পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, 'আওয়ামী লীগ সরকার দেশে কেবল ঘৃণা ও বিদ্বেষের রাজনীতি ছড়াচ্ছে।' শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে (আইইবি)ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কাউন্সিলের স্বাগত বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকেই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং আগামীর নেতা তারেক রহমানের চরিত্র হননের জন্য এক ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। ক্ষমতাসীনরা ভালো করেই জানে এই তিনটি শুধু নাম নয়, বাংলাদেশের জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতীক।
এ কারণেই আওয়ামী লীগ সরকার ঘৃণা ও বিদ্বেষের রাজনীতি চর্চা করছে। কিন্তু আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই বিএনপি ঘৃণার রাজনীতি করে না, বিএনপি বিশ্বাস করে ঘৃণা বিদ্বেষ মানুষের পতন ডেকে আনে, ধবংস করে দেয় সকল ওদ্ধত্যকে, যেমনটি ঘটেছে হিটলার-মুসোলিনীর ক্ষেত্রে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। বিএনপি হিংসা বিদ্বেষ, অগণতান্ত্রিক রাজনৈতিক কাজে বিশ্বাস করে না। বিএনপি রণাঙ্গণের মুক্তিযোদ্ধার দল। এ কারণেই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে বিএনপি অনেক সংকল্পবদ্ধ, অনেক বেশি উদার রাজনৈতিক বিশ্বাসী দল।
তিনি বলেন, আমাদের দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান সেনা সর্মথন সরকারের আমলে কি ধরণের জুলুম অত্যাচারের শিকার হয়েছেন। শারীরিকভাবে প্রায় পঙ্গু করে দেওয়ার পরেও তিনি মাথা নত করেননি। আপোষ করেননি। একের পর এক মামলা দিয়ে তার জীবন অনিশ্চিত করে তোলা হয়েছে। ক্ষমতাসীদের জন্য চ্যালেঞ্জ বলেই তাকে দেশে ফিরতে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু শাসক দল জানে না, যেদিন বিজয়ীর বেশে তারেক রহমান দেশে ফিরবেন সেদিন কোটি মানুষের ভালোবাসা, সর্মথন তাকে গণতন্ত্রের এক বিজয়ী সেনাপতি হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত করবে।
উপস্থিত আছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, তরিকুল ইসলাম, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হানান শাহ , ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, সেলিমা রহমান, উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, ড. ওসমান ফারুক, এম এ মান্নান, মেজর জেনারেল(অব.) রুহুল আলম চৌধুরী, বিএনপি নেতা তৈয়মুর আলম খন্দকার, কাজী আসাদুজ্জামান, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নাজিম উদ্দিন আলম, খায়রুল কবির খোকন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আহমেদ তালুকদার প্রমুখ।
২০ দলীয় জোটের মধ্যে রয়েছেন, ড. কর্নেল অলি আহমেদ, সৈয়দ মোগাম্মাদ উবরাহিম বীর প্রতীক, মাওলানা আব্দুল হালিম, শফিউল আলম প্রধান, ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, সাহাদৎ হোসেন সেলিম, রেদোয়ান আহমেদ, খন্দকার লুৎফর রহমান, মুফতি মোহাম্মাদ ওয়াক্কাস, খন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, জেবেল রহমান গানী, মহিউদ্দিন ইকরাম, হামদুল্লাহ আল মেহেদী, মোস্তফা জামাল হায়দারগোলাম মোস্তাফা ভূইয়া উপস্থিত রয়েছেন।
বিদেশী অতিথিদের মধ্যে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে বিরোধী লেবার পার্টির সদস্য সিমন ডান্স জাক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ডেমোক্রেটিক পার্টির এমপি সাইমুন ব্যাঞ্জক, প্রতিনিধি ও ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সাবেক সদস্য ফিল বেনিওনর , বিট্রিশ এ্যম্বসিরি পলিট্যাক্যাল প্রতিনিধি এ্যাডড্রিন উপস্থিত আছেন।
এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক এমাজ উদ্দিন আহমেদ, সাবেক প্রো-ভিসি আ ফ ম ইউসূফ হায়দার, সুকোমল বড়ুয়া, সাংবাদিক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, রুহুল আমিন গাজী, মাহবুবুল্লাহ, এম এ আজিজ, এম আব্দুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত আছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।