পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মিয়ানমারকে রোহিঙ্গাদের অবশ্যই ফেরত নিতে হবে -সুষমা স্বরাজ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রোহিঙ্গাদের মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছি। দেশের ১৬ কোটি মানুষকে খাওয়াতে পারছি, তাদেরও খাওয়াতে পারব। তিনি আরও বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক যোগাযোগ রয়েছে। আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আগামীকাল (সোমবার) মিয়ানমার যাচ্ছেন।
গতকাল রবিবার গণভবনে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একথা বলেন। বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
বৈঠকে পাক বাহিনীর আত্মসমর্পণের দলিল প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন সুষমা স্বরাজ। এ সময় মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। ১৯৭৫ পরবর্তী বঙ্গবন্ধু পরিবারের জীবিত দুই সদস্য শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার পাশে ভারতের দাঁড়ানোর কথাও স্মরণ করেন তিনি। বৈঠকে সুষমা স্বরাজ রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের জন্য বোঝা বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধান চায় ভারত। মিয়ানমারকে তাদের নাগরিকদের অবশ্যই ফিরিয়ে নিতে হবে। রোহিঙ্গাদের ভেতরে আরসাসহ যারা অন্যায়কারী রয়েছে, তাদের শাস্তি হবে কিন্তু নিরপরাধীদের শাস্তি হবে কেন?
সুষমা স্বরাজ আরও বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেদ্র মোদি মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চিকে বলেছেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আপনার (সু চি) যে ভাবমূর্তি আছে, সেটি ধ্বংস করবেন না। রাখাইনে সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়কে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বিশাল সংখ্যার এই শরণার্থীদের বাংলাদেশের জন্য ‘বড় বোঝা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাংলাদেশ কত দিন এই ভার বহন করবে। এর একটা স্থায়ী সমাধান হতে হবে।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের ভূমিকা রাখার উপর জোর দেন তাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পরে শেখ হাসিনার হাতে মুক্তিযুদ্ধের স্মারকচিহ্ন তুলে দেন সুষমা স্বরাজ। ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের দলিলের মূল কপি এবং মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত ৩৮ ইঞ্চি সার্ভিস রিভলভার প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন তিনি।
এর আগে গতকাল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আগে ঢাকা সফররত ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। বৈঠকের পর এক যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, মিয়ানমারে সেনা অভিযানের মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সেদেশে ফিরে যাওয়াই এই সংকটের সমাধান বলে মনে করে ভারতও। কেবল বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের রাখাইন রাজ্যে ফেরত যাওয়ার মধ্য দিয়েই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে বলা হয়েছে বিবৃতিতে।
মিয়ানমারে নিধনযজ্ঞের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা এই মানুষদের বোঝাতে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দ ব্যবহার করেননি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। রোহিঙ্গাদের তিনি রাখাইন রাজ্যের ‘বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিবর্গ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
সুষমা স্বরাজ বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতায় ভারত গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
মাহমুদ আলী বলেন, ভারত-বাংলাদেশের যৌথ পরামর্শক কমিশনের বৈঠকে তারা ভারতের প্রতি মিয়ানমারের ওপর চাপ দেয়ার আহ্বান জানান, যাতে রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ ভূমিতে প্রত্যাবর্তনসহ সমস্যার স্থায়ী সমাধান হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে বৈঠকের পর হোটেল সোনারগাঁওয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গেও বৈঠক করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।