পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য মন্জুরুল ইসলাম লিটনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় স্পীকার, ডেপুটি স্পীকারসহ সাধারণ সংসদ সদস্যদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অনেকেই ফোন করে দৈনিক ইনকিলাব ও বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিকদের কাছে শোক ও সমবেদনার কথা জানিয়েছেন। আজ সোমবার সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণপ্লাজায় মরহুম মন্জুরুল ইসলাম লিটনের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল রবিবার সংসদ সচিবালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এদিকে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য মন্জুরুল ইসলাম লিটনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য সংসদ সদস্যরাও শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন।
জাতীয় সংসদের স্পীকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী গতকাল শনিবার রাতে এক শোকবার্তায় এমপি লিটন হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে বিচারের মাধ্যমে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। স্পীকার বলেন, সংসদ সদস্য লিটন ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী একজন দক্ষ ও সম্ভাবনাময় রাজনীতিবিদ। তাঁর অকাল মৃত্যুতে একটি সম্ভাবনার অকাল মৃত্যু হলো। তিনি নিহত লিটনের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। একইভাবে শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া ও জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ।
গাইবান্ধা থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ডেপুটি স্পীকার ফজলে রাব্বী মিয়া এবিষয়ে ইনকিলাবকে বলেন, মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন একজন উদ্যমী ও সাহসী সংসদ সদস্য ছিলেন। জঙ্গিবাদ মোকাবেলা তিনি অনেক সাহসী ভূমিকা রেখেছেন। তার মৃত্যুতে দেশ ও জাতি একজন তরুণ প্রজন্মের বলিষ্ঠ নেতৃত্বকে হারলো। এই নৃশংস হত্যাকান্ডের মাধ্যমে শুধু গাইবান্ধা জেলা নয়, দেশ ও জাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি হলো। যা কোনভাবেই পূরণ হবার নয়। অবশ্যই দ্রুততম সময়ের এই হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িতরা গ্রেফতার হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সংসদ সদস্য লিটন হত্যাকান্ডের পর শোক প্রকাশ করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মীর শওকাত আলী বাদশা। তিনি বলেন, দুই সপ্তাহ আগে তিনি ডেপুটি স্পীকারের সঙ্গে বাগেরহাট ও খুলনা গিয়েছিলেন। তিনি গত ১৮ ডিসেম্বর সকালে বাগেরহাট প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও সন্ধ্যায় খুলনার পাইগাছা উপজেলার মামুদ কাটী গ্রামে অনির্বাণ লাইব্রেরিতে বিজয় দিবসের কর্মসূচীতে অংশ নেন। ওই সকল কর্মসূচীতে তিনি জঙ্গি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থানের কথা তুলে ধরেন। তার এই নৃশংস হত্যাকান্ড কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
নাটোর-১ আসনের এমপি আবুল কালাম বলেন, আমরা জনগণের প্রতিনিধি সেই প্রতিনিধিরা এখন বাসায় থাকতে পারে না। বাসায় তাদের গুলি করে হত্যা করে। এটা মেনে নেয়া যায় না। লিটন সাহেবের হত্যা নিয়ে আমি চিন্তিত। আমার মনে হয় সকল এমপি এখন আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। আগামী অধিবেশনে এমপিদের চলাফেরা ও বাসার নিরাপত্তা দাবি নিয়ে স্পীকারের কাছে আবেদন করবো।
নওগাঁ-৬ আসনের এমপি মো. ইসরাফিল আলম বলেন, গতকাল লিটনের উপর যেভাবে সন্ত্রাসীরা আক্রমণ করেছে তা উদ্বেগজনক। এখন আমিও যে ভালভাবে এলাকায় বাসায় থাকতে পারবো তা মনে হয় না। সব মিলে আমাদের আতঙ্কের মধ্যে কাটাতে হচ্ছে।
আরো শোক প্রকাশ করেছেন, সাতক্ষীরা-১ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, যশোর-৬ আসনের এমপি স্বপন ভট্টাচার্য, বরিশাল-৩ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট টিপু সুলতান প্রমুখ।
গতকাল বিরোধী দলীয় নেতার তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন হাসান স্বাক্ষরিত এক শোক বার্তায় ওই হত্যাকান্ডকে কাপুরুষোচিত ও বর্বর হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ওই হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে। শোক বার্তায় বিরোধীদলীয় নেতা মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেছেন। একইসঙ্গে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।