Inqilab Logo

বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

প্রশ্ন : নামাজ রোজা না করা ও আল্লাহ ব্যতিত অন্যকে সেজদা প্রদানকারী স্বামীকে ডিভোর্স দেওয়া প্রসঙ্গে।

সোনিয়া আক্তার
ইমেইল থেকে

প্রকাশের সময় : ৯ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:৩৮ পিএম

প্রশ্নের বিবরণ : আমার স্বামী নিজে নামাজ পরে না, রোজা রাখে না। আমাকে হুমকি দেয়, আমি রোজা রাখা অবস্থায় দিনে জোর করে সহবাস করবে, আমাকে রোজা রাখতে দিবে না, নামাজ পরতে দিবে না। আবার আমার স্বামী একজন পীরের মুরিদ, সে তার পীর বাবাকে সেজদা করে, গান করে ইত্যাদি। আমাকেও তার পীর বাবাকে সেজদা করতে বলে, না হয় গালাগালি করে। আমি অনেক বুঝিয়েও তাকে তার পীরের পায়ে সেজদা থেকে ফিরাতে পারি নাই। আমি তার সংসার করব না বললে সে আমাকে তালাকও দেয়না, পীরকে সেজদা করাও বন্ধ করে না, রমজানের রোজাও রাখে না। এহেন মূহুর্তে আমি কি আমার স্বামীকে ডিভোর্স দিতে পারব? আমি কি পরে কাউকে বিয়ে করতে পারব? আমি কাউকে বিয়ে করতে চাইলে আমার কতদিন অপেক্ষা করতে হবে? বিয়ের পদ্ধতি কি হবে?

উত্তর : আপনি আপনার নিজের ও স্বামীর মুরব্বীদের মাধ্যমে এর সমাধান করতে পারেন। যদি সিদ্ধান্ত হয় তাকে ছেড়ে দিবেন, তাহলে আদালতের আশ্রয় নিতে পারেন। তবে, আপনার প্রতি তার দুর্ব্যবহার বিবাহ বিচ্ছেদের কারণ নয়। মনে হচ্ছে আপনি সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছেন, কেউ আপনাকে সহযোগিতা করছে, সব বিষয় মুরব্বীদের বলে সমাধান করুন। স্বামী রাজি না হলে তালাক দেওয়া যায় না। দেশীয় আইনে তালাক দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। সেটি শরীয়তসম্মত কি না তা দেখে নিবেন। তালাক কার্যকর হওয়ার পর কমপক্ষে তিনমাস অপেক্ষা করবেন, পেটে বাচ্চা থাকলে প্রসব হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। এরপর আপনি যাকে ইচ্ছা বিবাহ করতে পারেন। এর আগে বিয়ে করা জায়েজ নয়।

উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।
প্রশ্ন পাঠাতে নিচের ইমেইল ব্যবহার করুন।
[email protected]

ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ