Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে বেলজিয়ামের রানী বিকাল ৪ টার দিকে কক্সবাজারের দিকে রওয়ানা দিয়েছেন

উখিয়া (কক্সবাজার) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৫:৫৫ পিএম

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে বেলজিয়ামের রানী মাথিন্ডে ম্যারি ক্রিস্টিন বিকাল ৪ টার দিকে গাড়ির বহরে কক্সবাজারের দিকে রওয়ানা করেছেন।

মঙ্গলবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় বেসরকারি একটি এয়ারলাইন্সে যোগে ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরাসরি কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহিন ইমরান বিমানবন্দরে বেলজিয়ামের রানীকে অভ্যর্থনা জানান।

কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে রাষ্ট্রীয় অতিথি রানী সরাসরি সড়কপথে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। রানীর রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন উপলক্ষে, খুব সকাল থেকেই কক্সবাজার থেকে উখিয়ার কুতুপালং পর্যন্ত নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
আবার বিকাল ৪টার দিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে কক্সবাজার ফেরার অনেক পুর্ব থেকে সড়ক পথে সুনশান নিরবতা পরিলক্ষিত করা গেছে। রাস্তাঘাট পুরোটাই ফাঁকা, পুরো রাস্তা জুড়ে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা, র‍্যাব, পুলিশ, এসএসএফসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যবৃন্দ, শত শত উৎসুক জনতা রাস্তার উভয় পাশে দাঁড়িয়ে ছিল।

এখানে উল্লেখ্য যে, জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি)-এর দূত হিসেবে বেলজিয়ামের রানী, গতকাল সোমবার, বাংলাদেশ সফরে এসেছেন। ইতিপুর্বে গত ৩০ জানুয়ারি জারি করা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বেলজিয়ামের রানী আসার কথা জানানো হয়। ওই প্রজ্ঞাপনে রানীকে অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

সোমবার জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, সরকার ‘বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) আইন, ২০২১’ এর ধারা-২ এর দফা ক-তে দেওয়া ক্ষমতাবলে, বেলজিয়ামের রানী মাথিল্ডেকে আগামী ৬ থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশ সফরকালীন অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে ঘোষণা করল।

জানা যায়, উখিয়ার ৫টি রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন বেলজিয়ামের রানী। ক্যাম্পগুলো হলো ক্যাম্প-৩, ক্যাম্প-৪, ৪ এক্সটেনশন, ক্যাম্প-৫। এ সময় এনজিও সংস্থার পরিচালনাধীন গণস্বাস্থ্য হাসপাতাল, বায়োগ্যাস প্লান্টেশন, ইকো পার্ক, কমিউনিটি সেন্টার, হলিচাইল্ড লার্নিং সেন্টার, উইমেন মার্কেট পরিদর্শন করেছেন। এ ছাড়াও মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে বান্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নারীদের সাথে কথা বলেছেন। রোহিঙ্গাদের সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, বেলজিয়ামের রানী’রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে আসাকে কেন্দ্র করে উখিয়া থানার গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ও পুরো ক্যাম্প এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ