পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত প্রকল্পের ফাইল হিমাগারে
প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত নোয়াখালীর দক্ষিণাঞ্চলে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ তিমিরেই থেকে গেছে। দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছরেও প্রকল্পটি আলোর মুখ দেখেনি। সর্বশেষ, দুই বছর পূর্বে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দফতর থেকে প্রেরিত এতদ্বসংক্রান্ত ফাইল এখন অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ কার্যালয়ে অলস পড়ে আছে। ফলে প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত নোয়াখালীতে বিশেষ অঞ্চল আদৌ প্রতিষ্ঠিত হবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট মতভেদ রয়েছে।
উল্লেখ্য, নোয়াখালী জেলা সদরের দক্ষিণাঞ্চলীয় বিশাল উপকূলীয় অঞ্চলকে বলা হয় ”দেশের ভবিষ্যত সম্ভাবনাময়ী অর্থনৈতিক অঞ্চল”। ধান, তরকারী, রবিশস্য ও মৎস ভান্ডার বলা হয় দক্ষিণাঞ্চলকে। এছাড়া সুষ্ঠু সড়ক ও নৌ-যোগাযোগ এবং আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক থাকায় দেশের যে কোন অঞ্চলের চাইতে মেঘনাবর্তী অঞ্চলটি অর্থনৈতিক বিকাশে নিরাপদ অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। অপরদিকে অঞ্চলটিতে রয়েছে অর্ধ লক্ষাধিক একর সরকারী খাস ভূমি। অথচ বিপূল সুযোগ সুবিধা বিদ্যমান সত্বেও নোয়াখালীর দক্ষিণাঞ্চলে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রকল্প আলোর মুখ না দেখায় জেলাবাসী হতাশ হয়েছে।
প্রসঙ্গত ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১-৮-২০১৩ সালে নোয়াখালী জেলা সফর করেন। সফরকালে তিনি মাইজদী হাউজিং এস্টেট ময়দানে এক বিশাল জনসভায় নোয়াখালীর দক্ষিণাঞ্চলে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার ঘোষণা করেন। যার প্রেক্ষিতে নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সূবর্ণচর উপজেলার চরবাটা ইউনিয়নের দক্ষিণ চর মজিদ মৌজায় ৩৫০ একর ভূমি প্রস্তাব করা হয়। উক্ত ভূমি নিয়ে একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান হাইকোর্টে রীট পিটিশন দাখিল করায় স্থান নির্বাচনের প্রক্রিয়া প্রাথমিকভাবে বাধাগ্রস্থ হয়। পরবর্তীতে বিকল্প হিসেবে চরবাটা ইউনিয়নের চরমজিদ থেকে ২০০ একর এবং চরক্লার্ক ই্উনিয়ন থেকে ২০০ একরসহ সর্বমোট ৪০০ একর ভূমি নির্ধারণ করে একটি প্রস্তাব বিগত ২০১৫ সালে অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ কার্যালয়ে প্রেরন করা হয়। কিন্তু অদ্যবধি উক্ত ফাইলটি আলোর মুখ দেখেনি। এব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আবদুর রব মন্ডল এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ইনকিলাবকে জানান, অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ ও একনেকে অনুমোদিত হলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী দেশে শতাধিক অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার ঘোষণা প্রদান করেন। যার ধারাবাহিকতায় ৩০/৩৬ টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের অনুমোদন দেয়া হয়েছে এমনকি নোয়াখালীর পাশ্ববর্তী মিরেরশ্বরাইতে মেঘনা তীরবর্তী বিশাল অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। কিন্তু বাধ সেঁধেছে নোয়াখালীর বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল নিয়ে। কবে নাগাদ প্রকল্পের ফাইলটি ছাড় পাবে কিংবা একনেকে অনুমোদিত হবে তারও কোন নিশ্চয়তা নাই। ফলে বহুল প্রত্যাশিত নোয়াখালী বিশেষ অর্র্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ অঙ্কুরেই ভেস্তে যাবার উপক্রম হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।