পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : আর মাত্র ৪দিন। এরপরই সেই কাঙ্খিত দিন। যেদিন আলো ঝলমল হয়ে উঠবে মালিবাগ-মগবাজার ফ্লাইওভার। আগামী ২৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই ফ্লাইওভারের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনী ঘোষণার পর পরই যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে মৌচাক-মালিবাগ-শান্তিনগর-রাজারবাগ-মগবাজার অংশ। এর মাধ্যমে পুরো ফ্লাইওভার যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হবে। ফ্লাইওভারের প্রকল্প পরিচালক এলজিইডির তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী সুশান্ত কুমার পাল জানান, ফ্লাইওভারের মূল কাজ (মৌচাক-মালিবাগ-শান্তিনগর-রাজারবাগ-মগবাজার) আগেই শেষ হয়েছে। বাতি, রঙ-কালি ও ধোয়ামোছাসহ অন্যান্য কাজও সম্পন্ন হয়েছে। এখন শুধু উদ্বোধনের জন্য অপেক্ষা। ইতোমধ্যে এলজিইডির তত্ত¡বধানে ফ্লাইওভারের নিচের রাস্তার কাজও প্রায় শেষ। উপরে নতুন ফ্লাইওভার, নিচে নতুন রাস্তা মিলে মৌচাক-শান্তিনগর-মালিবাগ-মগবাজার এলাকা এখন অন্যরকম রুপ ধারণ করেছে। প্রতিদিন হাজার হাজার উৎসুক জনতা আসছে ফ্লাইওভারটি দেখতে।
অন্যদিকে, নতুন ফ্লাইওভারকে ঘিরে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে মৌচাক-মালিবাগ-মগবাজার এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্য। দীর্ঘ তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে বহু ব্যবসায়ী যে সুদিনের অপেক্ষায় ছিলেন, সেই দিন আসতে আর মাত্র চার দিন বাকি। ব্যবসায়ীদের ভাষায়, রাত যতো দীর্ঘই হোক, সকাল যেমন একসময় আসে। ঠিক তেমনি ফ্লাইওভার নির্মাণের কারনে ভোগান্তি বা ব্যবসা যতো মন্দাই যাক সুদিন একদিন আসবে-এ বিশ্বাস তাদের ছিল। সেই শুভ দিনের কথা চিন্তা করে অনেকেই আনন্দে উদ্বেলিত।
একই সাথে যারা এতোদিন মৌচাক-মালিবাগ বা মগবাজারের পথে চলাচল করতেন বা চলাচল করতে বাধ্য হতেন তাদেরও যানজটের ভোগান্তির দিন শেষ হয়ে আসছে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর নির্বিঘেœ চলাচল করবে যানবাহন। থাকবে না যানজট, খানাখন্দের রাস্তার ভোগান্তি। সব মিলে নতুন সুখের বার্তা নিয়ে আসছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মালিবাগ-মগবাজার ফ্লাইওভার। এ ফ্লাইওভারের সাতরাস্তা-মগবাজার-হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল অংশ গত বছরের ৩০ মার্চ যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। চলতি বছরের ১৭ মে এফডিসি মোড় থেকে কারওয়ান বাজার পর্যন্ত তৃতীয় অংশ যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এ ছাড়া গত ১৫ সেপ্টেম্বর নিউ ইস্কাটন থেকে ওয়ারলেস মোড় পর্যন্ত এক দিকের অংশ খুলে দেয়া হয়। সর্বশেষ মৌচাক-মালিবাগ-শান্তিনগর-রাজারবাগ-মগবাজার অংশ খুলে দেওয়ার মাধ্যমে পুরো ফ্লাইওভারটি চালু হয়ে যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।