Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

২৬ অক্টোবর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

মালিবাগ-মগবাজার ফ্লাইওভার : খুলছে স্বপ্নের দুয়ার

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২০ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

অবশেষে স্বপ্নের দুয়ার খুলছে। যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হচ্ছে মৌচাক-মালিবাগ-মগবাজার ফ্লাইওভার। আগামী ২৬ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এটির উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
ইতোমধ্যে ফ্লাইওভার উদ্বোধনের সার্বিক প্রস্তুতি প্রায় শেষ করে ফেলেছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। এখন চলছে ধোয়ামোছা, রঙ ও বাতি লাগানোর মতো শেষ পর্যায়ের কাজ। এছাড়া সমন্বিত এ ফ্লাইওভারের নিচের সড়কের সংস্কার কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে। এলজিইডি নিচে শুধু সড়কের কাজ করেছে। ড্রেনেজ ও ফুটপাতের কাজ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন।
চার লেনের ফ্লাইওভারটি ছয়টি মোড় অতিক্রম করেছে। এগুলো হলো সাতরাস্তা, বিএফডিসি, মগবাজার, মৌচাক, শান্তিনগর ও মালিবাগ মোড়। এর মধ্যে মগবাজার, মালিবাগ ও কারওয়ান বাজারে রেললাইন অতিক্রম করেছে এই ফ্লাইওভারটি। তিনভাগে বিভক্ত ফ্লাইওভারটির একটি অংশ সাতরাস্তা-মগবাজার-হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের সামনে পর্যন্ত বিস্তৃত। এই অংশ নির্মাণ করেছে নাভানা কনস্ট্রাকশন। গত বছরের মার্চ মাসে এ অংশ যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়। আরেক অংশ গেছে মৌচাক থেকে নিউ ইস্কাটন পর্যন্ত। গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর এই অংশের একদিক খুলে দেয়া হয়। এই অংশ নির্মাণ করেছে তমা কনস্ট্রাকশন। অন্যদিকে, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) মোড় থেকে কাওরান বাজার অংশ যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয় গত ১৭ মে। এই অংশও তৈরি করেছে নাভানা কনস্ট্রাকশন। এখন খুলে দেয়ার অপেক্ষায় আছে মৌচাক-মালিবাগ-শান্তিনগর-রাজারবাগ-মগবাজার অংশ। এটা নির্মাণ করেছে তমা কনস্ট্রাকশন।
এলজিইডি সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রায় ৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ শুরু হয়। শুরুতে এই প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছিল ৭৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। পরে নকশায় পরিবর্তন আনা হয়। শেষ পর্যন্ত ব্যয় বাড়তে বাড়তে ১ হাজার ২১৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকায় গিয়ে ঠেকে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকার অর্থায়ন করেছে ৪৪২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। ৭৭৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা দিয়েছে সউদী ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এসএফডি) এবং ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ওএফআইডি)। দেশে এখন পর্যন্ত যে কয়টি ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়েছে, তার মধ্যে মৌচাক-মালিবাগ ফ্লাইওভারটি দৈর্ঘ্যে দ্বিতীয়। প্রথম স্থানে আছে ১০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার (গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ী)। তবে রাজধানীর যানজট নিরসনে মালিবাগ-মগবাজার ফ্লাইওভারটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারনা। একই সাথে এই ফ্লাইওভারটি চালু হলে মালিবাগ, মৌচাক, মগবাজার, রামপুরা, খিলগাঁও, তেজগাঁও, বাংলামোটর এলাকার ব্যবসা বাণিজ্যের অনেক উন্নতি হবে। ইতোমধ্যে মালিবাহ, শান্তিনগর, মৌচাক এলাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চাঙ্গা হতে শুরু করেছে বলে ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে। প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ফ্লাইওভারটি রিখটার স্কেলে ১০ মাত্রার ভূমিকম্প সহনীয়। প্রতিটি পিলার পাইলের গভীরতা প্রায় ৪০ মিটার গভীর। চার লেনের এ ফ্লাইওভারে ওঠানামার জন্য ১৫টি র‌্যাম্প রয়েছে। তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা, এফডিসি, মগবাজার, হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল, বাংলামটর, মগবাজার, মালিবাগ, রাজারবাগ পুলিশ লাইন এবং শান্তিনগর মোড়ে ওঠানামা করার ব্যবস্থা রয়েছে।



 

Show all comments
  • বাবুল ২০ অক্টোবর, ২০১৭, ৪:৩৯ এএম says : 0
    এই প্রকল্পগুলো দ্রুত শেষ করা উচিত।
    Total Reply(0) Reply
  • Sarwar Murshed ২০ অক্টোবর, ২০১৭, ৩:৫৭ পিএম says : 0
    Alhamdulillah.Birat ar dirghosthai ekta jhinjhat theke mukti pete jacchi.Congrats PM
    Total Reply(0) Reply
  • Rafi Azam ২০ অক্টোবর, ২০১৭, ৩:৫৭ পিএম says : 0
    Eisob diye kon benefit nai ....jam aro beshi. proper planning nai kichu te
    Total Reply(0) Reply
  • Ahmed Moha ২০ অক্টোবর, ২০১৭, ৩:৫৯ পিএম says : 0
    Upore fly over korar por doi soptar mathai 500 ton moila nicher khai jaigai jombe,, dekhon jatrabari fly over ainoytik Nari poroser adda bosti are moylar godowen!
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ