পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া লাখ লাখ লোক দেখানোর জন্য বিমানে না গিয়ে সড়ক পথে কক্সবাজার যাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। রবিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যদি উখিয়া যেতেন তাহলে তিনি বিমানে যেতে পারতেন। তিনি সড়ক পথে কেন গেলেন? এর আগে দলের মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরও গেছেন। কিন্তু তখন তো কোনও সমস্যা হয়নি? লন্ডন থেকে ফেরার পর ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ জানিয়েছিলেন, খালেদা জিয়া চিকিৎসা অসমাপ্ত রেখেই দেশে চলে এসেছেন। সেই অসুস্থ নেত্রী এই দীর্ঘ পথ সড়কে কেন পাড়ি দিতে গেলেন? এর মাধ্যমে পরিষ্কার বোঝা যায় উনার উখিয়া যাওয়ার উপলক্ষ মানবিক কিন্তু উদ্দেশ্যটা রাজনৈতিক। গত সাড়ে আট বছরে সাড়ে আট মিনিটও আন্দোলন করতে পারেনি বিএনপি। কিন্তু তিনি মনে করেছিলেন সড়ক পথে গেলে তাকে দেখতে লাখ লাখ মানুষের ঢল নামবে। ১৫০টি গাড়ির বহর নিয়ে তিনি গেলেন কিন্তু সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষও জড়ো হয়নি।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার যাত্রাপথে বাধা দিলে ক্ষতি আমাদের, আর লাভ হবে বিএনপির। আমরা কেন নিজেদের দলের সেই ক্ষতি করতে যাবো। আমরা শান্তিতে দেশ চালাচ্ছি, কেন আমরা অশান্তি ডেকে আনবো?’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া সড়ক পথে চট্টগ্রামে যাবেন এই সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তিনি গেছেন সড়ক পথে, আসবেনও নাকি সড়ক পথে। এই তিনদিন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট থাকবে। এটা তিনি বিবেচনা করেননি।’
তিনি বলেন, ‘ফেনী পর্যন্ত পাঁচ হাজার লোকও জড়ো হয়নি। ফেনী পর্যন্ত কোনও সমস্যা হয়নি। ফেনীতে প্রবেশের আগে হঠাৎ করে একদল মোটরসাইকেল আরোহী ইট-পাটকেল ছুড়ে ভাঙচুর করেছে। মিডিয়ার গাড়িতে আক্রমণ করেছে। আমার প্রশ্ন আওয়ামী লীগের কর্মীরা কেন গণমাধ্যমের গাড়িতে হামলা করবে?’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখন প্রশ্ন তিনি কত ত্রাণ দেবেন? উনার কারণে তিনদিন সাধারণ মানুষের ত্রাণবাহী গাড়ি উখিয়া যেতে পারছে না। সরবরাহ পথ বন্ধ করে তিনি উখিয়া যাচ্ছেন। তার মতো দায়িত্বশীল নেতার কাছে এ আচরণ শোভন নয়। তিনদিন সড়ক বন্ধ করে দিলেন তিনি।’
এদিকে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ হামলায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি খবর নিয়েছি পরিকল্পিতভাবে ছাত্রদল ও যুবদল এ হামলা করেছে। পরে তারা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ওপর দায় চাপাচ্ছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজার সফরকালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সব সুবিধা দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছেন, উনি (খালেদা জিয়া) বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। উনি সার্কিট হাউজ ব্যবহার করবেন, ভিআইপি রুমে অবস্থান করবেন। তার আপ্যায়ন ও অবস্থানের সময় যেন কোনও ত্রুটি না হয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করতে কক্সবাজারে যাত্রাপথে বিভিন্ন জেলার সার্কিট হাউজ ব্যবহার করার আবেদন করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানতে ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকরা (ডিসি) আমাকে ফোন করেছিলেন। আমি বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। পরে প্রধানমন্ত্রী এসব নির্দেশনা দেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পেয়ে আমি ডিসিদের আরও কিছুটা বাড়তি নির্দেশনা দিয়েছি। আমি ডিসিদের জানিয়েছি, যদি সার্কিট হাউজে খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গীদের জায়গার সংকুলান না হয় তাহলে যেন সড়ক বিভাগের রেস্ট হাউজগুলো ব্যবহার করা হয়।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘রবিবার চকরিয়ায় সড়ক বিভাগের রেস্ট হাউজে নামাজ ও বিশ্রাম নেওয়ার অনুমতি চেয়েছিলেন খালেদা জিয়া। আমি সে অনুমতি দিয়েছি। অথচ এই চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে শেখ হাসিনাকে ভিআইপি রুম দেওয়া হয়নি। তিনি আমাদের দলের সভানেত্রী। তাকে নিয়ে আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা মাঠে দাঁড়িয়েছিলাম। একই ঘটনা ঘটেছিল বরিশালে। তারা অধম হলে আমরা কেন উত্তম হবো না।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।