Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হাইমচরে মেঘনার ভয়াবহ ভাঙন

৩শ’ কোটি টাকার তীর সংরক্ষণ বাঁধ হুমকির মুখে

বি এম হান্নান, চাঁদপুর থেকে | প্রকাশের সময় : ২৫ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীর পূর্বপাড় মূল ভ‚খন্ড রক্ষায় স্থায়ী প্রকল্প রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কার কাজের অভাবে ৩শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। ২ দিনের নি¤œচাপের প্রভাবে সৃষ্ট জোয়ার ও ঢেউয়ের আঘাতে বাঁধ এলাকার চরভৈরবী আমতলীতে ১শ’ মিটার, গাজী নগরে ১শ’ ৫০মিটার সিসি বøক নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তেলিমোড় এলাকাও চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ১৪ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণের পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৯শ’ মিটার সিসি বøকের স্থায়ী বাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেলেও সংস্কার কাজ না হওয়ায় পুরো প্রকল্প এখন হুমকির মুখে রয়েছে। হাইমচর তেলির মোড়সহ ১৪ কি.মি. স্থায়ী বাঁধ এলাকায় ক’টি স্থানে রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কার কাজ না হওয়া বাঁধ এলাকার একাধিক স্থানে ভাঙন দেখা দিলেও চলতি বছরে সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ১১ কোটি টাকার প্রকল্প বরাদ্দের অভাবে সংস্কার কাজ করতে পারেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড।
ফলে চাঁদপুর সেচ প্রকল্প রক্ষায় হাইমচরের ৩শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প মেঘনা গর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটছে স্থানীয় অধিবাসীদের। জরুরি ভিত্তিতে নদী ভাঙন প্রতিরোধ প্রকল্প রক্ষায় সংস্কার কাজ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
গত শুক্র ও শনিবার সাগরে সৃষ্ট নিম্মচাপের ফলে প্রচন্ড ঝড়ের সাথে পানি বৃদ্ধি ও ঢেউয়ে হাইমচরের আমতলী, গাজীনগর, তেলীর মোড়সহ বাঁধ প্রকল্প এলাকায় ভাঙনের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড হাইমচরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, নিন্মচাপের প্রভাবে আমতলীসহ তিন স্থানে ২শ’ ৫০ মিটার বাঁধের সিসি বøক নদীগর্ভে চলে গেছে। এছাড়া বাঁধ নির্মাণের পর থেকে একাধিক স্থানে ৭শ’ ২৪ মিটার বাঁধের সিসি বøকসহ প্রায় ৯শ’ মিটার এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রকল্প রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রায় ১১ কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষে প্রকল্প বরাদ্দের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রকল্প জমা দেয়া আছে। বরাদ্দ সাপেক্ষে বাঁধ রক্ষায় সংস্কার কাজ বাস্তবায়ন করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ