পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : বন্যার কারণে কয়েক মাস আগে বাড়া শাক-সবজির দাম এখনও চড়া। কয়েকটি সবজির দাম কিছুটা কমলেও টানা বৃষ্টির কারণে নতুন করে বেড়েছে কয়েকটির। এতদিন এক কেজি বেগুন ৫০-৬০ টাকায় পাওয়া গেলেও এখন তার জন্য গুণতে হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা। ঢেড়শের কেজিও উঠেছে ৮০ টাকায়। কাঁচামরিচের দাম কেজিপ্রতি নিয়মিত দেড়শ’র উপরে থাকছে। মাঝে মাঝে উঠছে ২০০ টাকার কাছাকাছি। বাড়তি রয়েছে পুঁই, পালং ও লাল শাকের দাম। লাউও বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে।
সাগরে নিম্নচাপ ও মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে গতকাল শুক্রবার দিনভর টানা বৃষ্টিপাত হয়েছে ঢাকাসহ সারা দেশে। বৃষ্টির কারণে ক্রেতা কম থাকায় ঢাকার কাঁচাবাজারগুলোতে মাছ-মাংস, শাক-সবজি কিংবা তরকারির দামে কিছুটা ছাড় দিতে হয় বিক্রিতাদের। তারপরেও মহাখালী, মণিপুর, মিরপুরসহ কয়েকটি কাঁচাবাজারে ঢেড়শ ৮০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, লাউ ৪০ টাকা ও সিম ১৬০ টাকায় প্রতিকেজি বিক্রি হয়। এগুলোর মধ্যে পটল ও চিচিঙ্গার দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা করে কমেছে বলে বিক্রেতারা জানিয়েছেন। লাউয়ের দাম আগের চেয়ে বেড়ে এখন সর্বনি¤œ ৫০ টাকা হয়েছে। পুঁইশাকের আঁটি নিচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা, লাল শাক ২০ টাকা এবং পালং শাক আঁটি ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হয়। রাজধানীর বাজারগুলোতে মাছ, গোশতের দামে তেমন হেরফের হয়নি। আগের সপ্তাহের মতোই রয়েছে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম, ডজন ৯০ টাকা। যাত্রাবাড়ী কাঁচাবাজারের মুদি দোকানি আব্দুল কাদির জানান, চলতি সপ্তাহে আদার দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অনেকদিন ধরেই দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি ৪৫ টাকা। নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসার আগে দাম কমার সম্ভাবনা দেখছেন না বিক্রেতারা। রসুনের দাম কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে, দেশি-বিদেশি দুটোর কেজিই মিলছে ১০০ টাকার মধ্যে। চালের দাম আরও কিছুটা কমার কথা জানিয়েছেন মোহাম্মদপুরের একজন বিক্রেতা। সোহরাব নামের ওই বিক্রতা বলেন, দুইদিন আগে চাল কিনতে গিয়ে তিনি মিনিকেটের বস্তায় ৫০ টাকা করে কম পেয়েছেন। এতদিন ২৯০০ টাকায় ৫০ কেজির বস্তা বিক্রি হলেও বুধবার তা পাইকারিতে ৫০ টাকা কমে ২৮৫০ টাকায় বিক্রি হয়। গত এক মাসে এটিই চালের বাজারে ইতিবাচক খবর বলে জানান তিনি। বাজারে ভারতীয় পাইজাম কেজিপ্রতি ৪৪ থেকে ৪৫ টাকায়, ভারতীয় স্বর্ণা চাল ৪৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানান আরেক বিক্রেতা। চালের দাম কমার কথা বলেছেন মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের এক ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, রশিদের মিনিকেট চালের দাম বস্তায় ৫০ টাকা কমেছে। অন্যান্য মিলের চালের দামও বস্তায় ৫০ থেকে ৭০ টাকা করে কমেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।