগুড়া লিংকরেল নির্মাণে অনেক আগেই উদ্যোগ গ্রহণ করেন। কিন্তু বরাদ্দের অভাবে প্রকল্প হাতে নেয়া যায় নি। ভারত সরকারের ঋণ সহায়তায় খুব শিগগিরি এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বগুড়া থেকে সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী স্টেশন পর্যন্ত সরাসরি নতুন ডুযেল গেজ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ৯০ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে মেইন লাইন ৭৯ দশমিক ৩০ কিলোমিটার এবং লুপ লাইন ১১ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার। প্রকল্পের আওতায় ব্যয় হবে মোট ৫ হাজার ২৪৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ভারতীয় ঋণ রয়েছে ২ হাজার ৬৬২ কোটি টাকা। সূত্র জানায়, প্রকল্পটি চলতি বছর থেকেই শুরু হয়ে ২০২২ সালের মধ্যেই শেষ হবে। রেললাইনের পাশাপাশি এই প্রকল্পের আওতায় রয়েছে ট্র্যাকওয়ার্ক, বাঁধ, স্টেশন ভবন, সেতু ও কাভার্ট নির্মাণ।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে উত্তরাঞ্চলের ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, দিনাজপুর, রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও বগুড়া থেকে ট্রেনে চড়ে সহজেই ঢাকায় আসা যাবে। এতে করে লাভবান হবে পুরো উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দারা। অনেকের মতে, রেলওয়ের এই প্রকল্পটি হবে পুরো উত্তরাঞ্চলের উন্নয়নের চাবিকাঠি। এটি বাস্তবায়িত হলে উত্তরাঞ্চলের আর্থ-সামাজিক অবস্থার আমুল পরিবর্তন ঘটবে। রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে ঈশ্বরদী বাইপাস হয়ে বর্তমানে রেলপথে রংপুরের দূরত্ব প্রায় ৪০৫ কিলোমিটার। কিন্তু এই নতুন লাইন ব্যবহার করে গেলে, ভায়া বগুড়া-সান্তাহার হয়ে ঢাকা থেকে রংপুরের দূরত্ব হবে প্রায় ৩৭২ কিলোমিটার (৩২ কিলোমিটার কম)। ভায়া বগুড়া-কাউনিয়া হয়ে এ রেলপথে দূরত্ব দাঁড়াবে প্রায় ৪০৩ কিলোমিটার (২ কিলোমিটার কম)। বগুড়া-সিরাজগঞ্জ লিংক রুট চালু হলে ঢাকা থেকে রংপুর যেতে দূরত্ব কমবে ১১২ কিলোমিটার। সময় কমবে কমপক্ষে তিন ঘণ্টা। তখন রংপুর, বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলের যে কোনো জেলা থেকে ট্রেনে ঢাকায় আসা অনেক সহজ হবে। এই রুট চালু হলে লাভবান হবে দিনাজপুর, পঞ্চগড়, রংপুর, কুড়িগ্রাম লালমনিরহাট, বগুড়াসহ পুরো উত্তরবঙ্গের বাসিন্দারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।