Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ডাক্তারের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে

| প্রকাশের সময় : ১০ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

চিকিৎসা মানুষের মৌলিক অধিকারের একটি। স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর চিকিৎসাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।
মুক্তিযুদ্ধের পর বিধ্বস্ত বাংলাদেশে চরম দুর্দিনেও বঙ্গবন্ধু মানুষের এই মৌলিক অধিকার পূরণকে অগ্রাধিকার দেন। গত চার দশকে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা খাতে বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে। জাতীয় বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ ক্রমান্বয়ে বাড়ানো হচ্ছে। স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা চলছে গ্রাম পর্যায়ে। সরকারি পর্যায়ে গড়ে তোলা হচ্ছে একের পর এক হাসপাতাল, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ক্লিনিক। কিন্তু বিপুল বরাদ্দ ও সরকারের নীতিনির্ধারক মহলের সদিচ্ছা থাকা সত্তে¡ও স্বাস্থ্যসেবার মান কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় পরিচালিত সরকারি মেডিক্যাল কলেজ থেকে সরকারি খরচে পড়াশোনা করে যাঁরা ডাক্তার হচ্ছেন, তাঁদের এক অংশ সাধারণ মানুষের প্রতি কোনো দায় অনুভব করছেন না। গ্রামাঞ্চলের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কিংবা ক্লিনিকে যেসব চিকিৎসককে নিয়োগ দেওয়া হয়, তাঁদের বড় অংশই সেবাদানে আন্তরিক নন। যেকোনো ছুতোয় তাঁরা চলে আসেন শহরাঞ্চলে। কেউ কেউ শহরে অবস্থান করেন, মাঝেমধ্যে কর্মক্ষেত্রে গিয়ে খাতাপত্রে সই করে আসেন। স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি, অনিয়ম নিয়মে পরিণত হওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নতুন আইন প্রণয়নের চিন্তাভাবনা চলছে। এ আইনে স্বাস্থ্য খাতের যন্ত্রপাতি ও ওষুধ কেনা, উৎপাদন ও বিতরণ এবং পদোন্নতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা থাকবে। চিকিৎসাক্ষেত্রে অবহেলা অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। বিশেষত গ্রামাঞ্চলে ডাক্তারদের দায়িত্ব পালনের বিষয়টি নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হবে। স্বাস্থ্য খাতে শৃঙ্খলা আনার জন্য চিকিৎসক রাজনীতির অবসান ঘটাতে হবে। সরকারের লেজুড়বৃত্তির মাধ্যমে সুবিধা অর্জনের অচিকিৎসকসুলভ মনোভাবের ইতি ঘটাতে হবে।

এস এম রওনক রহমান (আনন্দ)
স্কুলপাড়া, ঈশ্বরদী
পাবনা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন