Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শিক্ষার বাণিজ্যকরণ বন্ধ করতে হবে ত্রিশালে প্রেসিডেন্ট মো: আবদুল হামিদ

প্রকাশের সময় : ২০ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:০৮ এএম, ২০ এপ্রিল, ২০১৭

মো. শামসুল আলম খান ও এস. এম. হুমায়ুন কবীর, ত্রিশাল থেকে : জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ^বিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ও প্রেসিডেন্ট. মো. আব্দুল হামিদ বলেন, শিক্ষার বাণিজ্যকরণ বন্ধ করতে হবে। বাণিজ্যকরণ শিক্ষা গুণগত মানকে ব্যাহত করে। অনেক ক্ষেত্রে মেধা বিকাশের পথকে বাধাগস্ত করে। সার্টিফিকেট একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতার স্বীকৃতি হলেও শিক্ষার মূল লক্ষ্য হতে পারেনা। তিনি বলেন বর্তমান বিশ্ব অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক। তাই আমাদের শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক মানে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। সমাবর্তন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রমের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এ স্মরণীয় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাফল্য ও অর্জনকে যেমন আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়া হয় তেমনি তাদেও দায়িত্বও অর্পণ করা হয়। সে দায়িত্ব পরিবার, সমাজ ও দেশের প্রতি।
গতকাল বুধবার দুপুর ২টা ৩০মিনিটে বিশ^বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনসংলগ্ন পুরাতন খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত প্রথম সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে মর্যাদা দিয়ে ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর ঐকান্তিক চেষ্টায় ১৯৭২ সালের ২৪ মে কাজী নজরুল ইসলামকে ভারত থেকে বাংলাদেশ নিয়ে আসা হয়। তখন বঙ্গবন্ধু কবি ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের জন্য ধানমন্ডিতে বাড়ি বরাদ্দ দেন। যে বাড়িটি কবি ভবন নামে পরিচিত।
প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশ আজ সমৃদ্ধির সোপানে এগিয়ে যাচ্ছে। সরকার বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের রায় কার্যকর, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রুপান্তরিত করা, জঙ্গিদমন, ক্ষুধা ও দারিদ্র্য দূরীকরণসহ আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে নানামুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। দেশকে সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে রুপকল্প ২০২১ এবং ২০৪১ অর্জনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সফলভাবে। সাফল্যের ধারাকে অব্যাহত রাখতে বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে জনশক্তিতে রুপান্তরিত করতে হবে বলে জানান তিনি।
সমাবর্তনে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহীত উল আলম, সমাবর্তন বক্তব্য রাখেন ইমেরিটাস প্রফেসর ড.রফিকুল ইসলাম।
সমাবর্তনে ১ হাজার ৮’শ ৪৫ জনকে গ্র্যাজুয়েট অংশগ্রহণ করেন এবং স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে সর্বোচ্চ নম্বরধারী ২৯ জন শিক্ষার্থীকে ৩২টি স্বর্ণপদক দেয়া হয়। প্রথম সমাবর্তনের ঘোষণা আসার পর থেকেই শিক্ষার্থীদের মাঝে উৎসবের উদ্দীপনা ছড়িয়ে পড়ে। সমাবর্তনকে কেন্দ্র করে বর্ণিল সাজে সাজানো হয় পুরো ক্যাম্পাস।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের ৯মে’, দুখু মিয়ার স্মৃতি বিজড়িত ময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রতিষ্ঠা করা হয় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ^বিদ্যালয়। এ শিক্ষালয়টি দেখতে দেখতে ১১ বছরে পা রাখল। বিশ^বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর এটিই প্রথম সমাবর্তন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শিক্ষা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ