গত ২৫ আগস্ট ২০১৭ তারিখে দৈনিক ইনকিলাবে প্রকাশিত ‘রাবি শিক্ষকদের যৌন হয়রানি বাড়ছেই, সেই শাওন আবারও স্বপদে’ শীষক প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছেন অভিযুক্ত শিক্ষক শাওন উদ্দিন। প্রকাশিত প্রতিবেদনে তার অংশটুকু উদ্দেশ্যমূলক এবং মানহানিকর দাবি করেন।
প্রতিবাদে তিনি বলেন, আমার বরখাস্তের সিদ্ধান্তকে বেআইনি ঘোষণা এবং তা বাতিল করে গত ২৬ জুলাই ২০১৬ তারিখে হাইকোর্ট বিভাগ রায় প্রদান করেন। উক্ত রীট পিটিশনের রায়ের সার্টিফাইড কপি আমি গত ২১ জুন ২০১৭ হাতে পেলে ২৪-৩০ জুন বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি থাকায় গত ১ জুলাই ২০১৭ তারিখে আমি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে রায় অবহিত করি। কর্তৃপক্ষ রায় মোতাবেক আদালতের নির্দেশনা পালন করেন। এমতাবস্থায় আমার কোন প্রকার ইচ্ছাকৃত বিলম্ব ছিলনা কিন্তু প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ বিষয়ে বলা হয়, “তিনি মামলায় ২০১৬ সালের ২৬ জুলাই রায় পান। অথচ রায় পাবার এক বছর পর তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি ফিরে পেতে আবেদন করলে বর্তমান প্রশাসন তাকে স্ব-পদে বহালের সিদ্ধান্ত নেয়। এছাড়াও ছাত্রদের আবাসিক হলে ছাত্রী নিয়ে প্রবেশের বিষয়টিও সঠিক নয়।
প্রতিবেদকের বক্তব্য,
‘রাবি শিক্ষকদের যৌন হয়রানি বাড়ছেই, সেই শাওন আবারও স্বপদে’ শীর্ষক সংবাদে অন্য কেউ প্রতিবাদ না করলেও শাওন উদ্দিন প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তার প্রতিবাদটি সঠিক নয়।
তিনি শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করেছেন। প্রতিবেদনটি ছিল সংক্ষিপ্ত আকারে। যার বিশদ বিবরণ ও তথ্যাদি প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত আছে। রায়ের ব্যাপারে শাওন উদ্দিন যে বক্তব্য দিয়েছেন তা পরিপূর্ণ নয়। যার সমস্ত কপি সংরক্ষিত রয়েছে। তার যোগদান নিয়ে ক্যাম্পাসে নানা মুখী গুঞ্জনের কথা তুলে ধরা হয় প্রতিবেদনে। চাকুরী চ্যুতকালীন প্রায় এক বছর ভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করে অর্থ উপার্জন করলেও পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সে সময়কার সকল বকেয়া তার বহালের পর দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তা কতোটুকু নৈতিক ও যৌক্তিক এ নিয়েও প্রশ্ন থেকে যায়। প্রতিবেদনের এই বিষয়টিও প্রতিবাদ লিপিতে তিনি এড়িয়ে গেছেন।