Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিয়ের পর থেকেই দেখে আসছি আমার স্বামী তার পরিবারের কথায় আমাকে মিথ্যা অপবাদ দেয়, অযথা সন্দেহ করে, আজ ১২ বছর পেরিয়ে গেলেও কোনো পরিবর্তন হয়নি, বরং বেড়েছে। সে নিজে নামাজ পড়ে না কিন্তু আমার নামাজ নিয়ে খোটা দেয়। গালমন্দ করে, বাচ্চাদের নামাজ, আরবি শিখাতে গেলেও টিটকারি করে। আমাকে বাবার বাড়ি যেতে দেয় না, কিন্তু সে নিজে যায়। আজেবাজে বন্ধুদের সাথে বেশি মিশে কিন্তু আমাকে কোনো আত্মীয় বা বান্ধবীর বাসায় যেতে দেয় না। সংসারে কোনো উন্নতি নেই, কিন্তু এগুলা নিয়ে কিছু বলতে গেলে বাপ মা তুলে গালি দেয়। লোভী বলে, ভাতের খোটা দেয়। আমার নামাজ হয় না বলে তিরস্কার করে, চরিত্র তুলে কথা বলে। প্রতি ঈদ বা দাওয়াত এর আগে হটাৎ ছোটো খাটো জিনিস নিয়ে ঝগড়া শুরু করে এবং পরবর্তী তিন চার মাস পর্যন্ত মুখ কালো করে থাকে ও আলাদা ঘরে ঘুমায়। সে একদিন রাগ করে কুরআন পর্যন্ত ছিঁড়ে ফেলেছে। আমি একজন শিক্ষিত মেয়ে কিন্তু চাকরিও করতে দেয় না। এই মানসিক অত্যাচার এর মধ্যে থাকতে থাকতে আমি বাচ্চাদের নিয়ে অতিষ্ট হয়ে গেছি। কিন্তু সে সংসার ভাঙতে চায় না। এমতাবস্থায় আমি তাকে ডিভোর্স দিতে চাই, নিজে বাঁচার জন্য, গুনাহ হবে কি?

উত্তর : আপনি যদি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েই থাকেন, তাহলে উভয়পক্ষের দু’য়েকজন মুরব্বীর সহায়তা নিন। এরপর আইনি সহায়তা নিয়ে সালিশ বা সমঝোতার চেষ্টা করুন। ব্যার্থ হলে আইনের মাধ্যমেই বিবাহ বিচ্ছেদ করতে হবে। এর আগে আপনি আপনার ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীরভাবে ভাবুন। সম্ভব...







আমি ৫ বছর ধরে নামাজ পড়ি না। অন্তরে নামাজ পড়ার প্রবল ইচ্ছা। কিন্ত কোন এক কারনে আমি নামাজ পড়ি না, (যদিও কোন কারন বা ওজর এ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)। আর আমার নামাজ পড়ার কোন রকম সম্ভাবনা নাই (যদিও জানি এটা কোন ভাবে যৌক্তিক নয়)। কিন্তু সন্তান-স্ত্রী, আত্মীয়-স্বজন-পরিচিত জন বা কারও সাথে পরিচিত হওয়া লোকজন নামাজ না পড়লে আমার খুব খারাপ লাগে। এমন কি তাদের এ অবস্থান কোনোভাবে মেনে নিতে পারি না। তাই আমি এসব লোকজনকে প্রবল ভাবে নামাজ আদায় করার জন্য উদ্বুদ্ধ করি। ফলে কেউ কেউ আমার এ উদ্বুদ্ধকরণের ফলে নামাজ আদায় করা শুরু করে। এমন উদ্বুদ্ধকরণ এর কাজটি করার কারণে কি আমার গোনা বা পাপ হবে ?

উত্তর : এমতাবস্থায় উদ্বুদ্ধ করার কারণে কোনো পাপ হবে না। তবে, কোনো কারণ বা অকারণে আপনি নামাজ পড়ছেন না, এতে আপনার অনেক বড় গোনাহ বা পাপ হচ্ছে। আপনি মনের ও শয়তানের ওয়াসওয়াসা এবং ধোঁকায় পড়ে আছেন। সব বাধা ছুড়ে ফেলে...

প্রশ্ন : আমি ৫ বছর ধরে নামাজ পড়ি না। অন্তরে নামাজ পড়ার প্রবল ইচ্ছা। কিন্ত কোন এক কারনে আমি নামাজ পড়ি না, (যদিও কোন কারন বা ওজর এ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)। আর আমার নামাজ পড়ার কোন রকম সম্ভাবনা নাই (যদিও জানি এটা কোন ভাবে যৌক্তিক নয়)। কিন্তু সন্তান-স্ত্রী, আত্মীয়-স্বজন-পরিচিত জন বা কারও সাথে পরিচিত হওয়া লোকজন নামাজ না পড়লে আমার খুব খারাপ লাগে। এমন কি তাদের এ অবস্থান কোনোভাবে মেনে নিতে পারি না। তাই আমি এসব লোকজনকে প্রবল ভাবে নামাজ আদায় করার জন্য উদ্বুদ্ধ করি। ফলে কেউ কেউ আমার এ উদ্বুদ্ধকরণের ফলে নামাজ আদায় করা শুরু করে। এমন উদ্বুদ্ধকরণ এর কাজটি করার কারণে কি আমার গোনা বা পাপ হবে ?

উত্তর : এমতাবস্থায় উদ্বুদ্ধ করার কারণে কোনো পাপ হবে না। তবে, কোনো কারণ বা অকারণে আপনি নামাজ পড়ছেন না, এতে আপনার অনেক বড় গোনাহ বা পাপ হচ্ছে। আপনি মনের ও শয়তানের ওয়াসওয়াসা এবং ধোঁকায় পড়ে আছেন। সব বাধা ছুড়ে ফেলে...







আর্কাইভ
রোব সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ