কৃত্রিম বিরোধী দল নয় জাপা
সংসদে জিএম কাদের
স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৫ এএম
জাতীয় পার্টি (জাপা) সংসদে সম্পূর্ণ মেকি বা কৃত্রিম বিরোধী দল নয় বলে দাবি করেছেন সংসদে বিরোধী দলের উপনেতা ও দলটির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তিনি বলেছেন, বর্তমান বিরোধী দল কৃত্রিমভাবে তৈরী-এটা কিছুটা হতে পারে, কারণ জাপা সরকারি জোটভুক্ত হয়ে নির্বাচন করেছে। তবে সম্পূর্ণ কৃত্রিম বিরোধী দল নয়।
গতকাল সোমবার সংসদে প্রেসিডেন্টের ভাষণের ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় ও অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি জাপাকে নিয়ে জনমনে সৃষ্ট প্রশ্ন সম্পর্কে এই জবাব দেন। বিরোধী দলীয় নেতা এইচএম এরশাদের অনুপস্থিতিতে বিরোধী দলের পক্ষে মূল বক্তব্য রাখেন তিনি।
জিএম কাদের বলেন, অনেকে বলেন সবকিছু পাতানো খেলা। জাপা সরকারি জোটে থেকে নির্বাচন করেছে, এজন্য তারা মনে করছেন এখন হয়তো বিরোধী দলে থেকেও জাপা কার্যত সরকারের পক্ষ হয়েই কাজ করবে। বর্তমান যে সংসদীয় ব্যবস্থা এবং সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ, তাতে এখানে যারাই বিরোধী দলে থাকুক না কেন ফল কী হবে সবাই জানে। ৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কোনো দলের সদস্য সেই দলের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারবেন না। যার কারণে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল যা সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই হবে। এই ব্যবস্থায় সবসময় জিতে সরকারি দল, আর বিরোধী দল সবসময় সংসদে হারে।
আমি মনে করি, এটাই আসলে পাতানো খেলা। সেই কারণে আমি বলবো, আসলে ’৯০ এর পর থেকে প্রতিটি সংসদই পাতানো খেলা।
এরশাদের জন্য দোয়া চাইলেন রওশন
জিএম কাদেরের আগে দেওয়া বক্তব্যে জাপার সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ অসুস্থ স্বামী ও বর্তমান সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা এইচএম এরশাদের সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়া চান। তিনি বলেন, ‘এরশাদ সাহেব অসুস্থ। তবে তার অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। আশা করছি সুস্থ হয়ে তিনি সংসদে আসতে পারবেন। তার জন্য আমি সবার কাছে শুভ কামনা ও দোয়া চাচ্ছি।’
রওশন বলেন, বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হলে ঐকমত্য প্রয়োজন। ঐকমত্য ছাড়া উন্নয়ন-পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। প্রেসিডেন্টও তার ভাষণে বলেছেন- জাতীয় ঐক্যমত্য ছাড়া শান্তি স্থায়ীরূপ পায় না। উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় দেশকে পরিচালনা করতে হলে ঐকমত্যের বিকল্প নেই। দেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে মিলেমিশে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, ’৯৬ এর পর থেকেই মূলত উন্নয়নের ধারাবাহিকতা শুরু হয়। এর আগে উন্নয়ন থেমে গিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুৃর জন্ম শতবার্ষিকী সঠিকভাবে পালনের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, এমনভাবে পালন করতে হবে যেন এটা মাইলফলক হয়ে থাকে। রওশন বলেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়স বৃদ্ধি করতে হবে। সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য কোটা রাখা দরকার।