পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশে কাজ হয় মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার কোনো হাওয়া ভবন, খাওয়া ভবন নেই। শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে দেশে কাজ হয়। পদ্মা সেতু নির্মাণে দুর্নীতি হয়েছে বলে খালেদা জিয়া যে বক্তব্য দিয়েছেন তার তথ্য-প্রমাণ দিতে না পারলে বক্তব্য প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, তা না করলে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
গতকাল সোমবার রাজধানীর মিরপুর ১ নম্বর এলাকার ১০ নং কমিউনিটি সেন্টারে মিরপুর ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত যৌথ কর্মিসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ১০ জানুয়ারি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভা সফল করতে এ কর্মিসভার আয়োজন করে ঢাকা-১৪ আসনের অন্তর্ভুক্ত আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন।
পদ্মা সেতু নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, আমি আপনাকে চ্যালেঞ্জ করছি, পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতি হয়েছে, তথ্য-প্রমাণ দিয়ে তা প্রমাণ করুন। অন্যথা আপনার বক্তব্য প্রত্যাহার করুন। না হলে আপনাকে মামলার মুখোমুখি হতে হবে।
খালেদা জিয়ার উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, পদ্মা সেতু আপনার কাছে স্বপ্ন হতে পারে। কিন্তু এটি আমাদের স্বপ্ন পেরিয়ে দৃশ্যমান বাস্তবতা। ৪০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই কলামসহ দৃশ্যমান হয়ে উঠবে পদ্মা সেতু।
৭০ সালে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে কাদের বলেন, যার কোনো কা-জ্ঞান নেই, তার কাছে দায়িত্বশীল কথা বলে কি লাভ? তবুও আমরা বলতে চাই, বেগম খালেদা জিয়া; বঙ্গবন্ধু যদি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চাইতেন তাহলে স্বাধীন বাংলাদেশ হতো না। আর স্বাধীন বাংলাদেশ না হলে আপনিও প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন না।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ৫ জানুয়ারি সন্ত্রাস, হত্যার বিরুদ্ধে বিজয় সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। এ সময় তিনি ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের অন্তর্গত থানা-ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের পূর্ণাঙ্গ কমিটি শিগগিরই গঠন করে তার ঘোষণা দিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নতুন বছরের আগামী ১০০ দিনে আমাদের এজেন্ডা হচ্ছে দলকে গোছানো। নতুন বছরের প্রথম তিনমাস আমরা আমাদের সাংগঠনিক কর্মসূচি পালন করবো। এর সঙ্গে রাজনৈতিক কর্মসূচিও পালন করবো। নতুন বছরের ১০০ দিনের মধ্যে দলের ঘর গোছাতে হবে। দলের প্রত্যেক কমিটিতে ২৫ থেকে ৩০ ভাগ মহিলা রাখতে হবে। এছাড়া ওয়ার্ড পর্যায়ে দলের গণসংযোগে তিনি নিজে (ওবায়দুল কাদের) নিজে অংশ নিবেন বলেও বক্তব্যে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদী শক্তি এখন বড় চ্যালেঞ্জ। এমপি লিটন হত্যার ঘটনায় উগ্রবাদী শক্তিকে চরম মাশুল দিতে হবে। নতুন বছরে আমাদের আরও একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদ মোকাবেলা। এ চ্যালেঞ্জকে আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদকে প্রতিহত, প্রতিরোধ এবং পরাজিত করবো।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ১০ তারিখ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আমরা একটি বিশাল জনসভা করতে চাই। সবাই দলে দলে ঐক্যবদ্ধভাবে জনসভায় যোগ দিয়ে শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য শুনবেন। আমরা (আওয়ামী লীগ) শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সুশৃঙ্খলভাবে ঐক্যবদ্ধ আছি তা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসমুদ্রের মাধ্যমে প্রমাণ করতে চাই। তিনি বলেন, মহিলারা একটু আগে ভাগেই যাবেন তাহলে একটুও অসুবিধা হবে না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে লিটনকে কারা হত্যা করেছে তা সেখানকার জনগণ জানে তারা কারা। এ হত্যাকান্ডের জন্য সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে চড়ামূল্য দিতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে আমরা নির্দেশ দিয়েছি।
ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য আসলামুল হক আসলামের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি একে এম রহমতুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।