Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পাকিস্তানের প্রেসক্রিপশনে বিএনপির জন্ম-খাদ্যমন্ত্রী

মহানগর দক্ষিণ আ’লীগের বর্ধিত সভায় হৈ হট্টগোল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

জেল হত্যা দিবসের কর্মসূচি সফল করার জন্য গতকাল বুধবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক বর্ধিত সভায় দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। অনুষ্ঠানে ৩৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল মান্নাফি বক্তব্য দেয়ার সময় কিছু নেতাকর্মী হৈচৈ শুরু করলে অনুষ্ঠানস্থল উত্তপ্ত হয়ে উঠে। এসময় দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে শুরু হয় কথা কাটাকাটি। হট্টগোলের সময় দুই পক্ষের সমর্থকরা কার্যালয়ের ভেতরে ভাংচুর করে।
এ বিষয়ে আবু আহমেদ মান্নাফি অভিযোগ করেন, যেদিন মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার উদ্বোধন করা হয়েছিল, সেদিন সাধারণ সম্পাদকের সমর্থকরা আমার পাঞ্জাবি টেনে ছিঁড়ে ফেলেছিল। অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদের সমর্থকরা দাবি করেন, তিনি অন্যদলের দালাল। তাই তিনি কোন্দল করতে চাইছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেন, ১/১১ সময়ে তারা (সাঈদ খোকন-মান্নাফী) কোথায় ছিল। ওই সময় তিনি কিংসপাটিতে যোগ দেন। শুধু তাই নয়, নেত্রী যখন কারাগারে তখন তিনি দলের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিয়েছেন। তিনি দলীয় সভাপতির কারামুক্তি আন্দোলনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিলেন। কিন্তু এতকিছুর পরও প্রধানমন্ত্রী তাদের সকল অপরাধ ক্ষমা করে দিয়েছেন এবং দলের পদে রেখেছেন। এখন সুযোগ বুঝে আবারো দল এবং সরকারের বিরুদ্ধে উনারা ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া উচিত বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবাহান গোলাপ বলেন, ঘটনাটি অনাকাঙ্খিত। বিএনপি এবং অন্যান্য আওয়ামী বিরোধীদলগুলো আজ এটাই চায়। তাই তাদেরকে সুযোগ করে দেয়া যাবে না। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরকে দলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের সম্পর্কে সজাগ থাকতে বলেন তিনি। তিনি বলেন, যারা এই সরকারের মঙ্গল চায় না, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেবেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা
এর আগে জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে গতকাল সকাল ১১ টায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খাদ্য মন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী আবদুস সোবহান গোলাপ। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহে আলম মুরাদ, সহসভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, আবুল বাসার, নুরুল আমিন রুহুল, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক কামাল চৌধুরী, আবদুল হক সবুজ, দিলীপ রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, কাজী মোর্শেদ কামাল। পরিচালনা করেন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আক্তার হোসেন ও সহপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মামুন রশিদ শুভ্র।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, পাকিস্তানের প্রেসক্রিপশনে বিএনপির জন্ম হয়েছে। বিএনপি পাকিস্তানের এজেন্ডা। বিএনপি ষড়যন্ত্রে পারদর্শী। কিন্তু এবার ধরা খেয়ে গেছে তাদের নিজেদের ফাঁদে। বিএনপি ষড়যন্ত্রে অপরিপক্ব। তাই তারা ধরা খেয়ে গেছে। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া রোহিঙ্গাদের দেখতে গেলেন গাড়িতে। তিনি নাকি অসুস্থ। এতটা লম্বা পথ তিনি বিমানে যেতে পারতেন। ওই যাত্রায় তাঁর কোনো পথসভা ছিল না। ফেনীতে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের কাছে বাস পোড়ানোর বিষয়ে বলেন, যাত্রাপথে গাড়িতে হামলা। তিনি উখিয়ায় অবস্থান করলেন। তখন কোনো হামলা হয়নি। কিন্তু আসার পথে তাঁর গাড়িবহরের পেছনের গাড়িতে আগুন। অথচ তাঁর কোনো নেতাকর্মী আহত হয়নি। এই ষড়যন্ত্রের পেছনে খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল যেই থাক, তাঁদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
কামরুল বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি নতুন করে বোমাবাজির পাঁয়তারা চালাবে বলে তথ্য আছে। এ জন্য নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে।
দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ আগামী জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সকল স্তরের নেতৃবৃন্দকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহŸান জানান।
প্রধান বক্তা ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহে আলম মুরাদ আগামী ৩ তারিখের সকল কর্মসূচী সর্বাত্মক ভাবে সফল করার আহŸান জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খাদ্যমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ