পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মাসাধীককাল পার হলেও বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার মাদলা ইউপির নিশ্চিন্তপুর গ্রামের সিএনজি চালক রাসেল মিয়ার কন্যা ৬ষ্ঠ শ্রেণীর মাদরাসা ছাত্রী আয়েশা সিদ্দিকা আশা (১১) এর রহস্যজনক মৃত্যুর কারণ উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। নিহত আশার বাবা রাসেল মিয়া ও মা আম্বিয়া খাতুনের অভিযোগ, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাজাহানপুর থানার ওসি তদন্ত আবুল কালাম আজাদ প্রথম থেকেই ঘটনাটিকে আত্মহত্যা অথবা এটি হত্যাকান্ড হলে তার জন্য আশার মা আম্বিয়াকে জড়িত করার চেষ্টা করে পানি ঘোলা করার চেষ্টা করছেন। এতে নিহতের বাবা ও মার ধারণা জন্মেছে, প্রভাব ও অর্থশালী ঘাতকদের আড়াল করতেই পুলিশ এটা করছে। রাসেল ও আম্বিয়া তাই মামলার তদন্তভার বর্তমান কর্মকর্তার পরিবর্তে এটা ডিবি অথবা সিআইডি’র হাতে অর্পণ করার দাবি করেছেন।
উল্লেখ্য গত সেপ্টেম্বর মাসের ২১ তারিখ দিবাগত রাতে মাদরাসা ছাত্রী আশার লাশ তাদের বাড়ীর পার্শ্ববর্তী একটি ধান ক্ষেতে পাওয়া যায়। এ সময় তার গলায় মাথায় স্কার্ফ এর কাপড় পেঁচানো ছিল বলে দেখা যায়। মুলত স্কার্ফের কাপড় গলায় পেঁচিয়েই তাকে শ্বাসরোধ করে মারা হয়। এছাড়া তার পরনের পায়জামা খুলে ঐ কাপড় দিয়ে তার দুই পা বাঁধা ছিল। এছাড়াও তার কানের সোনার দুল ও পাওয়া যায়নি।
লাশ উদ্ধারের পর থানায় খবর দেয়া হলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে প্রাথমিক ভাবে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ও ময়না তদন্তের জন্য শহীদ জিয়া মেডিকেলের মর্গে পাঠায়। পরে থানায় মামলা দায়ের হলে এর তদন্তভার ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদের উপর অর্পন করা হয়। এদিকে এই হত্যাকান্ডের পর পরই স্থানীয় ফজলার মেম্বার ঘটনাটি নিয়ে অতিতৎপর হয়ে ওঠে। মামলাটি নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে নিহত আশার বাবা মার ক্ষতি হবে, এমনকি তারাই মামলায় ফেঁসে যেতে পারে বলেও হুমকি দেয়। আর বাস্তবেও দেখা গেছে যে , মামলার তদন্তের কথা বলে তদন্ত কর্মকর্তা নিহত আশার মাকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে তাকেই মেয়ের ঘাতক হিসেবে জবানবন্দী দিতে পীড়াপীড়ি করে এমনকি গামছা দিয়ে দুই হাত বেঁধে ঝুলিয়েও রাখে। এতে আশার মা এক পর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে ঘটনাটি চেপে যাওয়ার কথা বলে তাকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এদিকে নিহত আশা স্থানীয় নিউ ক্লিয়াস কোচিং সেন্টার নামে যে কোচিং এ প্রাইভেট পড়তো ওই কোচিং সেন্টারের মালিক ও একজন শিক্ষক মৃত্যুকে ক’দিন আগে তাকে ইভটিজিং করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ইভটিজিং অতিষ্ট হয়ে কোচিং যাওয়া বন্ধের দু’দিনের মাথায় তার মৃত্যুর ঘটনায় কোচিং এর ইভটিজিং সংক্রান্ত বিষয়টি হত্যাকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত কিনা সেটাই গুরুত্ব দেওয়া উচিত হলেও পুলিশ তা না করে ঘটনা প্রবাহ অন্যদিকে ঠেলে ভজঘট পাকানোর অপচেষ্টা করছে বলে সরাসরি অভিযোগ করেছে নিহত আশার বাবা মা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।