পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জিয়া-মোশতাকের ষড়যন্ত্রে বঙ্গবন্ধু ও চার নেতা হত্যার ধারাবাহিকতায় এখনও ষড়যন্ত্র শেখ হাসিনার পিছু তাড়া করে
বেড়াচ্ছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা।
গতকার শুক্রবার বিকালে রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণ সভায় দলটির সিনিয়র নেতারা এ ষড়যন্ত্রের কথা জানান। জাতীয় চার নেতার স্বরণ সভায় আগামী জাতীয় নির্বাচনের দলের অবস্থানের কথাও ওঠে আসে।
স্মরণ সভার সভাপতি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে যারা স্বীকার করতে পারেনি, তারাই বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছে। আর এই জিয়া-মোস্তাকের ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় এখনও শেখ হাসিনার উপর বার বার আক্রমন আসছে।
১৯৯৬ সালে তৎকালীন প্রেক্ষাপটে নির্বাচনকালীন সময়ের জন্য আওয়ামী লীগের তত্তাবধায়ক সরকার দাবির কথা তুলে ধরে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, বলেন, আওয়ামী লীগ যখন তত্তাবধায়ক সরকারের দাবি করেছিলো। খালেদা জিয়া তখন বলেছিলেন পাগল আর শিশু ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়। এখন তিনি কোন মুখে আবার তত্ত¡াবধায়ক সরকার দাবি করেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, ষড়যন্ত্র থেমে নেই। ক্ষমতার লোভে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। এই ক্ষমতার লোভ এখনও শেষ হয়নি। তাই বারবার বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন হবে। আগামী নির্বাচনে জনগণের রায় নিয়ে আবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে।
সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ রুদ্ধ করে গেছে। ‘৭১ এর খুনি ৭৫ এর খুনিরাই জেল হত্যা এবং ২১ আগস্ট হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, সাংবাদিক ভাইদের বলছি লিখে রাখুন। আগামী নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে। ২০১৯ সালে বিজয়ের মাসে এ নির্বাচন হবে। বিএনপির আন্দোলনের হুমকির জবাবে তিনি বলেন, আন্দোলন করে লাভ নেই। আওয়ামী লীগ আন্দোলনে চ্যাম্পিয়ন। আমরা মার খেয়ে মাঠে থেকেছি। আর বিএনপি ?
বিএনপিকে জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে নাসিম বলেন, যদি সাহস থাকে আগামী নির্বাচনে আসেন। নির্বাচনের মাঠ থেকে পালাবেন না। দেখবো জনগণ কাকে চায়। মিথ্যাচার, মানুষ হত্যা, লুটপাট, ষড়যন্ত্রের রাজনীতির জন্য জনগণ বিএনপিকে প্রত্যাখান করবে।
সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি আমাদের উপর বার বার আক্রমন করে যাচ্ছে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বিএনপিকে অপশক্তি হিসেবে উল্লেখ করে তিনি দলের নেতাকর্মীদের সব অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ও সজাগ থাকার আহŸান জানান।
বিএনপির সহায়ক সরকারের দাবি প্রত্যাখান করে শেখ সেলিম বলেন, কোন সহায়ক সরকার হবে না, কোন ভাবনার সরকার হবে না। আগামী নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে। আপনারা আসলে আসবেন, না আসলে রাস্তায় গিয়ে চিৎকার করুন। আপনাদের সঙ্গে কোন কথা হবে না। এরা ৭১ এর, ৭৫ এর খুনী। খুনীদের সঙ্গে কোন আলোচনা হবে না।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বরের হত্যাকান্ডের নেপথ্যে যারা জড়িত তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। নইলে কলঙ্কিত ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হতে পারে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।
অসুস্থতার কারণে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারেননি জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুচনা বক্তব্যে বলেন, ওনার অস্ত্রপচারের পর ওনার যতটুকু বিশ্রামে থাকার কথা ছিলো উনি তা ছিলেন না। তিনি চাপ নিয়ে কাজ করেছেন।
কাদের বলেন, উনি এ রকম জাতীয় দিবসের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেননি এমনটা ঘটেনি। উনি অসুস্থতার কারণে আসতে পারেননি। আগামী ৫ নভেম্বর কমনওয়েলথ পার্লামেন্টরি কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করবেন আশা করছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।