পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পুরুষের পাশাপাশি নারীদের সমান সুযোগ দাবি নারী নেত্রীদের
অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে নারী নেত্রীদের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ সবগুলো নির্বাচনে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের সমান সুযোগ ও তাদের জন্য পরিবেশ তৈরির দাবি জানিয়েছেন নারী নেত্রীরা। সেইসঙ্গে সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের পাশাপাশি নারীরা যাতে আরো বেশি করে সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হতে পারেন সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ারও দাবি জানান তারা।
গতকাল সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত ইসি সংলাপে এসব দাবি জানানো হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে সংলাপে অপর চার কমিশনার ও ইসি সচিব উপস্থিত ছিলেন।
সিইস বলেন, নির্বাচন কীভাবে সুষ্ঠু করতে পারি সে জন্য আপনাদের পরামর্শ চাই। আপনাদের কথা বলুন, নারীসমাজের কথা বলুন, দেশের কথা বলুন। সুষ্ঠু অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কীভাবে করা যায়, সেই কথা বলুন। আপনাদের সঙ্গে সংলাপ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে আমরা মনে করি। আপনাদের অবদান হেয় করে দেখার সুযোগ নেই। তিনি বলেন, আপনারা নারীসমাজের প্রতিনিধি হয়ে সংলাপে এসেছেন। আপনাদের সকলের কথা শুনব। পরামর্শগুলো আমলে নেব। নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিশ্বব্যাপী অনেকবার আন্দোলন করতে হয়েছে জানিয়ে সিইসি বলেন, কেউ অনুকম্পায় তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করে দেয়নি। নিজেরাই তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। এমন দিন ছিল, যেখানে নারীদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ ছিল না।
সংলাপ শেষে নারী প্রগতি সংঘের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রোকেয়া কবির বলেন, নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরির দাবি করেছি। সবার জন্য সমান সুযোগের কথা বলা হয়েছে। সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করতে হলে নারী-পুরুষ সব ভোটারের জন্যই করতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের নারীদের সমান অধিকার নেই। তারা বাংলাদেশে নিরাপত্তা থেকে শুরু করে চলাফেরা, রাজনৈতিক দলগুলো থেকে মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রেও সমান সুযোগ পান না। আমরা এটি নিশ্চিত করার জন্য বলেছি। মেয়েরা উত্তাধিকারের ক্ষেত্রে সমান সুযোগ পান না এ জন্য তারা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন না। এ ছাড়া নির্বাচনে ধর্মের ব্যবহার না করা। কারণ ধর্মের ব্যবহারের ফলে নারীরা সবচেয়ে বেশি ভিকটিম হয়।
রোকেয়া কবির বলেন, অনেকগুলো রাজনৈতিক দল সংলাপের সময় অনেকেই রাজনৈতিক দলের সকল পর্যায়ের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী রাখার বিধানের বিরোধিতা করেছে। আমরা এর প্রতিবাদ করেছি। সংবিধান বিরোধী এই ধরনের দাবি যারা করেছে তাদের নিবন্ধন বাতিলের দাবি জানিয়েছি। প্রিপ ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক অ্যারোমা দত্ত বলেন, অনেক নতুন প্রজন্মের ভোটার রয়েছে। তাদের সচেতন করতে হবে। তিনি বলেন, প্রতিবারই আমরা দেখি নির্বাচনের আগে ও পরে নারীরা সংহিংতার শিকার হন। এ ব্যাপারে নারীদের যাতে সাপোর্ট দেয়া হয় এবং সহিংসতা না ঘটে। বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধী নারীরা যাতে ভোট দিতে পারে, সে ব্যবস্থা করতে হবে। নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের জেলারেল সেক্রেটারি পারভীন সুলতানা ঝুমা বলেন, নির্বাচনে নারীরা যাতে অন্যের মতামতের উপর প্রভাবিত না হয়ে নিজের মতামত প্রয়োগ করতে পারে তার ব্যবস্থা ইসিকে করতে হবে। তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় মসজিদে খুতবা দিয়ে নারীদের ভোটে যেতে নিরুৎসাহিত করা হয়। কিন্তু এটা না করে তাদের ভোট দিতে যাওয়ার ব্যাপারে উৎসাহ দেয়া উচিত।
সংলাপে আরো উপস্থিত ছিলেন ফর ইউ ফর এভারের (ফাইফে) প্রেসিডেন্ট রেহানা সিদ্দিকী, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব উইমেন ফর সেলফ এমপাওয়ারমেন্টের (বাউশি) এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মাহবুবা বেগম নিরু, নারী উদ্যোগ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক মাসহুদা খাতুন শেফালী, ডিজ্যাবল্ড রিহ্যাবিলিটেশন এন্ড রিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিআরআরএ) নির্বাহী পরিচালক ফরিদা ইয়াসমিন, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ড. মালেকা বানু, নারী নেত্রী রেখা চৌধুরী, রিনা সেন গুপ্তা, নারী নেতৃ মনসুরা আকতার প্রমুখ। তারা সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন বাড়ানো, সরাসরি ভোটে নারীদের বেশি করে মনোনয়ন দেয়া এবং না ভোট রাখার দাবি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।