Inqilab Logo

সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের প্রশ্নফাঁস : ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ ও তদন্ত দাবি সাদা দলের

| প্রকাশের সময় : ২৫ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ তদন্ত এবং ভর্তির পরবর্তী কার্যক্রম বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছেন সাদা দলের শিক্ষকরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি-জামায়াতপন্থী সাদা দলের শিক্ষকরা গতকাল (মঙ্গলবার) এক বিবৃতিতে বলেন, “ফাঁসের কথা আগের রাতেই জেনেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক - সিআইডির এজাহারের তথ্য” শিরোনামে একটি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন পড়ে আমরা ভীষণভাবে হাতাশ এবং উদ্বিগ্ন। এই প্রতিবেদনে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পরীক্ষার আগের রাতে গ্রেফতার হওয়া ছাত্রদের নাম ও দলীয় পরিচয় উল্লেখসহ পুরো ঘটনাটি বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সংশ্লিষ্ট হলের একজন হাউস টিউটর (শিক্ষক)-এর উপস্থিতিতে গ্রেফতার হওয়া ছাত্র আল মামুন পরীক্ষার আগেই প্রশ্নপত্র ফাঁস করার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছিলেন।
তারা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে গত ২০ অক্টোবর। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর থেকেই প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠতে থাকে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এ অভিযোগ অস্বীকার করে। অভিযোগটির সত্যতার ব্যাপারে বিশ্বাসযোগ্য তথ্যের অভাব ছিল বলে তখন আমাদেরও মনে হয়েছিল। আর এ কারণেই দায়িত্বশীলতার অবস্থান থেকে সাদা দল এ ব্যাপারে কোন বক্তব্য প্রদান করেনি। কিন্তু একটি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি পড়ার পর ঘটনাটি এড়িয়ে যাওয়ার কোন সূযোগ নেই বলে আমরা মনে করি। কেননা এর সাথে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য, মর্যাদা এবং সুনামের প্রশ্নই কেবল নয়; বরং এর সাথে বিশ^দ্যিালয়ের প্রতি জাতির আস্থার বিষয়টিও জাড়িত। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আমরা এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সুস্পষ্ট বক্তব্য এবং একই সাথে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটিত না হওয়া পর্যন্ত ঘ ইউনিটের ভর্তি সংক্রান্ত পরবর্তী যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ রাখার দাবি জানান।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা দলের আহŸায়ক প্রফেসর ড. মোঃ আখতার হোসেন খান, প্রফেসর ড. মো: আবদুর রশীদ, প্রফেসর ড. মোর্শেদ হাসান খান, প্রফেসর ড. সদরুল আমিন, প্রফেসর ড. মো. সিরাজুল ইসলাম, প্রফেসর ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, প্রফেসর মো. লুৎফর রহমান, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, প্রফেসর ড. মো. আবুল কালাম সরকার, প্রফেসর ড. দিলীপ কুমার বড়ূয়া, প্রফেসর ড. মো. মোশাররফ হোসাইন ভূঁইয়া, প্রফেসর ড. মোঃ এমরান কাইয়ুম, মো. আল আমিন, রাশীদ মাহমুদ, প্রফেসর ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলমোজাদ্দেদী আলফেছানী, প্রফেসর মো. মাহফুজুল হক, প্রফেসর ড. মো. আসলাম হোসেন, প্রফেসর ড. হায়দার আলী, কাওসার হোসেন টগর, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, প্রফেসর ড. মোঃ নুরুল ইসলাম, প্রফেসর ড. লায়লা নূর ইসলাম, প্রফেসর ড. মামুন আহমেদ, প্রফেসর ড. মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, প্রফেসর ড. মো. এনামুল হক, প্রফেসর মো. আতাউর রহমান বিশ্বাস, প্রফেসর ড. মোঃ মোজাম্মেল হক, প্রফেসর আ কা ফিরোজ আহমদ, মোহাম্মদ সফিউল­্যাহ, প্রফেসর ড. মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রফেসর ড. বোরহান উদ্দীন খান, প্রফেসর মো. মাহ্ফুজুল ইসলাম, প্রফেসর ড. আবদুল আজিজ, প্রফেসর তাহমিনা আখতার, প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রফেসর হোসনে আরা বেগম, প্রফেসর ড. মোঃ আবুল বাশার, প্রফেসর ড. শেখ নজরুল ইসলাম, প্রফেসর ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ, প্রফেসর ড. মোঃ আতাউর রহমান মিয়াজী, প্রফেসর মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম, প্রফেসর ড. ছিদ্দিকুর রহমান নিজামী, প্রফেসর আহমেদ জামাল আনোয়ার, প্রফেসর এ এস এম মহিউদ্দিন প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ