Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আফ্রিকাতে আধিপত্য পুনঃপ্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে রাশিয়া

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

বলা হচ্ছে যে, আফ্রিকা যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়ার মধ্যে প্রতিযোগিতার রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এটা মোটামুটি নিশ্চিত যে, আফ্রিকার জন্য লড়াই তীব্র হয়েছে। অতি সম্প্রতি, চীনের শীর্ষ ক‚টনীতিক কিন গ্যাং মহাদেশটি সফর করে এসেছেন এবং মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন, যিনি এর আগে জাম্বিয়া সফর করেছিলেন, বুধবার তার দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার সাথে বৈঠক ছিল। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ইতিমধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা, এসওয়াতিনি এবং অ্যাঙ্গোলা সফর করেছেন এবং আফ্রিকা সফরের অংশ হিসেবে তিনি আরও একটি দেশ সফর করবেন। এদিকে, ওয়াশিংটন আফ্রিকা মহাদেশে বিশেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকায় রাশিয়ার উপস্থিতি সম্পর্কে, রাশিয়া এবং চীনের নৌবাহিনীর যৌথ অনুশীলনের প্রাক্কালে এবং পিএমসি ওয়াগনারের কার্যকলাপের পরিপ্রেক্ষিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

শিক্ষাবিদ আলেক্সি ভ্যাসিলিয়েভ বলেছেন যে, আফ্রিকা রাশিয়ান নীতির অন্যতম গুরুত্বপ‚র্ণ দিক হয়ে উঠছে। তিনি বলেন, ‘ল্যাভরভের সফর এই গ্রীষ্মে সেন্ট পিটার্সবার্গে রাশিয়া-আফ্রিকা শীর্ষ সম্মেলনের জন্য পথ প্রশস্ত করেছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতা করছে। তিনি আরও বলেন, ‘ঔপনিবেশিক আমল থেকেই আফ্রিকায় মার্কিন বিরোধী এবং ইউরোপ-বিরোধী মনোভাব প্রবল। যদিও স্থানীয় গণমাধ্যম পশ্চিমা প্রচারণার প্রতিধ্বনি করে, তবে বেশ কয়েকটি দেশের রাশিয়ার প্রতি ইতিবাচক মনোভাব রয়েছে। এবং অবশ্যই, তারা মস্কোর কাছ থেকে কিছু আর্থিক সহায়তা আশা করে।’

প‚র্ব এশীয় রাষ্ট্র চীন আফ্রিকার সাথে বাণিজ্যে শীর্ষে উঠে এসেছে, যার মহাদেশটির সাথে বাণিজ্যের পরিমাণ যুক্তরাষ্ট্রের পরিমাণকে ছাড়িয়ে গেছে এবং এখন আফ্রিকার সাথে ইউরোপের বাণিজ্যের পরিমাণের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। শিক্ষাবিদ এলেক্সেই ভাসিলিভ বলেন, ‘এটি বিরোধিতার কারণ হয়েছে। পশ্চিম চায় আফ্রিকা তার নীতির সাথে খাপ খাইয়ে নিক এবং কিছু দেশ তা করছে। উদাহরণস্বরূপ, মরক্কো, ইউক্রেনে রাশিয়ান ট্যাঙ্ক পাঠিয়েছে। এবং অন্যরা, তাই বলতে গেলে দ‚রে থাকতেই পছন্দ করে।’ একটি সাক্ষাৎকারে বিশেষজ্ঞ বরিস পিলিয়াতস্কিন স্মরণ করেছেন যে, ১৯৬০-১৯৭০ এর দশকে হাজার হাজার সোভিয়েত ডাক্তার, শিক্ষক, বিমানচালক এবং সামরিক পরামর্শদাতা গিনি, তেল সমৃদ্ধ অ্যাঙ্গোলা এবং অন্যান্য আফ্রিকান দেশে কাজ করেছেন। তিনি বলেন, ‹লাভরভের সফর বেশিরভাগই রাজনৈতিক প্রকৃতির। এদিকে, আফ্রিকাকে মস্কোর পক্ষে আনা গুরুত্বপ‚র্ণ, কারণ আফ্রিকান দেশগুলি জাতিসংঘে প্রায় ৫০ ভোট দেয়।’ সূত্র : তাস।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ