Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

দুদকের প্রতি মানুষের আস্থার সঙ্কট রয়েছে : টিআইবি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

দুর্নীতি বিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রতি দেশের সাধারণ মানুষের আস্থার সঙ্কট রয়েছে। দুদককে এই আস্থার সঙ্কট দূর করতে হবে। সব অপরাধীর সঠিক শান্তি নিশ্চিত করতে হবে। গতকাল রাজধানীর ধানমন্ডিতে ‘দুর্নীতি প্রতিরোধে দুদক পরিচালিত গণশুনানি : কার্যকারিতা, চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন। দুদক সম্পর্কে এই গবেষণাটির সময়কাল ছিল ২০১৬ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৭ সালের আগস্ট পর্যন্ত। অনুষ্ঠানে প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরেন দুদকের গবেষক মো. ওয়াহিদুল আলম, মো. রেজাউল করিম ও মো. শহীদুল ইসলাম। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) নিরপেক্ষভাবে কাজকর্মে এখনো এমন কোনো অবস্থানে যেতে পারেনি যে, দুদকে সম্পূর্ণ ‘ক্লিন’ একটা প্রতিষ্ঠান বলা যায়। তবে সেদিকে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। সেই সম্পর্কে আমাদের কোনো সন্দেহ নেই। তিনি বলেন, গণশুনানি দুর্নীতি দমনের একটি হাতিয়ার। এসব শুনানি ধরে যদি সব ঘটনাকে ধারাবাহিকভাবে ফলোআপ করা যায়, তাহলে কার্যকর ফলাফল পাওয়া যাবে।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দুদকের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নতুন কিছু নয়। এটা দীর্ঘদিনের সমস্যা। তবে আমরা দেখেছি, দুদক ইতোমধ্যে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। বিশেষ করে নতুন কমিশন দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে অনেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। এটা বেশ ইতিবাচক দিক বলতেই হবে। তবে সমস্যা এখনো আছে। এখনো যাদের বিরুদ্ধে আমরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অভিযোগ পাচ্ছি সেগুলো আমরা দুদকের কাছে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবসহ পরামর্শ দিচ্ছি। দুদক সেই অনুযায়ী কাজ করারও চেষ্টা করছে। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরো বলেন, দুদকের প্রতি মানুষের যে আস্থার সঙ্কট বিদ্যামান কাজের মাধ্যমে তা কমাতে হবে। রাজনীতি ও সামাজিক পরিচয় বিচার-বিবেচনা না করে সব অপরাধীর সঠিক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। অভিযোগ ধরে ধরে সমাধান করতে হবে। মানুষকে বোঝাতে হবে, দুদকে অভিযোগ করলে সমাধান পাওয়া যায়। তিনি আরো বলেন, আইনের চোখে সবাই সমান। এটা দুদককে নিশ্চিত করতে হবে। এটা প্রমাণ করার দায়িত্ব দুদকের।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দুর্নীতি প্রতিরোধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পরিচালিত গণশুনানিতে যেসব অভিযোগ উঠে আসে তার মধ্যে ৭৩ শতাংশই সমাধান হয় না। বাকি ২৭ শতাংশ সমাধান হয়েছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক গবেষণায় এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, সমাধানের হার কম হলেও গণশুনানির পর অভিযোগ নিরসনে কর্তৃপক্ষের গৃহীত পদক্ষেপ ইতিবাচক। প্রায় ৭২ শতাংশ অভিযোগের বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। অভিযোগের ধরণ বিশ্লেষণে প্রতিবেদনে বলা হয়, উপজেলা ভ‚মি অফিস ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ উঠে এসেছে গণশুনানিতে। ৬৭ শতাংশ অভিযোগ ছিল এদের বিরুদ্ধে। আবার অভিযোগের সমাধানের ক্ষেত্রেও ভ‚মি অফিসগুলো পিছিয়ে। মূল কথা হচ্ছে দুদকের প্রতি মানুষ আস্থা রাখতে চায়। কিন্তু দুদককেই সেই আস্থা সৃষ্টি করতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: টিআইবি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ