পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে গতকাল শুক্রবার শহীদ নূর হোসেন দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে সকালে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন রাজধানীর জিরো পয়েন্টে শহীদ নূর হোসেন স্কয়ারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এ উপলক্ষে সকাল ৮ টায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নূর হোসেন স্কয়ারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল-আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, একেএম এনামুল হক শামীম, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এসএম কামাল হোসেন ও রিয়াজুল কবির কাওছারসহ আরও অনেকে।
এরপর সকাল সাড়ে ৮টায় শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে রাজধানীর জিরোপয়েন্টে ‘নূর হোসেন চত্বরে’ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য মুক্তিযোদ্ধা এসএম ইউনুস আকবর এবং বঙ্গবন্ধু জয়বাংলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. সুজাউল করিম চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আহ্সান উল্লাহ্ মনি ও কায়সার-ই-আলম প্রধানসহ আরও অনেকে। অপরদিকে সকালে শতাধিক মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে জিরোপয়েন্টে ‘নূর হোসেন চত্বরে’ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান যাত্রাবাড়ি থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনর রশীদ মুন্না। এ সময় উপস্থিত ছিলেন যাত্রাবাড়ি থানা আওয়ামী লীগের নেতা ৪৮নং ওয়ার্ড কমিশনার আবুল কালাম অনু, আওয়ামী লীগের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন গেসুসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ-যুবলীগ নেতৃবৃন্দ।
শহীদ নূর হোসেন সংসদের কর্মসূচির মধ্যে ছিল সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে নূর হোসেন চত্বরে পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে জুরাইন কবরস্থানে নূর হোসেনের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং ফাতেহা পাঠ। রাজধানীর জিরো পয়েন্ট মোড়ে ‘শহীদ নূর হোসেন স্কয়ার’-এ সকাল সাড়ে আটটায় ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান নূর হোসেনের বড় ভাই আলী হোসেন। পরে রাজধানীর জুরাইন কবরস্থানে নূর হোসেনের বড় ভাই আলী হোসেন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ও দোয়া পাঠ করেন। দিবস উপলক্ষে ‘শহীদ নূর হোসেন ফাউন্ডেশন’ সকাল ৯ টায় জুরাইন কবরস্থানে পূষ্পমাল্য অর্পণ এবং বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।
এ ছাড়াও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ যুব মৈত্রী, ছাত্রমৈত্রী, বিপ্লবী ছাত্রসংহতি, শহীদ নূর হোসেন ফাউন্ডেশন, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, আওয়ামী মটর চালক লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন নূর হোসেন স্কায়ারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর ১৫ দল, ৭ দল ও ৫ দলের সচিবালয়ের সামনে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি ছিলো। সেই কর্মসূচির সঙ্গে স¤পৃক্ত ছাত্র সংগঠনগুলোর সমর্থনে অবস্থান ধর্মঘট ঘেরাও কর্মসূচিতে রূপ লাভ করে। স্বৈরশাসক এরশাদের সকল বাধাকে উপেক্ষা করে ১০ নভেম্বর সকাল থেকেই সচিবালয়ের চারদিকে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার মিছিল সমবেত হয়। তখন তোপখানা রোডের মুখে পুলিশ বক্স পেরিয়ে শুরু হয় নূর হোসেনদের সাহসী মিছিল, সাহসী যুবক খালি গায়ে লিখেছিল ‘গণতন্ত্র মুক্তিপাক- স্বৈরাচার নিপাত যাক’।
সমাবেশ শুরুর সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় পুলিশের বেধড়ক লাঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ। পল্টন তখন রণক্ষেত্র। এরই মধ্যে খবর আসে পুলিশের গুলিবর্ষণে শহীদ হয়েছেন নূর হোসেন। আহত হয়েছেন অনেকে।
নূর হোসেনের আত্মদানের মাধ্যমে সেদিন গণতন্ত্রের নতুন সংগ্রাম শুরু হয়। সেই সংগ্রামের ধারায় ১৯৯০ সালের ৪ ডিসেম্বর স্বৈরাচারী শাসক এরশাদের পতন হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।