Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

উপ-নির্বাচনে বহিষ্কৃত সাত্তারকে পাসের দায়িত্ব নিয়েছে সরকার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৬ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, বিএনপি’র ইমেজ নষ্ট করতে সাত্তারকে চাপে ফেলে নির্বাচনে আনা হয়েছে এবং যেকোনো ভাবেই হোক সরকার তাকে পাস করিয়ে আনবে। যে কারণে ওই আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন সংগ্রহ করলেও তা পরে তারা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। রোববার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে একটি রেস্টুরেন্টে উপজেলা বিএনপি আয়োজিত সেমিনারে রুমিন ফারহানা এসব কথা বলেন।

উপ-নির্বাচনে উকিল আব্দুস সাত্তার ভ‚ঁইয়ার অংশগ্রহণ করা নিয়ে তিনি বলেন, ‘উনাকে (সাত্তার) পাস করিয়ে আনা হবে। এখানে তো ভোট হচ্ছে না, আপনারাও বুঝতে পারছেন। আওয়ামী লীগের যারা প্রার্থী ছিল তারা বসে পড়েছে। তারা নির্বাচনে অংশ নেন না। তার মানেটা কী? তারা জানে যে একটা কলাগাছ দাঁড়ালেই উনার সঙ্গে পাস করবে, উনার কোনো ভোট নাই। বিএনপির ভোট উনার নাই, আওয়ামী লীগের ভোটও উনার নাই। যে দাঁড়াবে সে পাস করবে। এই ঝুঁকিটাও আওয়ামী লীগ নিতে চাচ্ছে না। তাই আওয়ামী লীগের যারা প্রার্থী ছিল তারা বসে পড়ছে। সম্ভবত তাকে ডিক্লেয়ার দিয়ে পাস করিয়ে দেবে। তিনি আরো বলেন বিএনপির কোন নেতাকর্মী যদি বহিষ্কৃত উকিল আব্দুস সাত্তার ভ‚ঁইয়ার পক্ষে কাজ করে তাহলে তাদেরও দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। একই সঙ্গে তিনি ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি আহŸান জানান। তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকারের পক্ষে দেশের এক পার্সেন্ট জনগণের সমর্থন নেই। কিন্তু বিএনপির পাশে আছে দেশের ১৬ কোটি মানুষ আছে। আমরা অনেক কিছু হারিয়েছি। আমাদের হারানোর কিছু নাই। এখন আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর সময়। আগামী নির্বাচনে নির্দলীয় তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনেই হতে হবে। যেকোনো অবৈধ নির্বাচন আমরা জান মাল দিয়ে রক্ষা করবো।

সেমিনারে আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ শাজাহান সিরাজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জহির, উপজেলা বিএনপিসাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন জয়, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব নাসির মুন্সি, উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতারা বক্তব্য দেন।

২০১৮ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা উকিল আবদুস সাত্তার ভ‚ঁইয়া। গত ১১ ডিসেম্বর বিএনপির সব সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করায় আসনটি শূন্য হয়। আগামী ১ ফেব্রæয়ারি এ আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আবারও অংশ নিতে যাচ্ছেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত আব্দুস সাত্তার ভ‚ঁইয়া। তিনি এই আসনে পাঁচবারের এমপি ছিলেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের তিন নেতা মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, মঈন উদ্দিন মঈন ও অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ফলে নির্বাচনে সাত্তারসহ এখন পাঁচ প্রার্থী অংশগ্রহণ করছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ