Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সত্য বল সুপথে চল ওরে আমার মন...

| প্রকাশের সময় : ৮ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মানুষ প্রতিদিন যা কিছু করে এবং যেসব কথা বলে, সবকিছুই যে ঠিকঠাক মতো করছে বা বলছে, তা কিন্তু নয়। যে যার মতো করে চলতে গিয়ে অথবা ইচ্ছেমতো বলতে গিয়ে কত শত ভুল যে করছে, তার কোনো ইয়ত্তা নেই। নিজের কাছে নিজের ভুল ধরা না পড়লেও অন্যরা ঠিকই বুঝতে পারে। কেউ কেউ এসব ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে, আবার কেউ ভুলকেই সঠিক ভেবে অনুসরণ করে।
সৃষ্টিকর্তা তার সৃষ্টজীব সম্বন্ধে খুব ভালোৃভাবেই অবগত আছেন। তিনি জানতেন, মানবজাতিকে শ্রেষ্ঠত্ব দান করার পরও তাদের মধ্যেই ভুলেৃর ছড়াছড়ি হবে বেশি। সেজ্যই সুশৃঙ্খল জীবন কাটানোর জন্য সময়ে সময়ে পৃথিবীতে মহামানবদের প্রেরণ করেছেন, যারা গ্রষ্টার বিধান মেনে জীবন পরিচালনা করলে কী কল্যাণ হবে, আর না করলে কী অকল্যাণ হবে- তা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়ের্র্র্্েরছন। গ্রষ্টার নীতিমালাই আমাদের কাছে ধর্মীয় বাণী হিসেবে পরিচিত।
প্রতিটি মানুষ জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত কোন নীতি ও আদর্শে জীবন অতিবাহিত করবে, ধর্মগ্রন্থে তার উল্লেখ রয়েছে। মানুষের জন্য অবশ্য পালনীৃয় নীতির মধ্যে একটি হচ্ছে, সর্বক্ষেত্রে সব অবস্থায় সত্যের ওপর অবিচল থাকা। সত্য এমনই এক আদর্শ, যার তুলনা অন্য কিছুর সঙ্গে করা যাবে না। এটি সর্বোত্তম এবাদত। এর বিপরীতে বলা হয়ে থাকে, মিথ্যা অপকর্ম ও পাপের জননী।
সৃষ্টিকর্তা পিতা-মাতা সম্বন্ধে এতটাই কঠিন বাক্য ব্যবহার করেছেন যে, বলা হয়েছে- পিতা-মাতা যদি তোমার ধর্ম ত্যাগ করে অন্য ধর্ম গ্রহণ করে, তথাপিও তাদের প্রতি কোনো প্রকার মন্দ আচরণ করা যাবে না। তবে সত্য সাক্ষ্য দিও, যদি তোমার পিতামাতার বিরুদ্ধেও যায়। মূলত সত্য কথা বলা কোন স্তরের আদর্শ, মানুষকে তা বোঝানোর জন্য এক্ষেত্রে পিতা-মাতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
দুনিয়াতে মানুষ মর্যাদা কিংবা যত ক্ষমতার অধিকারীই হোক না কেন, কারও সাধ্য নেই স ষ্টার বিধান উপেক্ষা করার। মানুষের উচিত সত্য কথা বলা এবং স ষ্টার প্রতি বিশ্বাসের মাধ্যমে জীবনকে পবিত্র ও সুন্দর করে গড়ে তোলা।
হে স ষ্টা, আমাদের সত্যকে সত্য হিসেবে জানা ও মানা এবং মনেপ্রাণে তোমাকে বিশ্বাস করার মতো জ্ঞান দান করো। নিশ্চয়ই তুমি মহান ও সর্বশ্রেষ্ঠ।
আবদুর রফিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মার্কেট, কাঁটাবন, ঢাকা।


প্রাইমারিতে পাঠদানের সময়সীমা কমানো হোক
প্রাথমিক স্তরেই শিশুর শারীরিক, মানসিক ও নৈতিক মূল্যবোধের বিকাশ ঘটে থাকে। শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীর মধ্যে এক মধুর বিশ্বাসের সম্পর্ক থাকা প্রয়োজন। কিন্তু সে সম্পর্ক বজায় থাকছে না একটা কারণে। তা হল, সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত দীর্ঘসময় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে থাকতে বাধ্য করা।
বস্তুত কাজটি সম্পূর্ণ শিশুমনের বিরুদ্ধে করা হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে বয়সে বড় হয়েও শিক্ষার্থীরা এতটা সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে থাকে না। দুপুরে টিফিনের সময় নির্ধারণ করা আছে ৩০ মিনিট। শিক্ষকরা তাড়াহুড়া করে নামাজ ও খাবার খেয়ে নেন। শিক্ষার্থীদের খবর কেউ রাখেন না। গ্রামের অভিভাবকরা শিশুর স্বাস্থ্যের প্রতি তেমন সচেতন না থাকায় শিশুরা বিভিন্ন রোগে ভোগে। শিশুর অসহায়তা দূর করার জন্য দরকার সুশৃঙ্খল পরিবেশ। প্রয়োজনীয় পুষ্টি, আদর-যত্ম ও মুক্ত আলো-বাতাসে শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ হয়। মনের আনন্দে খেলার ছলে শিক্ষা দিতে হবে শিশুদের। শিক্ষার্থীদের অভুক্ত রেখে আর যাই হোক জ্ঞান অর্জন অসম্ভব। কাজেই সময় নিয়ে তামাশা করা ঠিক হবে না। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদানের সময়সূচি পরিবর্তন করে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা করা হোক।
জয়নুল আবেদীন স্বপন,
শ্রীপুর, গাজীপুর



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন