Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ০৬ জুন ২০২৪, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করছে স্বার্থান্বেষী উপজাতি সংগঠনগুলো

সন্তোষ বড়ুয়া | প্রকাশের সময় : ৫ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে দীর্ঘ ২১ বছরের সংঘাত এবং রক্তক্ষরণের অবসান ঘটে। তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অন্য কোনো তৃতীয়পক্ষের সংশ্লিষ্টতা ছাড়া এই শান্তিচুক্তি সম্পাদিত হয় যা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল দৃষ্টান্ত। চুক্তি স্বাক্ষর হবার পর থেকে বিগত ২০ বছরে এর বাস্তবায়নে সরকার বেশ আন্তরিকতার পরিচয় দিলেও চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী সন্তুলারমাদের অভিযোগ, বাস্তবায়ন হয়নি চুক্তির মৌলিক অনেক বিষয়। অথচ, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায় যে, চুক্তির অধিকাংশই বাস্তবায়িত হয়েছে। এ পর্যন্ত শান্তিচুক্তির মোট ৭২টি ধারার মধ্যে ৪৮টির পূর্ণ বাস্তবায়ন, ১৫টির আংশিক বাস্তবায়ন এবং ৯টি ধারার বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তিন পার্বত্য জেলায় হস্তান্তরযোগ্য ৩৩টি বিষয়/বিভাগের মধ্যে এ পর্যন্ত রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে ৩০টি, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদে ৩০টি এবং বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদে ২৮টি বিষয়/দফতর হস্তান্তর করা হয়েছে।
অপরদিকে শান্তিচুক্তি সম্পূর্ণ বাস্তবায়িত না হওয়ার বেশ কিছু কারণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম কারণ হলো শান্তিচুক্তির বেশ কিছু ধারা বাংলাদেশ সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক। এছাড়া আদালতে শান্তিচুক্তির বেশ কিছু ধারা চ্যালেঞ্জ করে মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
এ সমস্ত বিষয়সহ শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের পথে যে সমস্ত অন্তরায় রয়েছে সেগুলোর সমাধান না হওয়া পর্যন্ত শান্তিচুক্তির পূর্ণাংগ বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। তবে বর্তমান সরকার চুক্তির যে ধারাগুলো বাস্তবায়িত হয়নি সেগুলো দ্রæত বাস্তবায়নে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে।
শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন না করা নিয়ে উপজাতি বিভিন্ন সংগঠন সরকারকে দোষারোপ করে দেশে-বিদেশে নানা ধরনের নেতিবাচক কর্মসূচি পালন করে আসছে। অথচ, চুক্তি বাস্তবায়নে সরকার আন্তরিকতা দেখালেও উপজাতীয় সংগঠনগুলো চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে ততটা তৎপর নয়। উল্টো তারা পাহাড়ে স্বায়ত্তশাসনের দাবি জানানো শুরু করেছে। এ নিয়ে তারা নানা রকম অপতৎপরতা চালাচ্ছে। বিশেষ করে পাহাড়ে বসবাসকারী বাঙালি ও সাধারণ উপজাতিদের কাছ থেকে আদায় করছে বিপুল অংকের চাঁদা। তা দিয়ে তারা তাদের সশস্ত্র গ্রæপকে শক্তিশালী করছে। গোপনে বিদেশ থেকে কেনা হচ্ছে ভারি, দামি ও অত্যাধুনিক অস্ত্র। সামরিক আদলে কাঠামো তৈরি করে নিজেদের সংগঠিত করছে। অন্যদিকে তিন পার্বত্য জেলাকে অস্ত্রের রুট হিসেবে ব্যবহার করছে সশস্ত্র গ্রæপের সদস্যরা। এতে নিজেদের অস্ত্রের ভাÐার সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি দেশে জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িতদের কাছে বিক্রি করছে ভারি ও অত্যাধুনিক অস্ত্র। এর মাধ্যমে আর্থিকভাবে হৃষ্টপুষ্ট হচ্ছে পাহাড়ে তৎপর জেএসএস (সন্তু), জেএসএস (সংস্কার) ও ইউপিডিএফ-এর সশস্ত্র গ্রæপ।
পাহাড়ে শান্তিচুক্তি বিতর্ক প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রাকৃতিক সম্পদ সমৃদ্ধ এই এলাকায় গত চার দশকের বেশি সময় ধরে অস্থিতিশীল করে রেখেছে জেএসএস (জনসংহতি সমিতি) নামের একটি সশস্ত্র সংগঠন। তাদের দাবি এই অঞ্চলকে স্বায়ত্তশাসন দিতে হবে। কিন্তু দেশের ভেতরে আরেকটি দেশ গঠন হলে দেশের কোনো সার্বভৌমত্ব থাকে না। তাই কোনো সরকারই তাদের এই অন্যায় দাবি মেনে নেয়নি। আদতে, সরকার শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে আন্তরিক থাকলেও আঞ্চলিক উপজাতি রাজনৈতিক দলসমূহের বিরূপ মনোভাব বিষেশতঃ ভূমি ইস্যু ও তাদের পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার দাবী, সশস্ত্র গ্রæপ পরিচালনা, আইনশৃংখলার প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন এবং সরকারি যে কোন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বাধা প্রদান করে শান্তিচুক্তির অবশিষ্ট প্রক্রিয়াধীন বিষয়গুলোকে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে জটিলতার সৃষ্টি করছে।
আঞ্চলিক উপজাতি সংগঠনগুলোর এরূপ নেতিবাচক মনোভাব থাকলে সরকারের পক্ষে শান্তিচুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। চুক্তি বাস্তবায়নে সকলকে শান্তিপূর্ণ ও সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা গিয়েছে যে, সরকারের আন্তরিকতা ও অব্যাহত প্রচেষ্টার কারণে শান্তিচুক্তির পর হতে এ যাবতকাল পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রামে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে এবং এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে। চুক্তির সুফল হিসেবে উপজাতি শীর্ষ নেতৃবৃন্দ, তাদের দলের অন্যান্য সদস্য এবং পাহাড়ের সাধারণ মানুষ বেশ কিছু সুবিধা ভোগ করছে।
সমতলের জেলাগুলোর মতো পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলাগুলোতেও বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামোগত সুবিধা গড়ে উঠেছে। সড়ক অবকাঠামো নির্মাণ করে ইতোমধ্যে পাহাড়ের সব উপজেলা এমনকি ইউনিয়ন পর্যন্ত পাকা রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। পার্বত্য অঞ্চলে স্বাধীনতার আগে ১৯৭০ সালে মাত্র ৪৮ কি.মি. রাস্তা ছিল। কিন্তু স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ সরকার পার্বত্য অঞ্চলে নির্মাণ করেছে প্রায় ১৫৩৫ কি.মি. রাস্তা, অসংখ্য ব্রিজ ও কালভার্ট। পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামে তিনটি স্থল বন্দর নির্মাণ এবং টেলিযোগাযোগের ব্যাপক উন্নয়নের ফলে বাণিজ্য এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রেও প্রভূত উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে দেশি এবং বিদেশি এনজিওসমূহের কার্যক্রম, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, পার্বত্যাঞ্চলে সীমান্ত সড়ক নির্মাণ, ভারত ও মিয়ানমারের সাথে যোগাযোগ সড়ক, অরক্ষিত সীমান্ত অঞ্চলের নিরাপত্তা বিধান, অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার, পার্বত্যাঞ্চলে মোতায়নরত সেনাবাহিনীকে ছয়টি স্থায়ী সেনানিবাসে প্রত্যাবর্তন, সামাজিক উন্নয়ন ও বিদ্যুৎ উন্নয়নসহ প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এক পরিসংখ্যান থেকে জানা যায় যে, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ৩ পার্বত্য জেলায় ৪১ হাজার ৮৪৭ জনকে বয়স্ক ভাতা, ২২ হাজার ৪১০ জনকে বিধবা ভাতা, ৭ হাজার ৩১১ জনকে অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা এবং ৯৮১ জন প্রতিবন্ধীকে শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের আওতায় এ অঞ্চলে ১ হাজার ৪৬টি সমিতির মাধ্যমে ৫২ হাজার ১৭২ জন সদস্যের দারিদ্র্য বিমোচন তথা জীবনমান উন্নয়ন করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া আশ্রয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ৬২৩টি পরিবারকে পুনর্বাসিত করা হয়েছে। শিক্ষার ক্ষেত্রেও পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়নের ছোঁয়া ব্যাপকভাবে লেগেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে কোন বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ ছিলো না সরকার সেখানে নতুন করে ১টি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১টি মেডিকেল কলেজ স্থাপন করেছে। আশির দশকে যেখানে উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের সংখ্যা ছিলো মাত্র ১১টি সেটা এখন ৪৭৯টি, প্রায় প্রতিটি পাড়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। শিক্ষার হার ২ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ৪৪.৬২ শতাংশে এ পৌঁছেছে। যেখানে বাংলাদেশের জাতীয় শিক্ষার হার ৫৯.৮২ শতাংশ সেখানে পার্বত্য চট্টগ্রামের চাকমা জনগোষ্ঠীর শিক্ষার হার ৭৩ শতাংশ এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত বাঙালিদের শিক্ষার হার ২৩% (সূত্র: বাংলাদেশ আদম শুমারী-২০১১)।
এছাড়াও, পার্বত্য চট্টগ্রামে কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ১টি থেকে ৩টি করা হয়েছে, হাসপাতালের সংখ্যা ৩টি থেকে ২৫টিতে উন্নীত হয়েছে। যেখানে কোন খেলার মাঠ ছিলো না বর্তমানে সেখানে ৫টি স্টেডিয়াম নির্মিত হয়েছে। কলকারখানা, ক্ষুদ্র কুটির শিল্প ১৯৩টি থেকে বৃদ্ধি পেয়ে এখন ১৩৮২টিতে উন্নীত হয়েছে। ফলে সরকারের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় পার্বত্য চট্টগ্রামে এককালের পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রভূত উন্নতির ছোঁয়া লেগেছে এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়। সরকার যেখানে পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা, আর্থ-সামাজিক ও শিক্ষার মান উন্নয়নে মেডিকেল কলেজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সড়ক ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা, কুটির শিল্প, কলকারখানা নির্মাণ করছে সেখানেও কতিপয় স্বার্থান্বেষী উপজাতি নেতৃবৃন্দ বাধার সৃষ্টি করছে। পৃথিবীর ইতিহাসে নিজেদের উন্নয়নকে পেছনে টেনে নিয়ে যাওয়ার এমন নজির সম্ভবত আর নেই।
পাশাপাশি, সরকার চাকরি এবং শিক্ষাক্ষেত্রে উপজাতিদের জন্য ৫ শতাংশ রিজার্ভ কোটার ব্যবস্থা করেছে, উপজাতিদেরকে সরকারি ট্যাক্সের আওতামুক্ত রেখেছে। এ সবই করা হয়েছে তাদের আর্থ-সামাজিক ও জীবন যাত্রার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে। সরকার প্রদত্ত এ সকল সুবিধা ভোগ করে শিক্ষা, চাকরি এবং জীবনযাত্রার মানের ক্ষেত্রে উপজাতিদের ব্যাপক উন্নতির ছোঁয়া লেগেছে। দিন দিন এ অবস্থার আরও উন্নতি হবে। শান্তিচুক্তির সুফল ভোগ করে উপজাতিদের বর্তমান জীবন যাত্রার মান, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে অগ্রসরতা প্রভৃতি বিবেচনা করে এ কথা বলা যায় যে, পার্বত্য চট্টগ্রাম এখন আর বাংলাদেশের পিছিয়ে পড়া কোনো জনপদ নয়। কোটা সুবিধার সুফল হিসেবে চলতি বছর সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস প্রথম বর্ষের (২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ) ভর্তি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যে, ভর্তি পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে ৭০-৮০ নম্বর পেয়েও সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে দেশের হাজার হাজার বাঙালি ছাত্র-ছাত্রী। অন্যদিকে ভর্তি পরীক্ষায় সর্বনিম্ন ৫৭.৫০ নম্বর পেয়েই অনেক উপজাতি শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। সার্বিকভাবে সরকার প্রদত্ত বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ ও তা ভোগ করলেও উপজাতিরা সরকারের এই আন্তরিকতার প্রতি কখনই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেনি। বরং তারা দেশে-বিদেশে বাংলাদেশ সরকার, স্থানীয় প্রশাসন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিয়োজিত নিরাপত্তাবাহিনী এবং সেখানে বসবাসরত বাঙালিদের জড়িয়ে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।
অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় যে, শান্তিচুক্তি উপজাতিদের কাছে অনেকটা সোনার ডিম পাড়া রাজহাঁসের মতো। কারণ, নিজেরাই শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে আগ্রহ না দেখিয়ে উল্টো বাধার সৃষ্টি করছে এবং দেশে-বিদেশে প্রচার করছে যে সরকার শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন করছে। এভাবে তারা তাদের অনুকূলে দেশি-বিদেশি মহলের সহানুভূতি আদায় করে চলেছে আর নিজেদেরকে অবহেলিত ও অনগ্রসর প্রমাণ করে বিভিন্ন এনজিও এবং সংস্থা হতে বিশাল অংকের ত্রাণ ও অনুদান সংগ্রহ করছে। এর সাথে পাহাড়ে তাদের চাঁদাবাজির বিশাল নেটওয়ার্কও সচল রেখেছে। যার ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামের সাধারণ উপজাতি-বাঙালিরা উপজাতি তিন সশস্ত্র দলের ক্রমাগত নির্যাতন সহ্য করে যাচ্ছে আর মাঝখান থেকে আর্থিকভাবে হৃষ্টপুষ্ট হচ্ছে কতিপয় স্বার্থান্বেষী উপজাতি নেতা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন