পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : দেশের অভ্যন্তরে নৌ দুর্ঘটনায় গত ৫০ বছরে ২০ হাজার ৫০৮ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। ১৯৬৭ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সময়ে যাত্রী ও পণ্যবাহী মিলিয়ে ২ হাজার ৫৭২টি নৌ দুর্ঘটনায় ৩ হাজার ৪১৭ কোটি ২০ লাখ টাকার সম্পদের (মানব সম্পদ ব্যাতিত) ক্ষতি হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর পুরান পল্টনস্থ মুক্তি ভবনে এক আলোচনা সভায় এ তথ্য প্রকাশ করেছে নৌ সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি (এনসিপিএসআরআর)। জাতীয় নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ ২০১৭ ও পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আয়োজিত ওই সভা থেকে ঈদে সাধারণ মানুষের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে দ্রæত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।
সংগঠনের উপদেষ্টামÐলীর সদস্য হাজী মোহাম্মদ শহীদ মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় ৫০ বছরের নৌ দুর্ঘটনার পরিসংখ্যানসহ লিখিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে। সাংবাদিক নিখিল ভদ্র’র সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ মনজুরুল আহসান খান, বুয়েট-এর অধ্যাপক ড. মীর তারেক আলী, পানিসম্পদ বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক, নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের মহাসচিব চৌধুরী আশিকুল আলম, সিটিজেন্স রাইট্স মুভমেন্টের সহ-সভাপতি মো. এনায়েতুর রহিম, লিডার্স- এর নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মÐল, বাপার যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাস, যাত্রী অধিকার পরিষদের সভাপতি তুসার রেহমান, জাতীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মুর্শিকুল ইসলাম শিমুল, নদী রক্ষা শপথের (নরশ) আহŸায়ক জসি সিকদার, উন্নয়ন ধারা ট্রাস্টের সদস্যসচিব আমিনুর রসুল বাবুল, বিআইডবিøউটিএর সাবেক পরিচালক এমদাদুল হক বাদশা, পিস- এর নির্বাহী পরিচালক ইফমা হুসেইন প্রমুখ।
সভায় মনজুরুল আহসান খান বলেন, নিরাপদ নৌপথ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে প্রধান বাধা অবৈধ অর্থ উপার্জনের প্রতিযোগীতা। নৌ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোর এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তার সীমাহীন দুর্নীতির কারণে গঠনমূলক ও প্রত্যাশিত উন্নয়ন হচ্ছে না। ফলে দুর্ঘটনাও কমছে না। এর বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষেকে সোচ্চার হওয়ার আহŸান জানান তিনি।
ড. মীর তারেক আলী বলেন, লঞ্চ দুর্ঘটনার হার গত দুই বছরে কমলেও নিরাপদ আধুনিক নৌ পরিবহন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হলে এখনো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। পণ্যবাহী নৌযান দুর্ঘটনা হরহামেশাই ঘটছে, সেগুলোর অনেক খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ পায় না। এ ক্ষেত্রে বহুমুখি সমস্যা রয়েছে। তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ নৌযানের মাস্টারশিপ-ড্রাইভারশিপ পরীক্ষায় নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি বন্ধ করতে না পারলে অযোগ্যরা টাকার বিনিময় সনদ নিয়ে নৌযান চালাবে। এতে অহরহ দুর্ঘটনা ঘটবে। সংকট নিরসনে নৌ পরিবহন খতে জনবল বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক বলেন, নদী খনন ও নৌপথের পলি অপসারণে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বিআইডবিøউটিএর বিরুদ্ধে পুকুর চুরির অভিযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছার কারণে নদী খননে পর্যাপ্ত অর্থবরাদ্দ পেয়ে বিআইডবিøউটিএর কিছুসংখ্যক কর্মকর্তা ও প্রকৌশলী লাগামহীন দুর্নীতিতে মেতেছেন। নদীবন্দরগুলোতে টোল আদায়সহ বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম, নদীর তীরভূমি অবৈধভাবে ইজারা প্রদান ও ইজারা ছাড়াই ভোগদখলের সুযোগ দেওয়া এবং সারা দেশে অসংখ্য অবৈধ নৌযান চলাচলের জন্য বিআইডবিøউটিএ-কে দায়ী করেন তিনি।
আশীষ কুমার দে তাঁর প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, দুর্ঘটনা কবলিত ২ হাজার ৬৭২টি নৌযানের মধ্যে ৯০১টি উত্তোলন করা সম্ভব হয়নি। বিপুলসংখ্যক নৌযান নৌপথে নিমজ্জ্বিত থাকায় সেসব স্থানে অতিমাত্রায় পলি পড়ছে। ফলে অনেক নৌপথে নিয়মিত নাব্যতা সংকট সৃষ্টি হচ্ছে; যা নৌ দুর্ঘটনার অন্যতম একটি কারণ। প্রতিবেদনে নৌ দুর্ঘটনার তথ্য যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করায় বিআইডবিøউটিএ ও নৌ পরিবহন অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোর কঠোর সমালোচনা করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।