Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ভূমিকম্প থেকে বেঁচে গেলেও মরতে হলো আগুনে পুড়ে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৭:৩৩ পিএম | আপডেট : ৭:৩৪ পিএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

তুরস্কের কনিয়া অঞ্চলের একটি বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডে ৫ সিরীয় শিশু ও তাদের মা-বাবা নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। সম্প্রতি তুরস্কে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে পরিবারটি বেঁচে গিয়েছিল। এরপর তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর নুরদাগি থেকে কনিয়া অঞ্চলে সরে গিয়েছিল তারা। সেখানে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় হয়েছিল তাদের। শুক্রবার সে বাড়িতেই আগুন লাগে।
তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলুর প্রতিবেদনে বলা হয়, পাঁচ শিশুর বয়স ৪ থেকে ১৩ বছরের মধ্যে।
স্থানীয় বাসিন্দা মুহসীন চাকির আনাদোলুকে বলেন, ‘আমরা দেখলাম আগুন জ্বলছে, কিন্তু কিছু করতে পারিনি।’
জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, ভূমিকম্পে তুরস্কের ১১টি অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব অঞ্চলে ১৭ লাখ ৪০ হাজারের বেশি শরণার্থীর বসবাস। ভূমিকম্পের পর প্রায় ৫ হাজার পরাঘাত অনুভূত হয়েছে।
তুরস্কজুড়ে প্রায় ৪০ লাখ মানুষের বসবাস। তুরস্ক ও সিরিয়ার মধ্যকার বাব আল হাওয়া সীমান্তের সিরীয় অংশে নিযুক্ত আছেন মাজেন আলুচ নামের এক কর্মকর্তা। গতকাল এএফপিকে তিনি বলেন, এ পর্যন্ত তুরস্কে ভূমিকম্পে নিহত ১ হাজার ৫২৮ জন সিরীয় নাগরিকের মরদেহ দেশে ফেরত এসেছে।
৬ ফেব্রুয়ারি ভোরে তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। ভূকম্পনপীড়িত তুরস্কের ১০টি অঞ্চলে ৩ মাসের জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। তুরস্ক ও সিরিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ৪৫ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্য তুরস্কেই নিহত মানুষের সংখ্যা সাড়ে ৩৯ হাজারের বেশি। দুই দেশে উদ্ধারকাজ এখনো চলছে। মৃত মানুষের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আগুনে পুড়ে


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ