পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণতম আইনবিদ ও বরেণ্য ব্যক্তিত্ব বিচারপতি টি এইচ খানের ৯৭তম জ¤œ দিন আজ (শনিবার)। এই দিনে ১৯২০ সালের ২১ অক্টোবর বিচারপতি টিএইচ খান ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলাধীন ঔটি গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। ১৯৪৭ সালে তিনি আইন পেশায় যোগদেন এবং বর্তমানে তিনি দেশের প্রবীণতম কর্মরত আইনজীবী। বিচারপতি টিএইচ খানের ছেলে আফজাল এইচ খান জানিয়েছেন মোহাম্মদ পুরস্থ নিজ বাসভবনে পরিবার পরিজন, আইনজীবী ও শুভাকাঙ্খীদের সঙ্গে তিনি ৯৭তম জন্ম দিন পালন করবেন।
বিচারপতি টিএইচ খান ১৯৬৮ সনে তদানিন্তন পূর্ব পাকিস্তান হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ তিনি হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। এরপর ১৯৭৩ সালের জুলাই মাস থেকে পুনুরায় আইন ব্যবসায় ফিরে আসেন। ১৯৭৪ সালে তিনি প্রথম বারের মতো সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সালে তিনি পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিএনপি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮১ সালের ১৫ নভেম্বর আইন, শিক্ষা, ধর্ম, ভূমি ও রাজস্ব এবং ক্রিড়া মন্ত্রী হিসেবে সপথ নেন। এরপর ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ এরশাদের নেতৃত্বে নতুন সামরিক আইন জারি করা হয়। তখন তিনি আবার আইন পেশায় ফিরে যান। ১৯৮৬ সালে এরশাদের নির্বাচনে বিরোধীতা করার জন্য গ্রেফতার হন।
বিচারপতি টিএইচ খান ১৯৯২ সালে জাতিয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের প্রতিষ্ঠা করেন এবং প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নির্বাচিত হন। এই পদে তিনি ২০১১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯২ সনে তিনি সুইজারল্যান্ডের জেনেভাস্থ জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যার রাইটস কমিশনের মেম্বার এবং একই বছর জাতিসংঘে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দান করেন। ১৯৯৪ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের দ্বিতীয় বারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯৫ সালে বিচারপতি টিএইচ খান সাউথ এশিয়া জোন থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত রুয়ান্ডা ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯৯ সালের ১৯ জুন মাস পর্যন্ত জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারী জেনারেল পদে বিচার কার্য পরিচালনা করে দেশে ফিরে আসেন। আবার আইন পেশা শুরু করেন।
১৯৪০ সালে বিচারপতি টিএইচ খান এসএসসি পাস করেন এবং ১৯৪২ সালে তৎকালিন কলকাতা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইএসসি পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএ ভর্তি হন। ১৯৪৫ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ এবং ১৯৪৬ সালে এমএ পাস করেন। ১৯৫১ সালের ১৪ মার্চ তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হন। বর্তমানে বিচারপতি টিএইচ খান বিএনপির ১নং ভাইচ চেয়ারম্যান।আইন পেশা ছাড়াও বিচারপতি টিএইচ খান প্রথম জীবনে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ, জগন্নাথ কলেজ (বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয়) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন ও আইন বিষয়ে অধ্যাপনা করেন। সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণতম আইনবিদ বিচারপতি টিএইচ খান এখনও আদালতে আসানে বলে ছেলে আফজাল এইচ খান জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।