যশোর ব্যুরো : যশোর এমএম কলেজে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর সময় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় ১০জনকে বোমা তৈরির সরঞ্জামসহ আটক করেছে পুলিশ। তবে আটককৃতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পর রাতেই সরকারি এমএম কলেজের আসাদ হলে অভিযান শুরু করে পুলিশ। আজ দুপুর পর্যন্ত সেখান থেকে ১০টি হাতবোমা, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, ইয়াবাসহ ১০ জনকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে ওই ঘটনায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে রোববার সকালে একটি মামলা দায়ের করেন কোতোয়ালি থানার এসআই আসাদুজ্জামান।
একুশের প্রথম প্রহরে যশোর এমএম কলেজে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর সময় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটানো হয়। ওই সময় পুলিশ ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। তবে এই ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, যশোর এমএম কলেজের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে একুশের প্রথম প্রহরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ুন কবীর ও পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান। পরে শ্রদ্ধা জানাতে যান ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ সময় শহীদ মিনারের উত্তর পাশে একটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটে। এর পরপরই পুলিশ লাঠিচার্জ ও ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে। এতে গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে আসা নারী, পুরুষ ও শিশুরা আতঙ্কিত হয়ে ছোটাছুটি শুরু করে।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইলিয়াস হোসেন জানান, এ ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।