প্রশ্নের বিবরণ : একটা বাচ্চা জন্মের পর ৩ ঘণ্টা জীবিত ছিলো। বাচ্চাটির আকিকা করা লাগবে কি? বাচ্চাটির নাম ঠিক করা হয়েছিল। উত্তর : আকিকা করা লাগবে না। একটি নাম রেখে দেওয়া প্রয়োজন ছিল, যা করা হয়েছে। উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর...
প্রশ্নের বিবরণ : নানা যদি ছেলের আকিকা দেয় তবে এর ভাগ কি বাবা পাবে নাকি নানার থাকবে? উত্তর : নানার থাকবে। নানা ইচ্ছা করলে সবাইকে হাদিয়া দিতে পারেন। আর যদি নানা শিশুর বাবাকে পুরো ভাগটিই হাদিয়া দিয়ে থাকেন, তাহলে এটি আর...
প্রশ্নের বিবরণ : আকিকার গোস্ত দাই মাকে বণ্টনের পদ্ধতি আছে কি? উত্তর : আকিকার গোস্ত কোরবানীর গোস্তের মতো। পিতা মাতা আত্মীয় স্বজন পাড়া প্রতিবেশী সবাই খেতে পারে। সম্ভব হলে দাই মাকে দেওয়াও কর্তব্য। দেওয়া সম্ভব না হলেও গোনাহ হবে না।উত্তর দিয়েছেন...
প্রশ্নের বিবরণ : কিছুদিন আগে আমার ৩দিন বয়সী মেয়ে সন্তান মারা গেছে। সন্তান জন্মের পর আমি তার আকিকা করার জন্য নিয়ত করেছিলাম। কিন্তু সে মারা যাওয়ার কারনে আকিকা করা হয় নাই। এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে, আমার এই মৃত নবজাতকের আকিকা...
উত্তর : আরহাম নামটি রাখা যায়। এর অর্থ অধিক দয়ালু। যেমন, এই ওজনে ‘আকরাম’, ‘আরশাদ’, ‘আফজাল’ রাখা হয়ে থাকে। উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভীসূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।প্রশ্ন পাঠাতে নিচের ইমেইল ব্যবহার...
উত্তর : সঠিক। যদি সঠিক নাও হতো, তাহলে কেবল পরিবর্তন করলেই চলতো। নাম বদলের জন্য আকীকা জরুরী নয়। আপনার পুত্রের নামটি ঠিকই আছে, এতে কোনো সমস্যা নেই। উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভীসূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী...
উত্তর : আকীকা একটি মুসতাহসান কাজ। যা সক্ষম মানুষের পক্ষে করা কর্তব্য। অপারগতার ক্ষেত্রে না করলে কোনো দোষ নেই। কোনো মৃত ব্যক্তির আকীকা না করে থাকলে মৃত্যুর পর তা করার কোনো বিধান নাই। শরীয়তে এর কোনো বাধ্যবাধকতাও নেই। উত্তর দিয়েছেন...
উত্তর : সংগতি থাকলে ছেলের জন্য দু’টি খাশি। আর মেয়ের জন্য একটি খাশি। এটিই একটি সন্তান আল্লাহর দান হিসাবে পাওয়ার শুকরিয়া স্বরূপ এবং সন্তানটির বালা মুসিবত কেটে যাওয়ার জন্য দেয়া মুস্তাহাব। কেউ যদি না পারে, তাহলে কোনো বাধ্য বাধকতা নেই।...
উত্তর : এ অবস্থায় আকীকা দিতে হবে না। যদি সন্তানটি জীবিত হয়ে থাকে, কান্না বা শব্দ করে থাকে, এরপর মারা যায়, তাহলে একটি নাম রেখে দেওয়া উচিত। যেমন, আব্দুল্লাহ বা আব্দুর রহমান। কারণ, জীবিত সন্তান পিতামাতার জন্য আল্লাহর নিকট সুপারিশ...
উত্তর : ফিকহে হানাফী অনুসারে ভাগ রাখা যাবে। যারা এ বিষয়ে ভিন্নমত পোষন করেন তাদের মাসআলা অন্যরকম হতে পারে। আমাদের দেশে যেহেতু প্রায় সব মুসলমান হানাফী ফিকাহ’র অনুসারী সুতরাং আমাদের সমাজে প্রচলিত নিয়মে কোরবানীর পশুতে আকিকার ভাগ রাখা যাবে। উত্তর...
উত্তর : দুই ছেলের জন্য সংগতি থাকলে চারটি ছাগলই দিতে হবে। আকীকা একটি মুস্তাহসান আমল। এটি উম্মতের সকলে গুরুত্বসহকারে আমল করেছেন। তবে, যার সংগতি নেই তার জন্য এটি ওয়াজিব ফরজ নয়। গরু দিয়ে আকীকার কোনো নিয়ম দেখা যায় না। তবে,...
আকীকা একটি আমল। আকীকা করা সুন্নত। আকীকা শিশুর অধিকার। নবজাতক শিশুর জন্য আকীকা এতোই গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল। ইহার তাৎপর্য ও ফজিলত বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না। আকীকার ওপর আমলের বরকতে নবজাতক শিশুর সকল মুসিবত দূর হয়ে যায়। নবজাতক শিশু...
উত্তর: প্রয়োজনে নাম পরিবর্তন করা যায়। আগের নাম বজায় রেখেও নতুন সংযোজন করা যায়। বিশেষ করে ভুল বা মন্দ অর্থের নাম পরিবর্তন করে নেওয়ায় ইসলামের নিয়ম। এজন্য আকীকা দোহরাতে হয় না। উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভীসূত্র :...
উত্তর : মৃত প্রসব হলে সন্তানের আকীকা করতে হয় না। ৩৬ ঘন্টা যে শিশুটি জীবিত ছিল, সে যদি সুস্থ থেকে থাকে, কান্না বা শব্দ করে থাকে, তবে তার একটি নাম রেখে দেওয়া ভালো। তবে আকীকা করতে হবে না। কেননা, জন্মের...
উত্তর : বাচ্চাটির যতটুকু হায়াত ছিল ততটুকুর জন্য এসব নিয়ম পালন জরুরী নয়। তবুও তার একটি নাম রাখা কিংবা আকীকা দেওয়া আপনার জন্য জায়েজ। তবে, জরুরী নয়। যেমন, তার কানে আজান ইকামত দেওয়া, তার একটি নাম রাখা, তার অল্প হায়াতের...
উত্তর : মান্নত অর্থ যদি মনস্থ বা নিয়ত হয়, তাহলে এর গোস্ত খাওয়া যাবে। আর যদি মান্নত অর্থ আল্লাহর নামে দান করে দেয়া হয়, তাহলে এ দিয়ে কোরবানী ও আকীকা কোনোটাই সহীহ হবে না। গোস্তও খাওয়া যাবে না। গাভীটি আল্লাহর...