Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ১৪ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কদমতলী-নতুনবাজার রাস্তার এক পাশ খুলে দেয়া হোক
রাজধানীর ঢাকার সঙ্গে পশ্চিম বিক্রমপুরসহ দেশের গোটা দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশ এবং বহির্গমনের দুটি গেইট রয়েছে। একটি পোস্তগোলা ১নম্বর বুড়িগঙ্গা সেতু, অপরটি বাবুবাজার ২ নম্বর বুড়িগঙ্গা সেতু। রাস্তা সম্প্রসারণ ও অন্যান্য কাজের জন্য গত ৬ অক্টোবর থেকে বুড়িগঙ্গা ২ নম্বর সেতু থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের নতুন বাজার পর্যন্ত রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছিল ৩১ অক্টোবরের মধ্যে রাস্তাটির কাজ শেষ হবে এবং যানবাহন চলাচল শুরু হবে। কিন্তু এক মাস পার হয়ে গেলেও রাস্তার কাজ শেষ হওয়া তো দূরের কথা, এখন পর্যন্ত শুরুই করা হয়নি।
এদিকে বাবু বাজার সেতু দিয়ে যাতায়াতকারী যানবাহগুলোকে পোস্তগোলা সেতু ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। দুই সেতুর যানবাহন এক সেতু দিয়ে যাতায়াতের ফলে পোস্তগোলা সেতু, পোস্তগোলা-যাত্রাবাড়ি সড়ক, এবং পোস্তগোলা- দয়াগঞ্জ সড়কে প্রতিদিন সৃষ্টি হচ্ছে অসহনীয় যানজট। ফলে প্রতিদিন বিক্রমপুর ও দক্ষিণাঞ্চলে যাতায়াতকারী হাজার হাজার মানুষকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকা পড়ে থাকতে হচ্ছে তাদেরকে।
এমতাবস্থায়, বুড়িগঙ্গা দ্বিতীয় সেতুর দক্ষিণ প্রান্ত কদমতলী থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক (নতুন বাজার) পর্যন্ত রাস্তার এক পাশ খুলে দিয়ে শুধু ঢাকা থেকে গাড়ি বের হওয়া এবং পোস্তগোলা সেতু দিয়ে ঢাকায় প্রবেশের ব্যবস্থা করা গেলে যানজট ও জনদুর্ভোগ অনেকাংশে কমে আসবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে দ্রæত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশা করি।

মহিউদ্দিন খান মোহন
(সাংবাদিক )
গ্রাম: মাশুরগাঁও, উপজেলা: শ্রীনগর, ঢাকা।

বর্ষণে কৃষি এবং কৃষকের ক্ষতিই বেশি
কৃষি প্রধান দেশ আমাদের এই বাংলাদেশ। কৃষক সমাজ আমাদের নিত্য দিনের খাদ্যের যোগান দেয়। হার ভাঙ্গা পরিশ্রম করে ফসল উৎপাদন করে। দেশকে খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ করতে কৃষকের ভূমিকা লক্ষ করার মত। কৃষির উৎপাদন ব্যহত হলে এর প্রভাব সারা দেশেই পড়ে। আমরা কৃষকের ক্ষতি কখনোই আশা করি না। কৃষকের ক্ষতি মানে কৃষির ক্ষতি। আর কৃষির ক্ষতি মানে দেশের খাদ্য ঘাটতি। কিন্তু প্রকৃতিক দূর্যোগে দেশের বিভিন্ন খাতে ক্ষতি হলেও কৃষি অঙ্গনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়। বিশেষ করে ভারী বর্ষণে কৃষি ও কৃষকের অপূরনীয় ক্ষতি হয়। কৃষকের এই অপূরণীয় ক্ষতিতে দেশের মারাত্বক খাদ্য ঘাতটি দেখা দেয়। যার ফলে নিত্য দিনের সবজি বাজারের দাম মাত্রারিক্ত হারে বেড়ে যায়। প্রাকৃতিক দূর্যোগ হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই ঘন ঘন দূর্যোগ হয়। এজন্য প্রাকৃতিক দূর্যোগকে দায়ী না করে কৃষি অঙ্গনে কৃষককে ফসল ফলানোর প্রতি উদ্ভুদ্ধ করতে হবে। শাক সবজি উৎপাদনের জন্য প্রতিটি মানুষকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। সরকারের কৃষি মন্ত্রানালয় এ ব্যাপারে জোরালো ভূমিকা পালন করবে এবং কৃষকের দিকে সুনজর দিবে। তাহলে প্রাকৃতিক দূর্যোগেও আমরা খাদ্যে পরিপূর্ণ থাকবো।

আজিনুর রহমান লিমন
ডিমলা, নীলফামারী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন