Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এমকে আনোয়ারের মৃত্যুতে কুমিল্লার মানুষ শোকে মূহ্যমান

| প্রকাশের সময় : ২৫ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কুমিল্লা উত্তর সংবাদদাতা : বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ৫ বার নির্বাচিত এমপি তিনবারের সাবেক সফল মন্ত্রী এমকে আনোয়ার সোমবার দিবাগত রাত ১.২০টায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। এমকে আনোয়ার ১৯৩৩ সালের ১ জানুয়ারী কুমিল্লার হোমনা উপজেলার ওপারচর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পারিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি মৃত্যুকালে স্ত্রী দুই পুত্র ও এক কন্যাসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি ১৯৫৬ সালে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যনে এমএসসি পাশ করে পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে যোগদান করেন। এরপর থেকে তিনি ১৯৯০ সাল পর্যন্ত মন্ত্রী পরিষদ সচিবসহ সরকারের বিভিন্ন উচ্চপদে দায়িত্ব পালন করেছেন দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে। ১৯৯১ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত এমকে আনোয়ার ৫ বার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন এবং তিনবার সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী হিসেবে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। খ্যাতিমান এই রাজনীতিকের মৃত্যুতে কুমিল্লায় সর্বস্তরের মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
রাজনীতি, সমাজসেবা, উন্নয়ন-আধুনিকায়ন ও প্রশাসনসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে তাঁর স্বপ্রতিভ বিচরণ ছিল এক জ্যোতির্ময় নক্ষত্র হিসেবে। হৃদয়ের গহীনে নক্ষত্রের মতো আলোয় উদ্ভাসিত এবং সুনাম, খ্যাতি, ও শ্রদ্ধা-ভালবাসা পরিপূর্ণ এক অনন্য ব্যক্তির নাম ছিলেন এমকে আনোয়ার। বহুমাত্রিক প্রতিভাধর; এই কিংবদন্তী রাজনীতিতে স্বচ্ছতা, সৎ, নিষ্ঠাবান, যোগ্যতা, দক্ষতার জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তাঁর সুনাম ছিল। মহিরুহর মত বিশাল এই ব্যক্তিত্বের গুনাবলী নিয়ে জ্ঞানগর্ব আলোচনার এই ছোট্ট পরিসরে সম্ভব নয়। তাঁর বর্ণাঢ্য কর্মপরিসর ও রাজনৈতিক পরিমন্ডল দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে বিদেশে বিস্তৃত। দেশ ও জনগনের কল্যানে মরহুমের অসামান্য অবদান অনস্বীকার্য। এলাকায় ছিল তাঁর আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তা। অনোন্নত ও অবহেলিত কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় তিনিই প্রথম উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের সূচনা করেন। একটা আধুনিক শহরে গড়ে তুলেন প্রশ্চাতপদ হোমনাকে। হোমনা পৌরসভা, স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদ্রাসা,্ এতিমখানা, মন্দির-গির্জাসহ অসংখ্য সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। এমকে আনোয়ারের মৃত্যুতে হোমনা, তিতাস, মেঘনা, দাউদকান্দিসহ সমগ্র কুমিল্লার রাজনীতিক, সুশীল সমাজ, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, আইনজীবি, সাংবাদিক, ডাক্তার, আলেম-ওলামাসহ নানা পেশা শ্রেনীর মানুষ গভীর শোক প্রকাশ করে তাঁর বিদেহী আতœার মাগফিরাত কামনা করেছেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারে প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ