পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে জনগণ শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করবে। কারণ শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে দেশ এগিয়ে যায়। দেশের মানুষ শান্তি ও নিরাপদে থাকে। বাংলাদেশের মাটিতে হাওয়া ভবনের হোতারা আর কখনও ক্ষমতায় আসতে পারবে না। যারা ক্ষমতায় থেকে সরকারের ভেতরে আরেকটি সরকার সৃষ্টি করে দেশের অর্থ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করে। সেই বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া-তারেক রহমানকে দেশের মানুষ দেখতে চায় না।
গতকাল বুধবার দুপুরে ধানমন্ডিতে তার কার্যালয়ে ব্রাক্ষœণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এনামুল হক শামীম বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার দুই মেয়াদে দেশে যত উন্নয়ন হয়েছে স্বাধীণতার ২৮ বছরে সে উন্নয়ন হয়নি। কারণ সে সময় স্বাধীনতা পক্ষের শক্তি ক্ষমতায় ছিল না। তারা ক্ষমতায় এসে দেশের উন্নয়ন নয়, নিজের উন্নয়নে ব্যস্ত ছিল। দেশের অর্থ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করেছে। তাদের কাছে ক্ষমতা ছিল ভোগের বস্তু। অথচ ১৯৯৬ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসার পর মানুষ উপলদ্ধি করতে পারে ক্ষমতায় আসা মানে দায়িত্ব। দেশের কাজ করা। গত দুই মেয়াদে দেশের অভূতপুর্ব উন্নয়ন হয়েছে। দেশের মানুষ শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি আস্থাশীল। আগামীতেও আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসবে। এ জন্য তৃণমূল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নেই। ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে কেউ হারাতে পারে না। তাহলেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা ও দেশরতœ শেখ হাসিনা ঘোষিত ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।
এনামুল হক শামীম বলেন, আওয়ামী লীগ যখন ঐক্যবদ্ধ হয়, তখন যে কোনো কঠিন কাজ সহজেই করতে পারে। ১৯৯৬ সালে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলাম বলেই প্রথমবারের মতো ক্ষমতায় এসেছিলাম। ২০০১ সালে আমাদেরকে ষড়যন্ত্র করে পরাজিত করা হয়েছিল। এরপর ১/১১ সময়ে নিজেরা ঐক্যবদ্ধ ছিলাম বলেই নেত্রীকে কারামুক্ত করেছিলাম। ২০০৮ সালে এবং ২০১৪ সালে নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কারণেই ক্ষমতায় আসতে পেরেছি। দলের স্বার্থ বাদ দিয়ে ব্যক্তি স্বার্থ নিয়ে দ্ব›দ্ব সৃষ্টিকারীদের ছাড় দেয়া হবে না।
থানা-ইউনিয়ন কমিটি ঢেলে সাজানোর নির্দেশ দিয়ে এনামুল হক শামীম বলেন, নির্বাচনের আগে দলকে শক্তিশালী করতে মেয়াদ উর্ত্তীন কমিটির সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন রক্ত সঞ্চার করতে হবে। কোন পকেট কমিটি যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
আশুগঞ্জ উপজেলার আহŸায়ক মুক্তিযোদ্ধা শফিউল্যাহর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, বি বাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক মঈন উদ্দিন মঈন, আশুগঞ্জ উপজেলার যুগ্ম আহŸায়ক আবু নাসের, আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সাবেক সহসম্পাদক জহির সিকদার, মেহেদী জামিল, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রেহেনা মকবুল, যুবলীগের সভাপতি জিয়াউদ্দিন খন্দকার চেয়ারম্যান. সাধারন সম্পাদক শাহীন বকশি, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শাহীন সিকদার, শ্রমিকলীগের সাধারন সম্পাদক মো. মুসা, কৃষকলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন চেয়ারম্যান, ছাত্রলীগের সভাপতি মারুফ আহমেদ রনি প্রমূখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।