Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ : মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি গঠন

| প্রকাশের সময় : ৪ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

পঞ্চায়েত হাবিব : প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরে জনবল নিয়োগের নামে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তৃতীয় শ্রেণীর ভিএফএ-এফএএআই ও কম্পাউন্ডার এবং পোল্ট্রি টেকনিশিয়ান পদে জনবল নিয়োগের অনিয়ম দুর্নীতি তদন্ত করতে এক উপ-সচিবকে নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব গত ২৯ অক্টোবর প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ বিষয়ে চিঠি দিয়েছেন। এছাড়া জনপ্রশাসন মন্ত্রণায়য়ের সুপারিশে অধিদপ্তরের অগ্রানোগ্রাম বিলুপ্ত করার পরেও অধিদপ্তরের নামে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয় সচিব মাকসুদুল হাসাক খান ইনকিলাবকে বলেন, অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা তদন্ত কটি গঠন করেছি। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়া গেলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। এর সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের ছাড় দেয়া হবে না। প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ মোঃ আইনুল হক ইনকিলাবকে বলেন, মন্ত্রণালয়ের চিঠি আমরা পেয়েছি। তবে তদন্ত কমিটি এখনো তদন্ত কাজ শুরু করে নাই। তার আগে আমি কিছু বলতে চাই না।
চিঠিতে বলা হয়, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে চারটি পদে মোট ৬০২ জন লোক নিয়োগ করা হবে। এর মধ্যে ভিএফএ পদে ২৮৯ জন, কম্পাউন্ডার পদে ৫৫ জন, পোলট্রির টেকনিশিয়ান পদে ১০ জন এবং এফএ (এ/আই) পদে ২৪৮ জনকে নিয়োগ করা হবে। গত ৫ অক্টোবর বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত আবেদন করতে বলা হয়। এসব পদে আবেদন করতে হলে আবেদনকারীকে অনুমোদিত যেকোনো শিক্ষা বোর্ড থেকে বিজ্ঞান বিভাগে উচ্চমাধ্যমিক বা সমমান পাস হতে হবে। বয়স হতে হবে ৩০-০৮-১৬ ইং তারিখে ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণের সব নির্দেশনা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে আছে বলে জানানো হয়। আবেদনপত্রের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক/ সোনালী ব্যাংক লি. থেকে ১০০ টাকা মূল্যের ট্রেজারি চালান মহাপরিচালক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ, ঢাকা বরাবর নিয়োগ পরীক্ষার ফি বাবদ ১-৪৪৪১-০০০০-২০৩১ কোডে জমা দিয়ে চালানের মূল কপি সংযুক্ত করতে হবে। ট্রেজারি চালানের নম্বর, তারিখ, ব্যাংকের নাম ও ঠিকানা অনলাইনে পূরণ করে ট্রেজারি চালানের স্ক্যান কপি সংযুক্ত করতে বলা হয়। উক্ত বিজ্ঞাপ্তিতে একজন প্রার্থী এক বা একাধিক পদে আবেদন করতে পারবে না এমন শর্ত ছিল না। কোন জেলার প্রার্থী আবেদন করতে পারবে বা পারবে না এমন কিছু উল্লেখ করা হয়নি। একজন প্রার্থী একাধিক পদে আবেদন করলে তাদের চিঠি দেয়া হয় একটি পদের জন্য। কিন্তু একাধিক পদে পরীক্ষার সুযোগ দেয়া হয়নি। তার পরও ৫০ হাজার পরীক্ষার্থী পরীক্ষার নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়। পরে এ পরীক্ষায় ২০ হাজার প্রার্থী অংশগ্রহণ করে। সেখানে সরাসরি প্রার্থীদের সাথে প্রতারনা করা হয়েছে। এছাড়া ট্রেজারি চালানোর কোটি কোটি টাকা নিয়েও অনিয়ম করা হয়েছে। একারণে মন্ত্রণায়ের উপসচিব হাফসা বেগমকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা হাফছা বেগম ইনকিলাবকে বলেন,আমার কাছে অনেক কয়েকটি তদন্ত আছে। সে গুলো আগে করবো তার পরে প্রানী সম্পদ অধিদবের কদন্ত শরু হবে। তিনি আরো বলেন,আমার মনে হয় এসব পরীক্ষীারা নিয়োগ পত্র পেয়েছে।

 

 

 



 

Show all comments
  • partho roy ২৭ জুলাই, ২০১৯, ১:৪২ পিএম says : 0
    আমি কর্ত্যবরত ডক্টর কে বলছি যে আমার কিছু কবতর কে ভ্যাকসিন দিতে হবে।ওনি আমায় বলছে যে সে আসবে কিন্তুতাকে টাকা দিতে হবে।।তারা তে সরকারি চাকরি করে।তাদের ভ্যাকসিন দেওয়া কাজ।।কিন্তু তিনি টাকা কেন দাবি করছে।।ভ্যাকসিনের দাম ছাড়াও টাকা দাবি করছে তিনি।।এটা কি ঠিক না ভুল।।আমায় প্লিজ কেই জানান
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ